রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০০৯
জাহানারা ইমাম : যাঁর মৃত্যু নয়, জীবনটাই সত্য
ইফতেখার আমিন
(০১)
বেদনার মতো নীল আকাশে স্বপ্নের মতো ভাসছিল ছেঁড়া ছেঁড়া সাদা মেঘ। অসংখ্য মানুষের বিষন্ন চোখ তার মধ্যে খুঁজে বেড়াচ্ছিল একটি বিমান। দীর্ঘক্ষণ থেকে রোদ মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। তারপর সূর্য যখন হেলে পড়েছে, ম্লান হয়েছে রোদ, আকাশের গায়ে ভাসতে দেখা গেল বিমানটিকে। আপেক্ষমান মানুষের মধ্যে তখন স্তব্ধ-গম্ভীর উত্তেজনা। ক্রমশই বড় হয়ে উঠছিল বিমানের অবয়ব। একসময় স্পষ্ট দেখা গেল বিমানের রং টি আকাশের মতোই সাদা আর নীল।
বিকেল চারটা পঞ্চাশ মিনিটে ব্রিটিশ এয়ার ওয়েজ বিএ-১৪৮ নম্বর ফ্লাইটের ৭৪৭ বিমানটির চাকা স্পর্শ করল জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে। তারপর দৌড়ে এসে থামলো রানওয়ের ঠিক উত্তর মাথায়। কান ফাটানো গর্জন থামতেই দরজা খুলে গেল বিমানটির। জুড়ে দেয়া হলো সিঁড়ি। যাত্রীরা নামতে শুরু করলেন একে একে। হয়তো তাদের অনেকেই জানেন না তাদের সঙ্গে আরো একজন ফিরে এসেছেন চিরতরে তাঁর আপনার মাতৃক্রোড়ে। কিন্তু তাঁকে আর দেখা গেল না সিঁড়ির মাথায় হাত উঁচিয়ে দাঁড়াতে। যাবে না আর। তার এখন অন্য পথে আগমন, অন্য গৃহে শয্যা।
উল্টোদিকে, বিমানের ডানপাশে খুলে গেল সেই দরজা। নীল রঙের কনটেনার বেরিয়ে এলো বিমানের পেট থেকে। অপেক্ষমান মানুষের দৃষ্টি এই দ্বিতীয় দরজায়। প্রথমে ছোট আকারের তিন-চারটা কনটেনারের পর বেশ লম্বা বড় একটা কনটেনার বেড়িয়ে এলো বিমান থেকে। নড়েচড়ে উঠলো অপেক্ষমনাদের দল, তবে কি এই সেই প্রতিক্ষার ধন। এই দীর্ঘকায় কনটেনারে চড়েই কি প্রথম আর শেষ বারের মতো নিজ ভূমে ফিরলেন সকলের পরম শ্রদ্ধেয়া, বাংলার শহীদ জননী জাহানারা ইমাম! তারিখটা ৪ঠা জুলাই ১৯৯৪। যদিও দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সাথে বিরুদ্ধ বসবাসে অবশেষে অবসিত হলেন ১৯৯৪ সালের ২৬শে জুনে লক্ষ হাজার মাইল দূর পরদেশে।
(০২)
জুড়ু– ওরফে জাহানারা ইমাম ১৯২৯ সালের ৩মে মুর্শিদাবাদ জেলার সুন্দরপুর গ্রামে ,ত্রিশ-চল্লিশ দশকের রক্ষণশীল বাঙালী পরিবার বলতে যা বোঝায় তেমন এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। জুড়ু–র বাবা সৈয়দ আবদুল আলী ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট। মনেপ্রাণে তিনি ছিলেন অত্যন্ত আধুনিক। কিন্তু জুড়ু–র দাদা ছিলেন সেকালের আমলের বিশ্বাসে বিশ্বাসী। তিনি বিশ্বাস করতেন যে মেয়েদের বাংলা পড়াটা ছিল গুনাহ্ -র কাজ। তাই তাদের বাড়িতে কেবল কোরান শরীফ পাঠ করানো হতো। স্ত্রীকে লেখাপড়া শেখাতে পারেননি বলে ডেপুটি সাহেব তার চার মেয়েকে ঠিক ঠিক শিক্ষিত করে তোলেন সমস্ত পারিবারিক আর সামাজিক সংস্কারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে।
পড়াশোনা করতে জুড়ু–র ভালো লাগতো না। ক্লাস সিক্স পর্যন্ত পড়তেই সে অস্থির- আর পড়বে না এমন একটা সিদ্ধান্ত যখন প্রায় পাকা, তখনই মটকা চাচার ( বাবার পুরনো বন্ধু) কাছে জওহরলাল নেহেরুর বোন – উচ্চশিক্ষিতা, সভা সমিতিতে বক্তৃতা দিতে পটু এবং স্টেটম্যান পত্রিকায় হাতাকাটা ব্লাউজ আর ববছাঁট চুলের- বিজয়লক্ষী পন্ডিতের ছবি দেখে মুগ্ধ জুড়ু সিদ্ধান্ত পাল্টালেন- আমিও বিজয়লক্ষীর পন্ডিতের মতো লেখাপড়া করব!
সেই যেন শুরু। তারপর আমৃত্যু যিনি নিজের সাথে নিজেও আপোষ করেননি। জীবনের নানা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যিনি থেকেছেন পাহাড়ের মতো অটল। ভবিতব্যের মুখোমুখি হবার অপার সাহস নিয়ে এগিয়ে চলেছেন তিনি।
জাহানারা ইমাম ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সার্টিফিকেট অন এডুকেশন ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম.এ. করেন। তারপর টানা ১৪বছর শিক্ষকতা করেছেন ময়মনসিংহ বিদ্যাময়ী গার্লস স্কুল ও ঢাকা সিদ্ধেরশ্বরী গার্লস স্কুল সহ তিনটি স্কুলে। দু’বছর অধ্যাপনা করেন ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে।
(০৩)
স্বাভাবিক নিয়মেই চলছিলো জীবন। রাজনৈতিক মতবাদ থাকলেও তার বাবা চাননি মেয়ে রাজনীতি করুক, চাননি আরও একজন-শরীফ ইমাম। ফলশ্রুতিতে শরীফ-জাহানারা জুটিও পারিবারিক বিধিনিষেধের গ্যাড়াকলে আটকে গেলো। এরকম টানাপোড়েনে পরে জাহানারা ইমাম অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলেন-
“আমি অনেক বিভ্রান্ত চিন্তাভাবনা ও নিঃসঙ্গ অশ্রুজলের ভেতর দিয়ে এ সিদ্ধান্তে উপনিত হলাম যে আব্বাকে অসন্তুষ্ট করে ,শরীফকে অসুখী করে অনিশ্চিত রাজনীতির পথে পা বাড়ানোর আদর্শ আমার নেই। আমি আমার প্রেমকে ত্যাগ করতে পারলাম না, আমি আমার অস্ফুট, অপরিনিত রাজনৈতিক মতাদর্শকেই ফিরিয়ে দিলাম।”
কলেজ জীবনে নেয়া এই সিদ্ধান্তে আজীবন অটল থাকতে পারেননি জাহানারা ইমাম। তাঁর মাঝে আগুন ছিলো, সে আগুন বরাবরই ছিলো নাকি একাত্তরে প্রতিদিন একটু একটু করে সংগৃহীত হয়েছে সমাধি- তারপর তা ধিকিধিকি জ্বলেছে আগুনে, আর দাবানলের মতো দেখা দিয়েছে বিশ বছর পর। “একাত্তরের দিনগুলো” যিনি পড়েছেন তিনি জেনেছেন জাহানারা ইমাম থেকে শহীদ জননীতে তাঁর রূপান্তরের ইতিহাস।
স্বামী, দুই পুত্রসন্তান,আত্মীয়-পরিজন নিয়ে সুখে আর স্বাচ্ছন্দ্যের সংসার ছিলো তাঁর। একাত্তর এসে উপড়ে নিল তার শান্তি আর স্বস্তির ভিত। ছেলে যুদ্ধে যাবে। ছোট ছেলে জামীকে পাশে বসিয়ে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গেলেন তিনি নিজে। পেছনে শরীফ আর রুমী। কতটা ইস্পাত কঠিন মনোবলের আধিকারী হতে হয় এই স্বদেশের জন্য যাত্রায়। সেক্রেটারিয়েটের সেকেন্ড গেটের কাছে এয়ারব্যাগ কাঁধে নিয়ে নেমে গেলো সূর্যের মতো পুত্র রুমী। পেছনে তাকাতে নিষেধ ছিলো । রিয়ারভিউ মিররে তাকে দেখার চেষ্টা সফল হলো না। জনস্রোতে ততক্ষণে সে মিশে গেছে।
লোহার সাঁড়াশি যেন পাঁজরের দু’পাশে চেপে ধরে মায়ের, নিশ্বাস আটকে আসে, চোখ ঝাপসা হয়ে যায়, ডুকরে কেঁদে উঠতে ইচ্ছা করে। কিন্তু তার উপায় নেই। রুমী ফিরে আসে অল্পক্ষণের জন্য, আবার চলে যায়। মার্কিণ নভোচারীদের চন্দ্রাভিযান দেখে মায়ের মনে হয় আহা! তিনি যদি একটা টুটো-ফুটো আকাশযান পেতেন তাহলে কয়েক মাইল দূরে মেলাঘরে গিয়ে এক পলক দেখে আসতেন ছেলেকে। কিন্তু তা হয়না। মা নিজেই নেমে পড়েন কাজে। খবরা-খবর আনা নেয়া, কাপড় চোপড় ওষুধপত্র সংগ্রহ আরো কতো কি! তারপর আসে সেই ভয়াল দিন – ২৯শে আগষ্ট। বাড়ি ঘেরাও করে পাকিস্তান বাহিনী, ধরে নিয়ে যায় রুমী,জামী, শরীফ কে। দুদিন পরে ফিরে আসে জামী আর শরীফ অত্যাচার সয়ে। আসেনা কেবল রুমী। বাবা ফিরে এলেও প্রায় নিস্তব্ধ হয়ে গেলেন। এমপি হোস্টেলে তার বুক থেকেই তো কেড়ে নিল রুমীকে জল্লাদের দল! তারপর রুমীকে কিভাবে হত্যাকরা হয় তা কল্পনা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই পিতার। সেই দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াতে বেড়াতে হার মানলেন শরীফ ইমাম।
১৩ই ডিসেম্বর ১৯৭১, আর এক ঝড় এলো জাহানারার জীবনে। হার্ট এ্যাটাক করলেন শরীফ। অনেক কষ্টে তাঁকে হাসপাতালেও নেয়া হলো। তার কিছুক্ষণ পরে দেখা গেল পিজির কর্তব্যরত দুজন ডাক্তার শরীফ ইমামের দু’পাশে দাঁড়িয়ে হাত দিয়ে কার্ডিয়াক ম্যাসাজ দিচ্ছেন। জাহানারা জানতে চাইলে- আপনারা মেশিন লাগাচ্ছেন না কেন? একজন ডাক্তার হাত দিয়ে শরীফ ইমামের বুকে চাপ দিতে দিতে বললেন- “লাগাবো কি ভাবে। হাসপাতালের মেইন সুইচ তো বন্ধ। আজ তো ব্ল্যাক আউট!” সেই ব্ল্যাক আউট সত্য করে জাহানারার জীবন থেকে চলে গেলেন শরীফ ইমাম। তাঁর কুলখানির দিন রেসকোর্স এ আত্মসমর্পন করলো পাক বাহিনী। কেবল সে বিজয় দেখা হলো না পিতা-পুত্রের।
১৭ই ডিসেম্বর ফিরে এলো রুমীর সহযোদ্ধারা। কেবল ফিরল না রুমী। যে সত্য কে মেনে না নিতে রোজ নিজেকে সাহস যুগিয়েছেন জাহানারা, তা তাকে মানতেই হলো অবশেষে। শহীদ হয়েছেন রুমী আর জাহানারা হলেন শহীদ জননী। বিশ বছর পর সঞ্চিত দুঃখ, ক্ষোভ, বেদনায় তিনি জানতে চেয়েছিলেন-
যাহারা তোমার বিষাইছে বাযু, নিভাইছে তব আলো
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ,তুমি কি বেসেছ ভালো?
(০৪)
দেশ স্বাধীন হলো। কেটে গেলো অনেকটা বছর সময়ের যান্ত্রিক নিয়মে। কিন্তু আবার কুচক্রীমহল সক্রিয় হয়ে উঠলো। ১৯৯২ সালের ২৯শে ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার বিরোধীতার অপরাধে যার নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হয়েছিল সেই নাগরিকত্বহীন গোলাম আযম কে করা হলো যুদ্ধাপরাধী ঘাতক দলের আমীর। যা একটি স্বাধীন দেশের জনসাধারণের স্বপ্ন, বিশ্বাস, অস্তিত্ব এবং আবেগের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের সামিল। এই ধৃষ্টতাকে চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯২ সালের ১৯শে জানুয়ারী ১০১ সদস্যবিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নিমূল (ঘাদানি)কমিটি হয় জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে। একটি বিশেষ প্রয়োজনে যেমন মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তেমনি একটি বিশেষ প্রয়োজনে, বিশেষ ক্ষণে নেত্রী হিসেবে তাঁর আবির্ভাব ।
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস- যে গোলাম আযমের বিচার দাবি করায় জাহানারা ইমাম কে করা হলো রাষ্ট্রদ্রোহী!
তবু থেমে থাকেননি জাহানারা ইমাম। মামলা মাথায় নিয়ে চালিয়ে গেলেন আন্দোলন। কিন্তু আবার ভাগ্য যেন উপহাস করলো তাঁকে। আশির দশকের প্রথম দিকে, ১৯৮২ সালে আরো এক শত্রু বাসা বাঁধল শরীরে। তিনি আক্রান্ত হলেন ওরাল ক্যান্সারে। কিন্তু ভেঙ্গে পরবার মানুষ নন তিনি। মনের জোর দিয়ে লড়লেন ব্যাধির সঙ্গে। কতো নির্মোহ, স্থিরচেতা, ধৈর্যশীল হলে পরেই তা সম্ভব! ’ক্যান্সারের সাথে বসবাস’-তার অবিশ্বাস্য বয়ান।
কিন্তু শরীর মনের সাথে একাত্বতা করলনা। এ সময় দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে ২রা এপ্রিল ১৯৯৪, চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে মিশিখান ডেট্রয়েট হাসপাতালের উদ্দেশ্যে দেশত্যাগ করলেন। ডাক্তার এবার জানালেন আর সম্ভব নয়। এবার শুধু অপেক্ষা মৃত্যুর হিমশীতল কোলে ঢলে পড়ার। মৃত্যু শয্যায় থেকেই কাঁপা কাঁপা হাতে লিখতেন আন্দোলনের পরামর্শ। শেষের দিকে ডাক্তাররা বন্ধ করলেন ওষুধ এমন কি সকল প্রকার খাবারও। শেষ মূহুর্তের যন্ত্রনায় একবার শুধু লিখলেন- “আর কতদিন কষ্ট পেতে হবে!”
(০৫)
অতি দুঃসময়ে আমরা তাঁকে পেয়েছিলাম। জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে নির্মাণ করা হলো প্রতিরোধের শেষ সীমান্ত- ঘাতক দালাল নির্মূল (কমিটি) কমিটি। চলমান কাল কোন ক্ষণে বাঁক নেয়। অতঃপর এখানে থেকেই আমাদের উঠে দাঁড়াবার, প্রতিঘাতের এবং এগিয়ে যাবার অভিযানের নিঃশঙ্ক সূচনা। ইতিহাস সাক্ষী, জোয়ান অফ আর্করা চিরঞ্জীব। মানুষের মুক্তির মূল্যবোধ কদার্প নিশ্চিহ্ন হয় না।
আমাদের জন্যও মুক্তির মূল্যবোধের একটি সবুজ ডাল পুঁতে রেখে গেছেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম- এবং আমরা জানি সে আছে কোথায় পোঁতা। আমরা যেন সে চেতনা ভুলে না যাই, আমরা যেন সে সন্ধান থেকে পিছিয়ে না আসি। একাত্তরের ঘাতক দালালদের বিচার এখনো হয়নি কিন্তু জাহানারা ইমাম অন্তত সন্তুষ্টি নিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ফেলতে পেরেছেন যে, তাঁর বাণী দেশের ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে, একাত্তরের চেতনা নতুন প্রজন্মকে নাড়া দিয়েছে। এবার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মের। যুদ্ধাপরাধী মুক্ত বাংলাদেশই হোক জাহানারা ইমামের জন্য নতুন প্রজন্মের শ্রদ্ধার্ঘ।
( অসংখ্য মানুষের লেখা আর আইরিন সুলতানা’র শ্রম এর কাছে এই লেখা কৃতজ্ঞ)
লেবেলসমূহ:
ইফতেখার আমিন,
জীবনী,
শহীদ জননী জাহানারা ইমাম
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন