রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০০৯

কবি রিফাত চৌধুরীর কবিতা এবং কবি কাজল শাহনেওয়াজের একটি লেখা











জারুল পারুল বকুল
............
জানালায় চকে লেখা দেখেছিলাম ‘জারুল’।
গাছের বাকলা খানিকটা তুলে নিয়ে ছুরি দিয়ে কে আবার লিখেছে, ‘পারুল’।
ফাঁটা-শানে ক্ষোদা আরও একটা নাম জ্যোৎস্নার আলোয়
চকচক করতে লাগলো : ‘বকুল’।

অস্পষ্ট চকের লেখা জানালার পটে-
হাত রাখতে হলো আমার সেখানে।
‘জারুল’ নামটার অর্ধেকটা মুছে গেলো।

এইভাবে কতোজন এসেছে!
এই রকমই একখানা বাগান ছিলো,
যে সব নাম এ বাগানে লেখা আছে,
সে সব নামই ছিলো, যেমন-
জারুল, পারুল, বকুল- এইরকম।
তারা কেউ এখানে রয়ে গেছে কিনা কে জানে?


অরণ্য সমুদ্রের সারেং
.............
অরণ্য সমুদ্রে কটি ঢেউকে চিনে রাখা যায়?
আমার বন্ধু কোটি বছর আগেকার দিনের সমুদ্রের গর্ভ হতে
নতুন জাগা পঙ্কস্তরের মধ্যে হতে
পৃথিবীর ভাবী অরণ্যের প্রথম স্বতন্ত্র বৃক্ষ।

আমার শিল্পী বন্ধু। দৈত্যের মতো তাঁর দৈর্ঘ্যপ্রস্ত।
অরণ্য সমুদ্রের সারেং।
বাঁশি বাজান অপরূপ। চমৎকার।
আর হাত কেটে সের-আধসের রক্ত পড়লে তাঁর কিছু হয় না।

মানুষটা অদ্ভুত, মিস্টিক।
হাওয়ার সঙ্গে মিশে যেতে পারে।
হাতের মাটিকে সোনা করে দেয়া।

মানুষটা ম্যাজিসিআন। হাতের উপর সাপের নাচ দেখায়।
সাপের নাচ জাদু নয়, জীবন। সাপের নাচ।
জনতার ভিড় ঠেলে ঠেলে নেমে আসছে সেই দীর্ঘ মানুষটি।
শেষে এক সময় জনতার হাজারো মানুষের উদগ্রীব উন্মুখ চেতনা
দেখলো জাদুকরের দীর্ঘ দেহটা ধনুকের মতো ভাঁজ হয়ে আসছে।
বাশিটা ঠোঁটের উপর পড়ে কেমন এক কাঠফাটা আওয়াজ তুলেছে
আর একটা ছোট ডালের ঠাস ঠাস বাড়ি পড়ছে জুতার ডগায়।
কোত্থেকে তখন সাপটা হাতের উপর উড়ে এসে পড়লো।
মুখোমুখি মৃত্যুর মতো চোখের সামনে দুলতে থাকলো।
হঠাৎ জনতার লুব্ধ উন্মুখ চেতনা দেখলো
সাপটা নুয়ে নুয়ে কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে।


বীরমালা
.........
মালা গাঁথছি। পবিত্র সুতার মালা।
বীরের জন্যে গাঁথছি এ মালা!
বীরের গলায় পরিয়ে দেবো।

অনেক যত্নে গাঁথা
অনেক পরিশ্রমে গাঁথা এই মালা।
বীরের গলায় পরিয়ে দেবো।

মালা পড়ে আছে রাস্তার ধুলায়।

যে মালা পরিয়ে দেবো বীরের গলায়
তার আজ স্থান শুধু রাস্তার ধুলায়।



সেই দিনটার জন্য
.............
সেই দিনটার জন্য অপেক্ষা করে আছি
যেদিন অপরাধীকে যে পুলিশ খুঁজে বেড়াবে
তার মনে অপরাধীর জন্য থাকবে সংবেদনা।

সেই দিনটার জন্য অপেক্ষা করে আছি
যেদিন ইউনিফর্মের হাতা দিয়ে চোখের পানি মুছবে পুলিশ
হাতে ওর ফুল থাকবে।

সেই দিনটার জন্য অপেক্ষা করে আছি
সেদিন পুলিশের হাতগুলি
অস্ত্রশস্ত্র ফেলে দিয়ে
ফুল চেয়ে নেবে।

সেই দিনটার জন্য অপেক্ষা করে আছি
যেদিন পুলিশের ব্যারাক ভেঙে
একটা ফুলবাগান তৈরি হবে।

আমি শুধু সেই দিনের জন্য
অপেক্ষা করে বসে আছি।



রক্তকলস
........
দেড় দু মাস হয়ে গেলো- অথচ তাঁর শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়াকর্মগুলো বন্ধ। তাঁর যে এমন না হয়, তাও না। মাস দু মাস তিন মাসও তাঁর এমন হয়েছে। এখন তো রোজ, রোজ কেন সব সময় সে পিছন ফিরে দেখে- হাত দিয়ে দেখে, না কিছুই ভিজে উঠছে না। তাঁর শরীরে কী তবে শিশু বাসা বেঁধে ফেলেছে।
কী করে শিশু পেটে এলো, বেড়েছে কী করে? দিন যায় আর ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ পড়ে। দাগগুলি সে কখনও গুনতে গুনতে অস্থির হয়ে ওঠে। উতলা হয়ে যায়। মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছা করে।
একটা ক্যালেন্ডার। ক্যালেন্ডারের পাতায় পরপর দশটা ঘর। দশটা ঘরে দশ রকমের ছবি। একটি মাত্র শিশুর। প্রতিটার নিচে ওয়ান মানথ্, টু মানথ্স্, থ্রি মানথ্স্ করে লেখা। যথাক্রমে।
ক্যালেন্ডারের পাতা সরে গেছে দুটি। তিন মাস। কলসের বয়স বেড়ে হয়েছে চার। নিশ্চয়ই এতোদিনে অদৃশ্য শিল্পটা শুরু করে দিয়েছে তাঁর কাজ। রক্তকলস পূর্ণতা পায় দশটা মাসে।
দশ মাস পর্যন্ত কলসটা অভঙ্গুর থাকে না। অল্প কিছুদিনের মধ্যে চাপ সহ্য করতে না পেরে ফেটে যায়। কলসের ভিতরের রক্ত জমাট বাঁধে, একটা মৃৎশিল্পী বসে থাকে সেখানে, একটু একটু করে হাত-পা-মুখ মনুষ্য মূর্তি গড়ে তোলে সে।
রক্তকলসটা যদি শুধুমাত্র রক্তেই পূর্ণ থাকতো। তবে হয়তো আজ আর তাঁকে কুমারী মা হতে হতো না। কিন্তু পাঁচ মাস ছ মাসের সময় রক্তকলস যখন প্রাণ পেয়ে যায় তখন কী করে তাকে হত্যা করে সে?



শিকারীর মুখ
........
আরো পাখি দেখি অদৃশ্য খাঁচায়
দিনে রাতে ডানা ঝাপটায়।
আমি তাকে দিতে পারি সোনালি আকাশ।
নিমগাছের নিশ্বাসের মতন বাতাস।
ঐ সব পাখিদের আমি ফিরিয়ে আনবো এইখানে
আবার চিনিয়ে দেবো নীলিমার নীল
শিকারীর মুখ আমি চিনিয়ে দেবো।



গান
.....
আমার একটা ব্ল্যাঙ্ক ক্যাসেট আছে।
আমি গান রেকর্ড করি।
কথা ও সুর আমার,
সঙ্গে ঝিঁঝিঁর মিউজিক।

আমি গায়ক নই, সঙ্গীতকার।
গানটাকে ফুলের মতো ফুটিয়ে তুলি।
বাগান ঈশ্বরের, আমি তাঁর বাগানের মালি।
বাগানের ফুলে আমার অধিকার নেই।
ঝরে গেলেও না।



বাঁশি
...
আমার বাঁশি আছে, কিন্তু সুরকার আমি নই,
আর একজন কেউ সুর দিচ্ছে সেই বাঁশিতে,
বাঁশিটা বাইরে কোথাও নয়, আমার হৃদয়ে,
আর বাজনাটা আমার সমস্ত স্নায়ুতে, সমস্ত রক্তে।



মরা মাছ
.......
একদিন একটা মরা মাছ পেলাম।
সেটাকে পুড়িয়ে ধুয়ে নিয়ে খাবো বলে
নদীর জলে যেই না দিয়েছি,
ওমনি মাছটা কিলবিল করতে করতে পালিয়ে গেলো।



স্মৃতির কঙ্কাল
.........
মনে যে স্মৃতির পলিমাটি পড়ে আছে,
তার ওপর অনেক বেদনার স্বপ্ন জন্ম নিয়েছে।
আমি চেয়েছি, সেই সম্পর্ক গোপন রাখো তুমি।
তোমার মনে। অন্ধকারে।
মনের অন্ধকারের কথা
আলো লাগলেই কুঁচকে যাবে।

গোপন খুঁড়তে নেই।
যা চাপা পড়ে আছে, থাক না।
যা থাকে, তা মন নয়, মনের কঙ্কাল।
খুঁড়লে হয়তো একটা কঙ্কাল পেলে।



স্মৃতির খাঁচা
.......
এক খাঁচায় দুটো পাখি ছিলাম,
এখন এক খাঁচায় একটা পাখি।
পাখি চলে গেছে, অচেনা শিকারী
ইনিয়ে-বিনিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে গেলো।
পাখি চলে গেলো নিঃশব্দে, কোনো দাবি না জানিয়ে।
পাখি এখন অচেনা শিকারীর হাতে ধরা দিয়েছে।
রেখে গেছে শুধু স্মৃতির খাঁচা।
আমি সেই স্মৃতির খাঁচা খুলে বসি।
পাখি উড়ে গেলেও খাঁচার দুয়ার থাকে খোলা।


.......................................................................................
কবি রিফাত চৌধুরীর কবিতাগুলো “সমুদ্রে নুনের পুতুল” বই থেকে সংগৃহীত হয়েছ-
সমুদ্রে নুনের পুতুল : রিফাত চৌধুরী
প্রকাশক : সাব্বির আজম,কাঁটাচামচ প্রকাশন
প্রকাশ : একুশে বইমেলা ২০০৭



.......................................................................................
কবিতার জন্য
কাজল শাহনেওয়াজ


এই শেষ শীতের সন্ধ্যায় আজ মনে হচ্ছে, এত বার করে বলার পরও কেন আমি ‘ছাঁট কাগজের মলাট’র জন্য লিখতে বসছি না? একবার মনে হচ্ছিল সেই দিনগুলি ফিরিয়ে আনার কী দরকার, যা অসংখ্য কাটাকুটি করা উপমার দিন! না হয় আস্তে আস্তে শান্ত হয়ে থাকি। কিন্তু হঠাৎ তেজী হবার জন্য, জেদী হবার জন্য মনটা নেচে উঠল।

রিফাত আপনাকে সত্যি করে বলছি, একেকবার মনে হয়, আর কোন কবিতা কাউকে শোনাব না, কোন ছন্দের চাপা দ্যুতি কারোকে দেখাবো না, আর একটা পংক্তিও ছাপতে দেবো না। পৃষ্ঠা ধরে জমাট, সাংকেতিক গদ্যের বুনট কারো জন্য নয় আর। লিখে লিখে স্তুপ করে রেখে দেব, ঘর ভর্তি করে। জমিয়ে রাখবো দরজার চিপায়, আলনা ভরে রাখবো শুধু।

কি আশ্চর্য না, আমরা দুজন একত্রে বহুদিন পাশাপাশি ও দূরে দূরে চলেও কতই না দুইরকম! অসম্ভব কর্মঠ আপনি, বিশাল দরদী আর বন্ধুতার অনি:শেষ ক্লান্তিহীনতা আপনার উপমাগুলির সাথে সেই ১৯৮০/৮১ থেকে বয়ে চলেছে; যেখানে আমি কিনা চাপা, নিষ্ঠুর, শক্ত! যেখানে আমি আমার নিজস্ব প্রায় কোন ব্যক্তিগত বাক্যই কবিতায় ব্যবহার করি নাই কবিতার প্রথম দশ বছরে, আর আপনার পদ্ধতিটাই ছিল এর উল্টা - সবই আমিময়। অথচ আসল ব্যাপারটাও আবার অন্য রকম, আসলে আপনার আমিত্বের ভিতর যে দেবশিশু’র জন্মগ্রহণ হচ্ছিল, যে পয়গম্বরতার লালন হচ্ছিল - তা তো ছিল একেবারে নৈর্ব্যক্তিক, তা যে একেবারে সাধু তা কে জানে? আর আমার তো সবটাই ছিল খুব বেশী ব্যক্তিগত আর্তনাদ, ঈর্ষা, পরাজয় থেকে - কারো কি সাধ্য ছিল সেই কবিতাগুলি থেকে সেই সব বোঝার?

আমাদের কাছে কবিতা এসে পড়ে ছিল একেবারে সাধারণ ভাবে। যেভাবে একটা শিশু হামাগুড়ি দিতে শেখে, দাঁড়ায়, হেসে ওঠে ঠিক সেই ভাবে! আমরা একটু একটু করে ঐ জন্মের দিকে গেছি। অল্প অল্প করে মাথা তুলেছি। চষা মাঠে ধানের বীজ থেকে একটু একটু করে চারা গজানোর মত। আবদুল মান্নান সৈয়দের ভাষায় ‘যেভাবে ঘন পাতার আড়ালে নিবিড় বট ফল বেড়ে ওঠে’।

আপনি কি মনে করতে পারেন সেই অসম্ভব ধীর শীতের দীর্ঘ রাতগুলির কথা, কোন ‘না কিছুর’ জন্য দিনের পর দিন কাটিয়ে দিচ্ছি আবিদ আজাদ’র প্রেসের গুমটি ঘরে, আমাদের চোখের সামনে কতজনের কত রকম লাল নীল কবিতা ছাপা হয়ে বের হচ্ছে - কত রকম উচ্চাকাঙ্খা গড়াগড়ি খাচ্ছে আর আমরা প্রবল কৌতুহলে, প্রবল কৌতুকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি আর ভাবছি না কিছুই - দেখছি শুধু কিভাবে কবিতা’র আগুনে ঝাঁকে ঝাঁকে আনন্দ পোকারা লাফিয়ে লাফিয়ে পড়ে আর আত্মাহুতি দেয়। দেখছিলাম ক্ষমতা বলয়ে প্রবেশ করার জন্য কত যশপ্রার্থি কবিতার পাসপোর্ট চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায়।

কই তখনতো আপনি কোন দিন বলেন নাই, চলেন কাজল পত্রিকা অফিসে সাহিত্য সম্পাদকের কাছে যাই। চলেন মঞ্চ সাজাই, উঁচুতে উঠি।
একদিন মুস্তফা আনোয়ার এসে চিকন রোগা একটা বই ছাপতে এলেন। সেই বইয়ের প্রচ্ছদের জন্য ক্যামেরা নিয়ে হরিজন পল্লীতে শুয়োরের কাছে গেলেন। আমরা চোখ মেলে থাকি। আর একদিন সারারাত আড্ডা শেষে বসে থাকতে থাকতে দেখি আবিদ আজাদ তার এ্যাজমার শ্বাসকষ্টে কুরবানি হয়ে যাচ্ছেছন। শীতের শেষ রাতগুলি কি কবিদের বোবা কষ্ট! এ্যাজমাগুলি কি একেকটা কবিতার বই!

সে বার ট্রেনের ছাদে চড়ে ময়মনসিং যেতে যেতে আমরা চিৎ হয়ে শুয়ে ছিলাম। চোখের ওপরে ছিল গহীন রাতের তারাদল - সেদিন কি আমরা মেনে ছিলাম - ঐ যে সুদুর নিহারীকা যেখানে আলোহাতে চলিয়াছে তারাদের দল - আমরা সেখানে যাচ্ছিছ না। আমরা যাচ্ছি রেলের পিঠে চড়ে, আমাদের নাই কোন টিকেট সাথে নাই নিহারীকা বানু।

আর সেই একবার আপনি হাজির হলেন ময়মনসিং আমার কাছে, আর লিখলেন ‘শাদা’ রঙের একটা কবিতা, আমার অতি পরিচিতা একজন বল্লেন : ‘এ আপনারই কবিতা, নাইলে আমার সাথে এত মিল কিভাবে?’ - সেদিন কি একথা মনে হয় নাই আমরা সবাই একজন আরেকজনের কবিতা লিখি, পৃথিবীর সব কবিই একে অন্যের কবিতাটা লেখেন!

যাত্রাবাড়ির সেই মেয়েটির বাসায় আমরা যখন যাই, তখনও ঐ এলাকায় নারায়নগঞ্জ যাবার সহজ রাস্তাটা তৈরী হচ্ছিল মাত্র। এবরো খেবরো পথ পেরিয়ে সেই বাসায় যাবার পর কবি আমাদের খুব আদর যত্ন করলো, আপনার সেই প্রাক্তন প্রতিবেশীনির সাথে আমার বন্ধুত্ব হতে দেখে আপনার সে-কি ঈর্ষা! কিন্তু সারা জীবনে ঐ একবার মাত্রই আমাদের এমনটা হয়েছিল। কবিতা গায়ে পাছে বদহাওয়া লাগে তাই ব্যক্তিগত চাওয়াপাওয়ার হিসাবে ছিলাম ভীষণ সংযমি। কি জানি কী থেকে কী হয়!

আপনি তো বাউল পথে পথে ঘুরে বেরালেন বহুকাল, কিন্তু আমি তো জানি কি পরিমাণ সংসার আপনার দুই বগলের নিচে খেলা করে। আর আমিতো একটা ছদ্মবেশী প্রথামফিকতা চালিয়ে যাচ্ছি, আপনি কি জানেন না আমার হাটুর নীচে পায়ের পাতা কোন দিকে ফেরানো?

আমরা কত সম্ভাবনাময় সুযোগ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছি - আবার অবুজ শিশুর মতো মুখে তুলে নিয়েছি কত রকমের আগুনের আঙ্গুর। পপি ফলের লালায় যখন নিজেকে সপে দিয়েছিলাম তখন তা তো কবিতার কথা ভেবেই - তাই না?

আজ কাল কি যে হয়েছে, হঠাৎ করেই এসব কথা মনে হয়। আর ভাবি একদিন আমরা বসে এসব আলোচনা করব। কতদিন এক সাথে বসা হয় না। দু চারটা ভালমন্দ শোনা হয় না।
....................................................................................................
কবি কাজল শাহনেওয়াজের লেখাটা বেরিয়েছিল-
ছাট কাঁগজের মলাট (পুরো সাহিত্য সংকলন, সংখ্যা ৫, ১২ বর্ষ, ফেব্রুয়ারি ২০০৯)
সম্পাদক: রিফাত চৌধুরী

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন