বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০০৯

আধুনিক বাংলা কবিতার বাঁক

আধুনিক বাংলা কবিতার বাঁক
by mmandal

আধুনিক বাংলা কবিতার বাঁক নেওয়া পথের কিনারে যারা কবিতা চর্চা করছেন তাদের যে সমাজ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তার ভেতর দিয়েই কাব্য চর্চা করার একটা ক্ষেত্র তৈরি করে নিতে হবে। এই ক্ষেত্র বা পরিসরটা এমনি এমনি তৈরি হয় না, এর জন্য যৌথ কাব্য প্রয়াসের প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি মনে করি। এই প্রয়াসটাকে অনুশীলন বলা যেতে পারে। এই অনুশীলনীর মধ্যে পিছনে চলে যাওয়া স্মৃতিময়তার যেসব যাদুঘর আছে (বাঙ্গালীদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হতে পারে, প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয়াবলী হতে পারে) সেগুলোকে কাব্য প্রয়াসের অর্ন্তগত মননের তলে নতুন মাত্রায় ফুটিয়ে তুলতে হবে। এই ফুটিয়ে তোলা দৃশ্যরাজির সঙ্গে সারা বিশ্বের কবিতাকর্মীদের স্বরের কম্পন মিলুক আর না মিলুক। আমার মনে হয় সব দেশের কবিদের ভেতরই সে দেশের সে জাতির সাংস্কৃতিক বোধ কবিতার জোনাক রোডের তেমাথায় ট্রাফিকের কাজ করে।

এইটা নিয়ে তর্ক শুরু হোক
| printer friendly version
তর্ক কি
by najma on Tue, 2007-10-09 23:02

তর্ক কি করব জানিনা, আমি
আপনার সাথে একমত ।
হয়তো কবিতা
by indrani on Tue, 2007-10-09 23:49

হয়তো কবিতা যত বাঁক নেয়
তার সৌন্দর্য তত বাড়ে
বঙ্কিম
by bankim on Thu, 2007-10-11 00:37

বঙ্কিম মানেও বাঁক :)
আপনার লেখাটি বেশ ভালো লাগল, তবে আরো
বিস্তারে যেতে পারতেন বলে মনে হয়।
অভিবাদনযোগ্য ও অনুসরণযোগ্য
by makormanob on Thu, 2007-10-11 01:24

মন্ডলসাব, আপনার লেখাটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু ‘জিপড্’ অবস্থায়, এটি ‘আনজিপ’ করে ফেললে এক বৃহত্ আয়তন পরিকল্পনা দৃষ্টিগোচর হয় যা অভিবাদনযোগ্য ও অনুসরণযোগ্য।

পিছনে চলে যাওয়া স্মৃতিময়তার যেসব যাদুঘর আছে (বাঙ্গালীদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হতে পারে, প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয়াবলী হতে পারে) সেগুলোকে কাব্য প্রয়াসের অর্ন্তগত মননের তলে নতুন মাত্রায় ফুটিয়ে তুলতে হবে।

এটি একটি সময়োপযোগী ও যুগোপযোগী প্রস্তাবনা। এর সার্থক রূপায়ণ ঘটলে তা কবিতাকে অমরত্ব দিতে পারে। এখন হয়তো আমরা কেউ বলতে পারি অমরত্ব নয়, কবিতার অঘটিতপূর্ব ডিসটরশন, যা সৃজনমূলক এবং প্লাস-মাইনাস সামঞ্জস্যপূর্ণ, আরো অনেক বেশী জরুরী। আমার মনে হয় দুটিই প্রয়োজন। আপনি যে প্রয়াসের কথা বলেছেন আপনি নিজেই তার লাইভ ও ডাইনামিক উদাহরণ। আমার কবিতাপঠন যেহেতু অতি সীমিত তাই আরো নাম বা উদাহরণ মনে না এলেও মনে হয় এই বাঁকনির্মাণে আরো অনেকেই সক্রিয়, যেমন মাহফুজ, ফকির ইলিয়াস, আজাদুর রহমান।

আমার মনে হয় সব দেশের কবিদের ভেতরই সে দেশের সে জাতির সাংস্কৃতিক বোধ কবিতার জোনাক রোডের তেমাথায় ট্রাফিকের কাজ করে

এর থেকে সুন্দর আর শ্রেষ্ঠ উক্তি বোধ করি আর কিছু হয়না।
কবির কাজ কবিতা লেখা, কিন্তু সেই কাজের একটি ট্রাফিক থাকলে অতি উত্তম। আমাদেক ডেডলাইনগুলি সংক্ষিপ্ত, অথচ ‘স্মৃতিময়তার যাদুঘর’ অনন্ত .... তাই অনতিবিলম্বেই এই সব বিষয় নিয়ে কবিতার আরেক নবকলেবর রচিত হতে থাক।
হ্যাঁ আরো বিস্তার হবে
by mmandal on Thu, 2007-10-11 06:54

আপনাদের সাড়া দেখে ভাল লাগছে। বিস্তারিতভাবে বলা দরকার আমিও মনে করছি। আমি একটি লেখা তৈরির কাজ হাতে নিয়েছি। খুব শিঘ্রই শেষ করতে পারবো বলে মনে হচ্ছে না। তবে চেষ্টা করছি।

অআপনারা যারা এইটা পড়েছেন তারা যদি এইটারে বিস্তারিতভাবে একটু এগিয়ে নেন তাহলে মন্দ হয়না....ভালো হবে আমার বিশ্বাস।
মকর কথায় একটু নড়ে চড়ে বসলাম। উনার কথার সঙ্গে সবাই নিশ্চয় এক মত হবেন না? নাকি হবেন?
মন্ডলসাব,
by makormanob on Thu, 2007-10-11 08:02

মন্ডলসাব, প্রথমতঃ জানাই আমি মকর নই, আমি ‘সনাতনবংশীয়’ মাকড় ... আমাকে মকর ইত্যাদি বলে কিছু অপপ্রচার চলেছে .... :)

এই আলোচনা প্রসঙ্গে আমি আসলে আপনার ভাবনারই প্রতিধ্বনি করেছি মাত্র ... যারা একমত হবেন তারা আসলে আপনার মতের সাথে একমত হবেন ... আলোচনা, উপআলোচনা, বিপরীত আলোচনা অনেক কিছু কাম্য ... সেগুলি হতে থাকুক ....
কবিতার
by rimjhim on Thu, 2007-10-11 11:21

কবিতার জোনাক খুব সুন্দর কথা তো ।
এখন তো জোনাক আর দেখতে পাইনা, শোলোকবলা দিদি কোথায় হারিয়ে গেছে । যদি কবিতায় কবিতায় জোনাক জ্বলে থাকে দারুণ হবে ।
হ্যাঁ ভালো
by runa on Sun, 2007-10-14 19:05

হ্যাঁ ভালো বলেছেন মন্ডলজী...এই ধরণের আলোচনা এলে বড় উপকৃত হই...
আর হ্যাঁ ভালো কথা...জেনে আশ্বস্ত হলুম... মকরমানব নয় মাকড়মানব...
আবার খালেদজীর মতো ভুল করে উল্টে দিলেও বিপত্তি......মানে মানবমাকড় বললে বিবর্তনের পথে গন্ডগোল বেঁধে যায় আর কি !! (ইস্মাইল প্লিজ )
মাকড়মানবকে শুদ্ধ করে নিই
by mmandal on Thu, 2007-10-18 04:20

মাকড়মানবকে শুদ্ধ করে নিলাম। আমার মূর্খতার জন্য এইটা হয়ে গেছে। অপপ্রচার কারা চালাচ্ছে? যদি কেউ চালিয়ে থাকে তা ব্যর্থ হয়েছে বলা যায়। সে যাগগে, কবিতা বিষয়ে আলোচনাটা আসলেই দুরুহ একটি কাজ। সাহিত্যের অধ্যাপনা যারা করেন তাদের কাছে হয়তো অনেক সহজ।

কবিতায় কবির ব্যক্তিমানসের একক সত্তার জলছাপের রেখাউপরেখাগুলোর বাঁক নেওয়াগুলো যদি তাঁর পাশের বাড়ির জানালা দিয়ে না দেখা যায় তাহলে মনে হয় তা অনেকেরই মনের অগোচরে চলে যেতে বাধ্য, এজন্যই মনে হয় ব্যক্তির ভিতরকার যে স্বর তা কবিতার অন্তর্নিহিত স্বরের সাথে মিশ্র-মুদ্রণের কাজ করে থাকে। একারণে ব্যক্তির একক স্বর আর কেবল ব্যক্তির থাকে না তা সে ব্যক্তির যে সামাজিক সমস্বর তার সাথে সহসম্পর্কিত হয়ে লেপটে থাকে। এই লেপটে থাকা টা কবিতায় জরুরী বলে মনে হয়।
তাহলে যে সোলাইজেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সামাজিক স্বরের গাথনটা তৈরি হয়েছে তার ছায়া-নিনাদ কবিতায় অন্তর পাবে বলে আমার বিশ্বাস।

আমি আতলামি করছি না। উপরের কথাগুলোর সাথে এই ভাবনাগুলোর যোগসূত্রতা গেঁথে তুলতে চাচ্ছি মাত্র।
এখন এই
by mmandal on Thu, 2007-10-18 08:25

এখন এই যোগসূত্রতা কিভাবে কবিতায় আসতে পারে এইটা একটু ভেবে দেখার অনুরোধ করি পাঠক/পাঠিকা/কবিদেরকে।

যেকোন মতই আসতে পারে। আপনারা আপনাদের মতামত দেন....
মন্ডল ভাই,
by zifran on Sun, 2007-10-21 16:46

মন্ডল ভাই, আমি একটু কম বুঝি, এবং তা-নিয়ে প্রায়শঃই নিজের সাথেই ঝামেলাই জড়িয়ে পড়ি... আমার আলোচনার টুলসগুলো বেশিরভাগই পাশচাত্যীয় বলে ভুল ধরণের অভিঘাতো সৃষ্টি হয়ে যায়...

সে যাক... আপনার বক্তব্যের গঠনে বেশিরভাগি আমার স্টেইটমেন্ট বলে মনে হলো... ফুকো-র তত্ব-মতে অন্য কোনো পক্ষের নিজস্ব অবস্থানকে সঠিক বলে দেখানোর জো এই লিখায় আমি দেখি না... এই কথা একারণেই, তর্ক আসলে প্রতিটি পক্ষের অবস্থানকে বজায় রাখার ক্ষেত্রমাত্র, নতুন বচন এইখানে সৃষ্টি হওয়াটা এইক্টু কঠিনই... এইসবি ফুকোর কথা... আমারো তর্কের ব্যাপারটা অতো যুতসই মনে হয় না... তবে, একটু ভিন্ন কারণে...

তবে, আলোচনা চলুক... আমার পড়তেই ভালো লাগে বেশি...
মন্ডলসাব ... আমি একমত ...
by makormanob on Mon, 2007-10-22 01:52

ব্যক্তির ভিতরকার যে স্বর তা কবিতার অন্তর্নিহিত স্বরের সাথে মিশ্র-মুদ্রণের কাজ করে থাকে।
কথাটি আমার কাছে সঠিক ... আমি একমত ...
এটা বলার পরেও আরো ২টি দিকের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই
- ভিতরকার যে স্বর আমি তার প্রতি আন্তরিক কিনা, নাকি আমি বিশ্বাস করি যে কবিতার স্বর একটি ভিন্ন প্রকরণজাত সিন্থেসিস হবে ....
- আমার স্বর, কবিতার স্বর ও পাঠিকা-পাঠকের কর্ণ অর্থাত্ তার মন, মনন ও শিক্ষা একই লেভেলে টিউনড কিনা ... এটা বলা বাহুল্য যদিও তাও বলা যে পাঠিকা-পাঠকের রেঞ্জ এত বৈচিত্রময় যে এই টিউনিঙের মাপরেখা কি হবে তা ঠিক করা যাবে কিভাবে বা আদৌ ঠিক করা হবে কিনা ...
আলোচনা চলুক ...
জিফরানসাব, খুব ইন্টারেস্টিং কথা কয়েছেন ...
মন্ডলসাব ... আপনি আরো কিছু বলুন ... তো আমরা এটিকে আরো আগে বাড়াতে পারি ....
জিফরান
by mmandal on Mon, 2007-10-22 09:20

আপনি আওয়াজ দিছেন দেখে ভাল লাগছে। সেই সাথে মাকড়কেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আমি কোন তত্ত্বকথা মাথায় রেখে কথাগুলো বলিনি, তত্ত্বকথা তেমন জানিও না, কবিতা চর্চা যারা করেন, তাদের কবিতা বিষয়ক অভিজ্ঞতার সাথে একটু অংশগ্রহণ করার পায়তারা থেকে উপরোক্ত কথাগুলো বলা।

কবিতার নানা পথের ভেতর কবির নিজের জায়গা তৈরি করে নেওয়া এবং সেই জায়গাটার স্থানিক প্রেক্ষিতটাকে বোঝার একটা পরিসর চিহ্নিত করণের জন্য কে কি ভাবে ভাবছে, বা কিকি করা যেতে পারে চর্চার মাধ্যমে সেটার ক্লু যদি একটু আধটু আলোচনার ভেতর থেকে উঠে আসে সে জন্যই কবিতা নিয়ে এই টুকরা টুকরা কথা পাড়া আর কি....

বাঙলা কবিতার যে সড়ক পথে আমরা এসে এই সময়ে গলা খেকাচ্ছি সেই পথে আমাদের পূর্বপুরুষরা কিভাবে এলেন, কি করে এলেন, কেনই এলেন....এইগুলো যদি একটু আলোচিত হয়, কেউ যদি করেন আলোচনা তাহলে বের হয়ে আসবে কেন আমাদের কবিতার পথ একতারাতে দোল দোল খেলেনি.....
কেন ট্রেনের ঝনঝনানির শব্দে আমাদের কবিতার পথ বিশ্বব্যাংকের টাকায় তৈরি রাস্তার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়েছে....?

এই প্রশ্নগুলো আমার কাব্যচিন্তায় স্কার্ট পরে ঘুরে ফিরে আসে...চেতনার সলতে জুড়ে উপরোক্ত প্রশ্নগুলোকে নেড়ে চেড়ে দেখে.....

কবিতা চর্চাকারীদের মনে এই ধরনের কাজ করে কিনা? যেজন্য আলোচনাটা শুরু করেছিলাম। মতামত ব্যক্ত করতে বলেছিলাম.......
আমিও অনেক
by mmandal on Mon, 2007-10-22 09:23

আমিও অনেক কম বুঝি। নিজের সাথে বোঝাপড়া করতে গিয়ে অনেক সময় নিজের অজান্তে কীটপতঙ্গের মতো ঠ্যাকে। আপনার আলোচনার টুলসগুলো ইউরোপীয় তাতে কিছু যাই আসে না। অআসল আলোচনায় সততার বিচ্ছুরণ যেন থাকে সেইটাকে কোশেশ করা। অআপনার অআলোচনাটা আআমি পড়েছি। ভালো লেগেচে কিছু বলতে যেইয়েও বলতে পারিনি.....ঘটে কিছু না থাকার কারণে...
আপনি আমার ক্ষুদ্রলেখাটা পড়েছেন এই জেনেই আমার ভাললাগছে। আমার বক্তব্য স্টেইটমেন্ট ধরনের ঠিকই ধরেছেন, তবে তা আমাদের উপমহাদেশীয় সমাজের সামাজিক প্রেক্ষিতকে বিবেচনায় এনেই বলা, বলার কারণ আগে তো নিজের ঘর-বাড়ি চেনা, তারপর না হয় পরের বাড়ি...পড়শীর বাড়ি চেনা যাবে....
তবে আপনি যদি আলোচনাটা আরো একটু খোলাসা করে করেন ভাল হয়...

মাকড় আপনার কথায় পরে আসছি...
মাকড়মানবে
by mmandal on Wed, 2007-10-24 03:39

মাকড়মানবের কথায় ফিরে আসি, ব্যক্তির ভিতরকার স্বরের কথা বলেছিলাম, ব্যক্তির ভিতরকার স্বর তাঁর সমাজকাঠামোর ভেতর প্রোথিত স্বরেরই নামান্তর মনে করি, এই জন্য ঐস্বরেরর প্রতি আন্তরিকতার প্রকাশ তো থাকতেই হয়, তা না হলে তো তা আর ওই সমাজের গূঢ়ার্থকে বিশিষ্ঠ্য করে তুলবে কিভাবে? কবিতার স্বর সবকালেই তার কালের সমাজের সংস্কৃতির মনন মস্তিস্কের মতো এইটা আআমি মনে করি..এই টা আমি তত্ত্ব পড়ে শিখিনি...অভিজ্ঞতা তাই বলে। কবিতার স্বর একটি ভিন্ন স্বর ব্যবস্থা তো বটেই সেই সাথে চালু স্বর ব্যবস্থার মতো নয়, চালু স্বর ব্যবস্থার কাছে সে ঋণী, কিন্তু কবিতার স্বর সে স্বর থেকে ভিন্ন, চালু স্বর ব্যবস্থার কাছাকাছি সংবাদ পত্রের স্বর, মিডিয়ার.....স্বর....তাই না? কবিতার স্বর কে বলা যায় ভিন্ন প্রকরণজাতই.....
“আমার স্বর, কবিতার স্বর ও পাঠিকা-পাঠকের কর্ণ অর্থাত্ তার মন, মনন ও শিক্ষা একই লেভেলে টিউনড কিনা ... এটা বলা বাহুল্য যদিও তাও বলা যে পাঠিকা-পাঠকের রেঞ্জ এত বৈচিত্রময় যে এই টিউনিঙের মাপরেখা কি হবে তা ঠিক করা যাবে কিভাবে বা আদৌ ঠিক করা হবে কিনা “
এক না, একরকম না, এইটা আসলে মাপার ব্যাপার অআমি মনে করি না, ঐইয়ে বললাম যদি কবিতার স্বরটা তার সমাজের সংস্কৃতির স্বরটার ভেতর থেকে উঠে আসে তাহলে তো কোন না কোন ভাবে টিউন করবে...
দারুণ সত্য কথা বলেছেন
by makormanob on Wed, 2007-10-24 04:35

ব্যক্তির ভিতরকার স্বর তাঁর সমাজকাঠামোর ভেতর প্রোথিত স্বরেরই নামান্তর মনে করি, .... কিন্তু কবিতার স্বর সে স্বর থেকে ভিন্ন

আপনি দারুণ সত্য কথা বলেছেন, দ্বিমত হবার কোনো অবকাশ রাখেননি।
আমার কিছুটা দ্বন্দ্ব যেটা নিয়ে সেটা সরল বাংলায় বলতে গেলে (এবং এক কবির লেখা থেকে কিছুটা নিয়ে) যে কবিতার প্রকরণ ভিন্ন হবেই কিন্তু তা জনসাধারণ থেকে ছিন্ন হয়ে পড়ছে কিনা ....

কোন না কোন ভাবে টিউন করবে এটা সঠিক, কিন্তু বাস্তবে তা করছে কি না, বা যদি করে থাকে তা যথেষ্ট কি না ....
এইটা আমারো
by mmandal on Wed, 2007-10-24 05:25

এইটা আমারো ভাবনার একটা বিযয়! জনসাধারণ কথাটা আসলে খুব গোলমেলে। আধুনিক কবিতা আসলে জনসাধারণের কোলের বাইরেই রয়ে গেচে। জনসাধারণের কোলের ভেতর যেভাবে লালন আছেন হাসন রাজা আচেন দরবেশ সিরাজ সাই অআছেন সেই ভাবে আধুনিক বাংলা কবিতা নাই...এইটা খুব ভাবনার বিযয় আমারো...

যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাঙলা কবিতার আধুনিক সড়ক পথে যাত্রা তা তো আমাদের জনসাধারণের মনন কে আম্রয় করে গড়ে উঠেনি...
খাঁটি কথা।
by makormanob on Wed, 2007-10-24 05:34

‘‘ জনসাধারণ কথাটা আসলে খুব গোলমেলে। ’’

এইটা খাঁটি কথা। কেউ কেউ বা কোনো কবি গোষ্ঠী বলেন যে প্রয়োজনে তারা শুধুমাত্র ৫-৬ জনের জন্যই লিখবেন
বা কবিতা কবি আগে বা সবসময়ই নিজের জন্য লেখেন এই মতবাদও আছে ......

এইখানে আমার মনে হয় কি করা যায় ...

‘‘ যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাঙলা কবিতার আধুনিক সড়ক পথে যাত্রা তা তো আমাদের জনসাধারণের মনন কে আশ্রয় করে গড়ে উঠেনি ’’

পুরোপুরি তা নয় বোধহয় ... বনলতার কবি বা তারপরেও আরও অনেকের কবির কবিতার অনুরাগীরা নিজেদের আজকের কবিতা থেকে বিচ্ছিন্ন ভাবছেন কেন ....
জনসাধারণ
by mmandal on Wed, 2007-10-24 06:29

জনসাধারণ কে একটা ধারণা হিসেবে নিলে তাই তো দাঁড়ায়। জনসাধারণ বলতে উপনিবেশিক শিক্ষিত সমাজকে আমি বাইরে রেখে বলেছি। যারা স্বশিক্ষত, তাদের যে বোধ, যে সাংস্কৃতিক প্রতিতি তাদের আছে, তা দ্বারা তাদের মনন বলেন অআর যাই বলেন সেইটার ধারাবাহিকতায় আমাদের বাংলা কবিতার বর্তমানের পথ তৈরি হয় নাই।
হ্যাঁ পুরোপুরি হয়তো নয় (আবেগে বলে ফেলেছি), তবে বারো আনা মনে হয় সত্য।

আমি ঠিক পাঁচ-ছয় জনের জন্য কবিতা লিখি না আবার ব্যাপক মানুষের জন্য-ও লিখি না হয়তো। নিজের জন্য তো লিখি তা আবার নিজের মতো অন্য'র জন্য-ও। এই যে অন্য এদের কে আমি ডিফাইন করতে চাই না...এখানে যে টা মনে করি তা হলো
কবিতা একটা মনন পরিসেবার আনন্দ যদি দিতে পারে ঐ অন্য কে তাহলে আর কিছু চাই না......
একটা সামঞ্জস্যপূর্ণ রাস্তা
by makormanob on Wed, 2007-10-24 06:46

‘‘ আমি ঠিক পাঁচ-ছয় জনের জন্য কবিতা লিখি না আবার ব্যাপক মানুষের জন্য-ও লিখি না হয়তো। নিজের জন্য তো লিখি তা আবার নিজের মতো অন্য'র জন্য-ও। ’’

এইটাই মনে হয় সার কথা
এবং একটা সামঞ্জস্যপূর্ণ রাস্তা ....

আমার মনে হয় ঐ ব্যাপক সংখ্যার অন্ততঃ কিছুকে যদি টেনে আনা যায় ... অন্ততঃ খাদ্যবস্ত্রশিক্ষার সমস্যা (এটা একটা আলাদা ইসু বা হয়তো আলাদা করে রাখার ফল হিসেবেই ... ) যাদের নেই সেই জনতার একাংশকে ...

কিভাবে তা করা যাবে এই নিয়ে চিন্তাভাবনার অবকাশ আছে .... নাকি নেই ... নাকি আছে ....
আপনার
by mmandal on Thu, 2007-10-25 09:47

আপনার কথাটাকে যদি চিন্তার মতো করে দেখি তাহলে মনে হয় চিন্তার অবকাশ আছে। কবিতা বেশিরভাগ মানুষের ভেতর কি করে পৌছে দেয়া যাবে সে নিয়ে একটু চিন্তা ভাবনা করা যেতে পারে।
এখন কথা হলো এই গুরুভার কে বহন করবে। কবি না প্রকাশক?
একজন কবি তার সমাজের ভেতর কার স্বর ব্যবস্থাপনার মধ্যে থেকে যদি কাব্য চর্চা করেন, তা পাঠকের কাছে পৌছে দেবার ভার বহন করবেও কি কবি না কি প্রকাশ? একই প্রশ্ন ঘুরিয়ে বললাম।

এইটা নিয়ে চিন্তা ভাবনার আছে কি?
দেবার ভার বোধহয় দুজনেরই
by makormanob on Thu, 2007-10-25 10:42

বোধহয় দুজনেরই ....
প্রকাশক তো বটেই ....
এর সংগে অবশ্য একটা জনজাতির খাদ্যশিক্ষা ক্রয়ক্ষমতার মতো জিনিসগুলো এসে যায় ... সেটা আলোচনার বাইরেই রাখতে হবে ...
এই নিয়ে অবশ্য ভাবনা শুধু না, একটা একশন নেবারও প্রয়াস করছি ... আর এক বছরের মধ্যে তা জানাতে পারবো হয়তো ...
ইতিমধ্যে আর সবার ভাবনা, কথাবার্তা শোনা যেতে থাকলে ভালো লাগবে ...
এই না হলে
by runa on Sun, 2007-11-04 18:35

এই না হলে কবিতামঞ্চ !! আবার একবার পড়ে গেলাম
আবার পড়তেছি
by mmandal on Tue, 2008-01-15 09:00

কবিতা নিয়ে অনেক কথা হতে পারে। আমি জানি না এখানে কবিতা নিয়ে যেসব কথাবার্তা হয়েছে সেগুলোকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কিনা?

আন্দালীব আপনি কি এখান আলোচনাগুলো পড়েছেন?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন