সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০০৯
কবি সেলিনা শিকদারের কবিতা
রোমা ক্যাফে
..........
আমাদের সম্পর্কের গিট্টু ছিঁড়ে চলে গেছে সহজাত প্রাণ,
আর প্রতিবেশী শাদা মেয়েটির - প্রিয়তম বয়ফ্রেন্ড।
সকালে প্রায়ই ঘুম থেকে উঠে আমি ঢাকাই বাঙ্গাল আর
ইতালিয়ান বংশোদভুত আমেরিকান নারী ডেবি -
রোমা ক্যাফের নাস্তা টেবিলে দুই জনে একসাথে হই;
পুরুষ জাতির প্রতি ক্ষুদ্ধতায় শুরু করি দিন।
বলি - "পুরুষগুলোকে দেখেছো? ওরা ভালোবাসতে জানে না...
স্বার্থপর...গুল্লি মারো...হ্যাঁ গো তোমার নতুন ছেলে বন্ধু হলো ?"
খয়েরী টেবিলে আমাদের ঘন গাঢ় শ্বাসে প্রশ্বাসে
কেরামেল কফির সুবাস ভাসে বাতাসে,
ভারী গন্ধে বুক ভরে যায়।
কাপে চুমুক দিয়ে ডেবি বলে - "সেটা ছিল ব্লাইন্ড ডেইট।
সৈকতের অন্ধকারে গর্জন শোনার মতো সেই সোল-মেট"।
ম্যাজিশিয়ানের যাদুর টুপির মধ্যে যতোই বাড়িয়েছি
চেতনহীন আচ্ছন্নতার উৎসুক একটা হাত,
বারেবারে ফিরে এসেছিলো সমুদয় পূর্নিমার রাত।
দেখি ঘুরে ফিরে আজো রয়ে গেছি সকলেই গাঢ় অন্ধকারে।
ওই নীল আঁধারের নাম পুরুষ ছিল কি? তাই ছিল...।
বিশাল পুরুষ দেহ ঘিরে অন্তহীন আধাঁরের জল
শুধু নীল অন্ধকারে, নৈকট্য দিয়েছে তারে সবুজের আভা।
আলোর নিচে সে যে আমারই নীল ছায়া - নিয়তির গাঢ় অন্ধকার।
মানুষের জনপদে প্রাণের উত্থান
প্রেম কিংবা জীবনের ক্ষয়,
সবুজের স্বচ্ছ নদীটিতে থেমে গাঢ় লাল বিপ্লবের বান ডেকেছিলো।
আজকের ছায়াহীন ভূমন্ডলে আফ্রিকা- এশিয়া- অস্ট্রেলিয়া-
আরো বহু বিভক্ত হৃদয়। ইতিহাস যেন এই আমারই কাহিনী।
যুগের অচেনা কোনো সময়ের গহ্বর সামনে দাড়াঁনো,
ইউরোপীয় জাহাজের পালে তবু বন্ধ দু'চোখ মেলেছি ,
পলিমাটি দেশটির খোঁজে।
সবুজাভ অচেনা রোমশ বুকে থেমেছিল অভিযাত্রী হাল।
কলম্বাসের ইলিউশনে ভুল-প্রত্যক্ষণে
পুড়েছিল অভিযাত্রী সভ্যতার নক্ষত্রের রাত;
লম্বা চুলদাড়ি ধরে বশ মানিয়েছি যত গোত্রজ সংস্কৃতি।
অসীম সম্প্রীতি বুকে প্রকৃতিকে ভালোবেসে বেঁচে ছিলো যারা
আদিবাসী সেই সব শত শত মানুষকে পদানত করে
রোমশ বুকের ভূমির উপরে আমরা উড়িয়েছি অজস্র পতাকা...
আমাদের ওই মোহ পুরুষের নাম ছিল নর্থ আমেরিকা।
কালের তিলক
..........
রাষ্ট্রের সীমানা বেধে আকাশকে পরাধিন করেছে যে প্রেম,
হৃদয়ের ডানা মেলে কিছুতেই যখন আর স্বস্তি হয়না,
স্বাধীন ইচ্ছায় পেশীপূর্ণ হাতের থাবা যখন - নিয়ন্ত্রন;
নিজের পতাকা গেড়ে যেন এক বনমানুষ হুংকার ছাড়ে;
বর্বর যুগের যে প্রেম মনকে এইভাবে চোরাপথে ধীরে
নিয়ে যায় ক্রমাগত জীবাশ্মের প্রাচীন সংস্কারে -
প্রতিশ্রুতিমুক্ত সম্পর্কের কোষে প্রোথিত জমাট অবিশ্বাস
আর অধুনিক জীবন দখলে রাখে যেই সাম্রাজ্যের প্রেত -
তার থেকে সরে গিয়ে - অপ্রেমের যতো বিস্ফারক ক্ষোভ,
তীব্র রোষ, প্রতিশোধ - ব্যর্থপ্রেমে যতো অপরাধবোধ,
সম্বালহীনের কন্ঠরোধ - সেই সব থেকে যতো দূরে থাকি -
সব স্বার্থপর মোহ থেকে হৃদয় আমার যতো মুক্তো রাখি
ফাগুনের শিওরে দাঁড়িয়ে চেয়ে থাকি যতোই মরু তৃষায়
স্পর্শের বাইরে রুমঝুম সুর সুদূর মেঘের আঙিনায়।
নীল নদ সিন্ধু গঙ্গা তীরে অচেনা কোন জনবসতি থেকে
ইভ যদি আজ বির্বতিত নতুন আদলে হাত ছানি দেয়,
সময়ের দুটি হাত বাড়িয়ে বুকের মাঝে যতো ডাকাডাকি,
মরিচিকা হয়ে বহু দূরে - প্রেমিক পুরুষ - তুমি স্বপ্নবাদী|
তোমার সাম্যের গান রোমান্টিক আবেশের মতো নিরালায়
আমার সমস্ত গাঢ় অনুভূতি ছুঁয়ে কেন পলকে শুকিয়ে যায় ?
হৃদয়ের গভীরতম রোমান্টিকতার নাম সমাজতন্ত্র ?
বুকের গভীর উষ্ণতায় যে শিশুর সুপ্ত স্বপ্ন মিশে থাকে,
প্রজাপতি পাখী আর শিশু - দৃষ্টি সরে গিয়ে থামে তার দিকে,
উল্টো হয়ে ঘুমিয়ে রয়েছে শিশু - বৃষ্টিভেজা ভোরে,
আমাদের হৃৎস্পন্দনে যে শিশু কেঁদে ওঠে ঘুমের ঘোরে
ভ্রুণের ভাষার মতো তার নামও বুঝি সমাজতন্ত্র !
আজকের আদমের মন - অনুরাগে যদি হয় স্নিগ্ধ চাঁদ
পৃথিবীর বুকে শুধু রূপা ঝরা শান্ত এক পূর্নিমার রাত!
ভালোবেসে আজকের আধুনিক ইভ - কেবল স্রোতের ঢল,
হয় যদি আদমের বুকে কোনো নদী - টলোমলো ঢেউজল!
মাঝলা ধবল বক
.............
মাঝলা ধবল বকদের
তোমার কি মনে আছে?
এক সময় বাংলার নিম্নজলাভূমে ছিল ওদের আবাস -
অন্য সব ছোট বড়
জাতের বকের সাথে
বিভিন্ন রঙিন
স্বপ্ন বুনে চোখের সবুজে
বাসা বানাতো পানির ধারে গাছের গেরুয়া ডালে।
তোমার কি মনে আছে মাঝলা ধবল
বকদের কথকতা ?
আষাঢ় শ্রাবনে প্রজনন উৎসবে
বর্ণিল মিহি পালকের
ঝালর উড়িয়ে বকআত্মা শীষ দিয়ে ওঠে - বুঝি আমার স্বদেশ
সরু চঞ্চু তার গর্বে কৃষ্ণবর্ণ - প্রেমের আবেশ ।
দু' চোখের চারপাশে সবুজের খেলা - মোহনীয়া রেশ।
তখন বোঝেনি কেউ
কোনদিকে নদী তার
মারবে গোপন টান
কোনদিকে প্রকৃতির
চোরা ভাটা
কোনদিকে স্রোতের উজান।
বদলে গেছে পৃথিবীর পরিবেশ।
ধরনীর ছোট্ট দেশ - বদলে গেছে বাংলাদেশ।
উড়ালের কালে বিমান বন্দরে বসে
বুকের ভেতর তীব্র আর্তনাদে টের পাই
মাঝলা ধবল সবশেষ বকটার বুকফাটা কান্না।
আমারই অনুভব - আস্তিত্বের প্রতিচ্ছবি যেন
বিলুপ্ত প্রজাতি শেষ - শাদা স্বপ্ন- হায় উড়ে যায়!
যেতে যেতে বুক থেকে খসে পড়া
একটা একটা শাদা পালক
স্মৃতির বর্ণিল রেশ
পৃথিবীতে আজ তাজমহলের শীষ ...
বারবার
কিন্তু উধাও বাতাসে
দূরবর্তী দেশে।
গ্রামে গ্রামে
খালে বিলে
নিম্নজলাভূমে
তুমি হয়তো আমাকে আর দেখবেনা
এক পা আয়েসি
চিরন্তন নিভৃত স্বভাবী|
এতো ভাষায় উপভাষায় কথা কই
নিসর্গের কানে কানে
তবু জানিনা বিরল হতে হতে সময়ের হাতে
নিমর্ম কেন নিঃচিহ্ন হই বারবার
মাঝলা ধবল বক বেশে
সরু চঞ্চু প্রেমগর্বে কালো!
শেষ কথা
(ইরাকের নিপীড়িত জনসাধারণের প্রতি উৎসর্গীত)
.....................
কাহিনী
আজ ভোরে রেডিওতে একটি ঘটনা শুনলাম/ বিবরণে ছিলো মানব মৈত্রীর বাণী/ মন দিয়ে শুনি... মনে ভাসে দৃশ্যাবলী:/
ইরাকের স্বপ্নধৌত এক সাধারণ জনপদ, /হঠাৎ শত্রু সেনাবাহিনীর পদভারে আতংকিত/ ত্রাস ভয় ভেংচি কাটে চারদিকে/ আক্রান্তরা ভীত / যারা আক্রমনকারী (মার্কিন সেনাবাহিনী) ভয়ে আজ শংকিত তারাও। / ভয় এমনই এক রোগ, মৃদু বাতাসের শো শা / শব্দে মার্কিন সৈন্যরা শোনে হিমালয় শৃঙ্গে ঝড়ের মাতম। ভয়ানক ঝড়ের পরেই/ যেন মৃত্যু খুবলে খাবে - দেহ মন/ সীমাহীন সূর্যাস্তের অন্ধকারে অপহৃত সমস্ত জীবন/
সন্ধ্যার আকাশে ডানা মেলে আছে অলিক সময়/ চারদিকে কার্ফিউ তখন। মার্কিন সৈন্যরা দেখে/ কারা যেন আসছে এগিয়ে/
আসছে দ্রুত ক্রমশই মুখোশধারী, কাঁধে কাঁধ/ ঘন দীর্ঘ এক অশেষ মিছিল/ অস্ত্র হাতে কি না, সন্ধ্যার অন্ধকারে দেখা মুস্কিল।/ মুখোশে আবৃত মুখ - মৃত্যুর মিছিলে / রাজপথে কাতারে কাতারে কারা ওরা ভীতিময়?/ সমরসাজে সজ্জিত সেনা সব ভয়ে ত্রস্ত্র/ অস্ত্রের উদরে জ্বলজ্বলে বুলেটের ফুলঝুরি/ বিস্ফারক হুকুমের অপেক্ষায় বাধ্য ভৃত্য - স্তদ্ধ /
সৈন্যদের মনের ভেতর ভয়ংকর ভড় /ছায়া অন্ধকারে আতংকের শত তলা জাদুঘর / সন্দিগ্ধ মার্কিন কমান্ডার, এর মাঝে হঠাৎ তার/ আদেশের দৃঢ় কন্ঠস্বর - "সিজ ফায়ার! সিজ ফায়ার!"/
স্বশস্ত্র বেবাক তরুন সৈন্যরা সব হতবাক/ ওরা ভাবে : আগন্তুক বেশে সমুখে নিশ্চিত যম - /এমন বিপদে তবু কেন হুকুমের মতিভ্রম!/ অগত্যা সৈন্যরা দ্রুত একসাথে নিরস্ত্র সকলে,/ মনে মনে যেন ওরা অবনত মৃত্যুর দুয়ারে/
সেদিন সন্ধ্যায়/ রাজপথে যারা বের হয়/ ইরাকের একদল প্রতিবাদী সাধু / প্রত্যেকে মুখোশ খুলে সৈন্যদের পাশ দিয়ে ধীরে/ নিজ পথে চলে গেলো হেটে। ঘৃনা বিবাদের পরিবর্তে /স্মিত হাসি শান্তিপ্রিয় সকলের মুখে/ (এভাবে সেদিন অকারণ রক্তপাত থেকে সত্যি/ রক্ষা পেয়েছিলো মানুষের বিবাদী স্বভাবে শ্রান্ত পৃথিবীর এক ফোটা মাটি।)
গীতিকা
.........
অস্তিত্বের টানে নিজের জীবনে সব প্রাণ জয়ী হতে চায়।
বিস্ময়ের রঙধনু আকাশের তলে বসে তাই
শতরঙা প্রশ্ন আসে মনে - শত প্রশ্ন করে যাই:
আত্ম সমর্পনে শত্রু মিত্র সত্যি এক সাথে জয়ী হয়ে যায়?
যদি বাঘের সামনে হরিণ আর কোনো সাপের সামনে ইদুর?
জীবজগতের সত্য বেয়ে আজ মানুষের ধর্ম কতো দূর?
সূচালো শীতল তেজি সামুদ্রিক হাওয়ার দিকে
মুখ করে ডুবে যাই আরো এক গভীর বিস্ময়ে:
সমস্যার ছদ্মবেশে সমাধান হাটে পাশাপাশি?
প্রশ্নের সমুদ্রে ভাসি দিনরাত অদক্ষ সাতারু,
বৃক্ষের নিয়মে বিস্তারিত যাবতীয় চিন্তাগাথা
গহীন অন্তরে চিরদিন শত প্রশ্নের শেকড়,
জ্ঞানের সমুখে খুঁজে হয়রান প্রকৃত সত্যের ধ্রুবতারা -
দেখি তাসের ঘরের মতো ক্ষয়া - জ্ঞানের মাপক যতো !
অজানার অন্ধকারে তাই বুঝি দেখি রহস্যের পায়চারী ?
শাদা চোখে দেখি না কিছুই...
অনুমানে বলো কোন পথে তবে চলি ?
যতো প্রশ্ন ততো বেশী না-জানার ভয়, যতো উত্তর তারও ততো অজানা সংশয়,
সবকিছু এক পাশে রেখে তবু মন বলে আজ:
পৃথিবীতে যতো হৃদয় দুষণ, যুদ্ধ
ঈর্ষান্বিত নরনারী
আমাদের চারপাশে তার চেয়ে বহুগুন বেশী সহমর্মী।
মানুষের অনুভবে কত রঙ, কত আশা, স্বপ্ন
কত ভয়
কোনো অনুভব কোনো রঙ তবু শেষ কথা নয়।
দরজার ওইপাশে
..........
বেহালার ছড়ের আবেগে
আড়ঘাতে লেজ নাড়ে বসন্তের পাখী।
সকালের মিষ্টি রোদ কড়া নেড়ে ডাকে:
" সোনামনি ভোর হলো, ওঠো।"
আল্গোছে দরজা খুলে যায়
দরজার ওইপাশে কোনো ঘর নাই।
আমার অজস্র শ্রান্ত সোনামনি অনাদরে
ফুটপাতে গড়াগড়ি যায়।
ঢাকা গেট পার হয়ে দেখি
শহরের আবাসে নিবাসে কতো ঘর,
কতো বাড়ী - কতো দ্বার - কতো দ্বারী!
শুধু আমাদের দরজার
ওইপাশে ঘর নাই।
বাতাসের হুংকার সজোরে বলেছে
"ঘরে যাও, ঝড় হবে দেশে"
আল্গোছে দরজা খুলে যায়
দরজার ওইপাশে কোনো ঘর নাই।
বাংলার আত্মীয় আর পরিবার
পলিথিন মুড়ে
শুয়ে থাকে বাঁধের উপরে।
বন্যার মৌসুমে কতো কতো দানের দরজা
শুধু আমাদের
দরজার ওইপাশে কোনো ঘর নাই।
সুদূরিকা
........
পাল রাজাদের বিজয় স্তম্ভের উর্ধ্ব গ্রীবা গর্বে
নিষাদ ভাষার মতো একটি সুরভী মোমবাতি - স্তম্ভাকার
গত রাতে সারা রাত মাথা তুলে জেগেছিলো
শোবার ঘরের আলো আধাঁরির
সুপ্রাচীন কর্মফল - নির্জন রহস্যে কেউ যেন জেগেছিলো।
অনিবার্য অগ্নিকলা - আলুথালু
তার কাছে নিজেকে আপন মনে
খুলে দিতে দিতে
স্তম্ভ আকৃতির মোমবাতি মন
কতটুকু ধরে রেখেছিলো
আপন সত্তার গাঁথা ?
সেই আদিম আকারে
এতো এতো আল্পাইন সমারোহে?
অঙ্গারিকা মোমের সুবাসে ভাসে স্বপ্নাচ্ছন্ন রেশ;
বাষ্পরুদ্ধ অস্তিত্ব সংকট - চেয়ে দেখি অনিমেষ
অবশিষ্ট ভস্ম শুকে দেখি তবু
দেখি হাওয়ায় হাওয়ায় অন্য এক নতুনের দেশ -
বিশ্বময় বাতাবীর বাসে সবুজ ভাষার দূরদৃশ্য
পৌরানিক সেই এক রত্ন !
জন্মান্তর কিংবা রূপান্তর - তার চিন্তায়
তবু যেন
আমি শুধু এক পরবাসী সুদূরিকা ।
শূন্য হাত
......
ঘুম ভেঙে জেগে পেটে হাত!
আশটে দাঁত মেজে মেজে পরিচ্ছন্ন এক কারখানা ।
মনুষ্য বাজার, কাজ করে ভাত।
ফিরতে পথে থামি মুগ্ধ মনে
রোমান্টিক গান শুনি। মনটা ভাসাই ভারসাম্য বিধানের হরমোন নিঃসরণে ।
বিকেলের বয়স ফুরালে ফিরে আসি
নিজের পিঞ্জরে।
ভাবি বাউল পাখীর কথা।
ঘরের সুইচ টিপে সন্ধ্যাবাতি জ্বালি।
অজ্ঞতা কাটেনা তবু।
এইভাবে সারাটা দিন জীবনের টানে
দেহ আর মন - আমাদের দুজনের বেলা কাটে।
ঘুম ভেঙে জেগে উঠেছি সকালে - খালি হাত,
আবার ঘুমাতে যাচ্ছি রাতে - দেখি শূন্য দুটি হাত।
লেবেলসমূহ:
কবিতা,
সেলিনা শিকদার,
সেলিনা শিকদারের কবিতা
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন