পরিশিষ্ট/ ১
(হারিয়ে যাওয়া : শোলার ফুল গল্পে সংযোজিত হয়েছিল অন্তর্জালে)
হারিয়ে যাওয়া
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ছোট্ট আমার মেয়ে
সঙ্গিনীদের ডাক শুনতে পেয়ে
সিঁড়ি দিয়ে নীচের তলায় যাচ্ছিল সে নেমে
অন্ধকারে ভয়ে ভয়ে, থেমে থেমে।
হাতে ছিল প্রদীপখানি,
আঁচল দিয়ে আড়াল ক’রে চলছিল সাবধানী।
আমি ছিলাম ছাতে
তারায়-ভরা চৈত্রমাসের রাতে।
হঠাৎ মেয়ের কান্না শুনে, উঠে
দেখতে গেলেম ছুটে।
সিঁড়ির মধ্যে যেতে যেতে
প্রদীপটা তার নিভে গেছে বাতাসেতে।
শুধাই তারে, ‘ কী হয়েছে বামী?’
সে কেঁদে কয় নীচে থেকে, ‘ হারিয়ে গেছি আমি।‘
তারায়-ভরা চৈত্রমাসের রাতে
ফিরে গিয়ে ছাতে
মনে হল আকাশ-পানে চেয়ে,
আমার বামীর মতোই যেন অমনি কে এক মেয়ে
নীলাম্বরের আঁচলখানি ঘিরে
দীপশিখাটি বাঁচিয়ে একা চলছে ধীরে ধীরে।
নিবত যদি আলো, যদি হঠাৎ যেত থামি,
আকাশ ভরে উঠত কেঁদে, ‘ হারিয়ে গেছি আমি!’
পরিশিষ্ট/২
(প্রজ্ঞা পারমিতার জলতল অথবা এ্যান্ডারসনের চকোলেট- গল্পে সংযোজিত হয়েছিল অন্তর্জালে)
My little seeds to
Flower
..........
Progna Paromita
It was noon I gave my flower seeds to my mother and said can you plant my seeds mother please. Mother said okay progna. Then mother planted the seeds. I waited and waited. I watered it every day. After a week I saw nothing!
After a month and a half I saw a plant. I have waited 2 months for a flower and the seeds grew lots of flowers. I saw some ant and flies bothering the flower. I got angry. I squashed and smashed them. I felt better.
My father bought me a laptop. Sometimes I use my new laptop near the flower pot. My flower likes laptops and it wants one.
What should I do?
পরিশিষ্ট/৩
(ঈশ্বরের চোখ : আদিপাঠ- গল্পে সংযোজিত হয়েছিল অন্তর্জালে)
if i wasn't dead
Purba Atanrila
Natasha, age 13, queens, New York City, middle school, 8th grade, senior year. My days weren’t going good, I was not the best student anymore, lost my place. It’s hard to see someone taking my place suddenly. I used to be the best student in class, 6th and 7th grade. School was not fun anymore. I used to have no best friends. May be some were but didn’t think they were. I used to have few friends but in 8th grade I had lots of friends, a lot, more than I wanted.
I had depression since 2001, since I was 5. I didn’t like it, when I used to go to bed everything that happened that day used to eat me. that year my depression was increasing, everything was going wrong, or I thought they were wrong, no, some of them were going wrong. I was always busy so I didn’t have any time, I wanted summer back to sleep and seat at home without a tension. I couldn’t handle my life cause it’s way too out of control. School, teachers, report card grades, friends, bullies, homework, theatre, subway, band, piano, drawing, internet, dance, auditions, exercise, soccer, writing, sleep, etc… etc… etc. other side my parents, they didn’t want me to be an actress which was a big issue for me.
I thought my wishes will never come true so I just wanted one thing and that was to die. I wanted to suicide. Never thought of that before but at last I did. I decided to have sleeping pills after taking a bath. One of the Sundays I took a fresh an hour bath and then eat my lunch. After finishing my lunch I stole lots sleeping pills from my dad’s medicine box and then I locked my door as usual. Just like other days there was a bottle of water in my room and I took all 20 pills one by one. And then what happened I have no idea.
Then I woke in a place where people were crying, laughing, just sitting, doing their own stuff. Then I realized that I was in a graveyard standing on my grave. Now I am dead forever. What I have done that nothing left without the grave.
After three month,
In those months I stayed in the graveyard, some people came and visit my grave, I made a friend called Violet, I like the name Violet. There are also cute guys around here but I like one of them named Evan, I guess he also likes me. he said, he forgot to give a letter to someone but he couldn’t reach him cause of his death and now he will not leave the world until the person get the letter. I wish the person never gets the letter and never go away.
My mom seats on the steps of my grave and starts crying. She puts some bloom gerberas on my grave and I walk to her. I love gerberas specially those blooms. Nobody used to give me flowers before, I love receiving flowers and now I am dead so everybody gives me flowers, lots of flowers, I don’t need flowers anymore. She says crying, “why did you do that? Why? I would listen to you and let you become whatever you wanted to be, then why?”
I say, “no you wouldn’t.”
I see my sister and dad comes over to my grave. My dad touches my mom’s shoulder and I see a book in my dad’s hand written on the cover ‘Variant by Natasha Wilson’. I wrote a novel before I died and I wanted to write more but I decided to die. He put the book on my grave and left.
After a year later,
What a bad luck, Evan left because the person got the letter so he was free. I want to go too just like him somewhere. Many people came to visit me, most of them where my fans. I have lots of fans now and I heard I got some awards and my book became one of the bestselling books. My sister came to visit me. she is eighteen months younger than me but I always have been jealous with her in everything.
She sat and said, “I read your all wishes and journals. I decided to make your wishes come true. now your wish will come true. There gonna be a movie about your book but I am gonna act as the main character.” He face looked happy.
Everything was finished, I didn’t want to make a movie about my novel if I wasn’t in the movie and I didn’t want her to be in there at all.
She continued making a sad face, “We really miss you, I wish you weren’t dead.”
with my elder daughter Purba Atandrila
Nothing is left, I am sure that I will be never able leave the world because everything happened against my wishes. Now I have only one thing to say and that is, “If, I wasn’t dead.i have to stuck here forever between life and death. ”
পরিশিষ্ট/৪
কবি কাজল শাহনেওয়াজের কবিতা
বাহাদুর
প্রতি সন্ধ্যায় দেখি তাকে হেঁটে হেঁটে হারিয়ে যেতে, চলে যায় কোথায় যেন
লাল টানেলের করিডোর ঠেলে প্রেমিক প্রেমিকার মাঝ দিয়ে
লাইব্রেরীর কাঁচ ভেদ করে এলামন্ডার উজ্জ্বল হলুদ পাপ ছুঁয়ে
সে যেন কোনো এক অসীম বলবান শক্তিশরীর হয়ে
অদৃশ্য হয়ে যায় খোঁড়াতে খোঁড়াতে।
এইতো ছিলো সে এই অন্ধকারে, খুঁটে খাচ্ছিল
ভিটামিন, শর্করা, সেলুলোজ, খনিজ কিছু কিছু
পরক্ষণেই সিমেন্টের ঢেউ ভেদ করে অন্যদিকে রাজপথে
খুট খুট করে হাঁটছে একাকী একা একা
সারারাত মাঠময় ঘুরে ঘুরে হাঁটে, দু’এক কদম
থমকে দাঁড়ায় লেভেল ক্রসিংয়ে, দূর থেকে দেখে
নতুন স্টেডিয়ামের হংশবলাকা ছাদ, ধীরে ধীরে হাঁটে
হাঁটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের হাতে আহত করা
অপারেশন শেখার গিনিপিগ ঘোড়া
রাত শেষে পেরিয়ে যায় তুঁত গাছ, আকাশের তারাদের দিকে।
আরো একবার ফিরে আসে
যেন ভালোবাসার লোভ হয় অপারেশন ঘরে...
রহস্য খোলার রেঞ্চ
হাত থেকে পড়ে গেলো ইস্পাতের রেঞ্চ ঝনঝন শব্দ করে
মেঝে মেঘলাতে
এমন সময় সোনা গাভী এসে মুখ দিলো হীরের ঘাসে
ওয়ার্কশপে যন্ত্রপাতির কাছে
আমি ঘষে যাই লোহার কবিতা
একা একা
কবে থেকে
টুকটাক ধাতুখন্ডদের সাথে কথা বলি
গল্প বলি নেবুলার বড়ো হয়ে ওঠা
মহাকাশযানের আজীবন একা থাকা
চতুর্মাত্রায় অনন্ত জীবন
কোয়ার্ক নাম ধরে ডাকি, ওগো দরোজা খোলো, জানালা খোলো
আমার কথা শোনো
কিউব, ট্যাপার আর গিয়ারের ফুলেরা
আজ কি যে হলো আমার
হাত থেকে কেন যে পড়ে গেলো ঝনন করে
রহস্য খোলার রেঞ্চ
সোনার গাভী এসে মুখ দিলো আমার
বাগানের হীরের ঘাসে
অচেনা ধাতুর এক গাভী এসে।
পরিশিষ্ট/ ৫
কবি তুষার গায়েনের কবিতা
(বৃষ্টির অন্তরত্রাস থেকে)
একাত্তরের খনি
( রৌদ্র ঝলসিত পথে সময়ের সহিস, আবুল বাশার খান বন্ধুবরেষু)
জোনাক হয়ে জ্বলছে আকাশ আখের বনে
নদীর জলে দগ্ধ হাড়ের ফসফরাসে
স্তব্ধ ছায়া ডুমুর গাছের ফিসফিসানি
কলার পাতা কাঁপতে ভোরের তারার রাতে।
আমার যাবার কথা ছিলো অনেক সে দূর
পথের পরে পা বাড়াতেই আর্জিনাপুর
পথের পাশে জবাপুকুর, ভয়াল কালীর
পূজার ফুল- লাল জ্হিবার দলচক্র
মেলে আছে মৃত্যুমুখ ... বুক ধুকপুক
ধুকপুক বুক, উঠোন ছেড়ে অশ্বত্থছায়া
পা যে দুটোই কাদায় মাখা, ভাবছি জলে
পা ধুয়ে যাই, হাঁটতে হবে অনেক দূর ...
একটু থেমে ঘোরের মাঝে টিপকলে চাপ
দিতেই জল, গলগলিয়ে উঠে এলো
জল সে নয়, রক্তঢল! আঁতকে উঠে
তফাৎ যাই, রক্তে ভাসা শাদা শাঁখা
ভাঙা চুড়ি দেখতে পাই ... 'কার এ শাঁখা
ভাঙা চুড়ি? - কেঁদে ওঠেন কাজলদিদি
'একাত্তরের মাঠ পেরোতে, খান সেনারা
আমায় ধরে!' ... স্তব্ধ আমি, পা সরে না
জনমানুষ রা করে না। এক পা দু'পা
এগিয়ে যাই, জলের কলে হাত লাগাই
ঘরঘর শব্দ তুলে সফেন ঘিলু
বেরিয়ে আসে, ভাঙা কাঁচের চশমাখানা
বিদ্ধ আছে স্নায়ুর জালে - আঁতকে উঠে
শুনতে পাই ... 'গুরুমশায়, আমি যে তোর
একাত্তরের পাঠশালায়!!' হায় রে হায়
কি যে করি কাকের ছায়া মাথার পরে
জনমানুষে হুমড়ি খেয়ে জলের কলে
ভিড় করে ... গলগলিয়ে উঠতে থাকে
মগজ এবং মাথার খলি, উৎপাটিত
চক্ষু এবং পেটের নাড়িভূঁড়ি
ক'জন তারা ক'শতজন বুটের লাথি
বেয়নেট গুলি খাওয়া ঝাঁঝরা বুকে
মাটির তলে সেঁধিয়ে আছে? মাথার পরে
সূর্য বাড়ে, অবরুদ্ধ পথের পরে
ত্রিশটি সাল উধাও হয়ে কোন অতীতের
প্রদোষকালে, রক্তঘন দৃশ্যগুলো
একের পর নাচছে ঘুরে ... নিথর ছায়া
গাছের তলে, সাক্ষী থাকে জনমানুষে
এগুতে যাই চেতন হারাই ভয়াল কালীর
পায়ের তলে!
পরিশিষ্ট/ ৬
(কবি আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহর কবিতা/ পলাশী ও পানিপথ)
পলাশী
জিজ্ঞেস করো ঘোড়া হে উড়ন্ত অশ্ব তোমার পিঠে কে ভাসমান
জিজ্ঞেস করো প্রবর্তক পথিক অথবা গোপন রাজদূত কিনা
জিজ্ঞেস করো জিজ্ঞেস করো কারণ সম্মুখে আমাদের গণজমায়েত
কারণ এটি জানা দরকার আরোহীর আগুন আমাদের ভিটেমাটি কতোটুকু পোড়াবে।
জিজ্ঞেস করো হাতি হে উজ্জ্বল ঐরাবত কতোদূর যাবে
অথবা কাকে নিয়ে যাবে জিজ্ঞেস করো
জিজ্ঞেস করো কারণ সম্মুখে আমাদের ভোজসভা
কারণ এটি জানা দরকার কী সংবাদ ছিন্ন করে দেবে
ক্ষুদিরামের কন্ঠ।
ঘোড়া আসছে ঘোড়া যাচ্ছে। আমাদের গ্রাম্য চুল্লি ভরা
বিরামবীন বরফের স্তর।
ইংরেজ আসছে নবাব নামছে। আমাদের পিতা প্রপিতামহের
সমাধি কঙ্কাল।
আমাদের পলাশী বলতে আমার একটি বোন
আদিঅন্তে ভাতের থালা হাতে পথে পথে ঘুরছে
তার অনাগত সন্তানের নাম সিরাজদৌল্লাহ।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন