শীতে লেখা ডায়াস্পোরা
...............
তুষান গায়েন
রাত্রি-ঝরোকা
........
আজ রাত কোটি কোটি বরফের ধূ ধূ কণা
ব্যাপ্ত কালো অন্ধতার গায়ে আদন্ত নখ
শ্বেত ভল্লুকের থাবা
বাতাস সংঘর্ষে কাটে
চূড়ান্ত নৈরাজ্যে
বিভক্ত জাতির আত্মঘাতী কলহের মত
পরস্পর এলোমেলো
উল্লম্ব ও আনুভূমে
আ ... আর্ত চিৎকার
পাতাহীন নিঃস্ব কালো, নিঃসঙ্গ গাছের ডালপালা
ভীত ত্রস্ত জড়িয়ে পেঁচিয়ে সাঁই সাঁই বাতাসের
বেগ থেকে কোনোমতে বেঁচে যেতে চায়
ধারা ... ধারাপাত বরফের
নৃত্যরতা সাদা মেয়ে পোষাকে স্বাধীন
অনুপম কোমর ভঙ্গিমা
জ্বলে অগ্নি নিম্ন নাভিদেশে
পদতলে ভাঙে বরফের কাঁচ
জমে জমে জমাট বরফ এই
জ্বলজ্বলে মাটির উপরে
ধারাল নক্ষত্রমালা ...
আমি যাই বলো জল, কিভাবে গহন ঠেলে ঠেলে
বর্ণহীন নিরাকার এতদিন জেনেছি তোমাকে,
আজ অবধূত সাদারূপে সয়লাব পথে ও প্রান্তরে
ঝিকমিক হাসো সাদা দাঁতে
তাতে যে আমার দূরত্ব বাড়ে
এই রাত প্রোষিতভর্তৃকার মত
দূরে এক নিঃসঙ্গ শয্যা পড়ে আছে ...
নিশিঘর
.....
এত যে বরফ বালি উড়ে উড়ে এসে পড়ে
জমে জমে আলোকিত সাদা আয়তন
প্লাবিত জমাট ঢেউ আলো আঁধারিতে
মসৃণ গম্ভীর ভাঙে পায়ের আওয়াজে মচ্ মচ্
তার চেয়ে এসো গড়ি বরফের ঘর
দু’হাতে সরিয়ে ফেলে রাশি রাশি
তুষার ঘনক থেকে শূণ্যতা বের করে আনি
সারি সারি বরফ স্তম্ভের পরে ছাদ, শুয়ে থাক প্রবল জমাট
অস্বচ্ছ মেঝের মোজাইক, জানালায় স্বচ্ছ আবরণ
চেয়ার টেবিল ঠিক ঠাক -- বরফে নিপূন কারূকাজ
ভেতরে একটু ঘুরে পানশালা, লালমদ, যোনির প্রদীপ।
সূর্যরাগ
......
সে কেমন ঘর আমি বানিয়েছি জলের প্রাচীরে
উগ্রপন্থী বাতাস এসে ঝাঁকে ঝাঁকে ছিদ্র করে ফেলে
হিমরাত যদি কাটে কোনোমতে চাঁদের আলোয়
সকালের সূর্য এসে প্রখর ধমকে
স্ফটিক স্থাপত্য নেয় দ্রুত গলনাঙ্কে টেনে
বলে, তিনরুপে বিরাজিত তুমি
তোমার স্থিতি নেই কোনো
নিশ্চল হয়ো না তুমি কখনও কোনো প্রেমে
উৎসারণ সত্য শুধু জেনো, যুগ যুগ, আকার ও বর্ণগতভেদে !
টরন্টো, ফেব্রুয়ারী ২০০৯
রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০০৯
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন