শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০০৯

কবি আশরাফ রোকনের কবিতা

অস্তিত্ব
.....
শিশিরে, ঘাসে ছড়িয়ে আছি মাংসতন্তু!
কী সুন্দর আওয়াজ, কাবারাবা;
মাটিতে পড়ে আছি ভাষাময় যন্ত্রকীট-
যন্ত্রণায় যন্ত্রণায় সন্ত্রস্ত আর্য-সন্ন্যাসী।

আকাশে ছড়িয়ে আছে চাঁদের নির্মল জ্যোতি;
অপরূপা অরণ্য আমার, বিলাসের স্তুতি নিয়ে অপূর্ব
জেগে জেগে পার হয়ে যায় কতো রাত
আমারই বেদনা পান করে তারাদের দীর্ঘশ্বাসগুলো হয় আরো দীর্ঘ।
অস্তিত্বের বালিয়াড়ি ঘুরপাক খায় পায়ের কাছেই।


মৃত্যুপথ
......
মৃত্যুর এই অপূর্ব প্রতিধ্বনি কেউ কী শোনো?
আড়াল জুড়ে যখন কেবল আগুনের হল্কা উড়ে,
ঘুরে ঘুরে চুমু খায় ব্যথিত হৃদয়ে-
চিবুক জুড়ে কী যেন বাজে অথবা বাজে না।
এমনই মোহনীয় সুর আকুল করে দেয় মেঘবাদলে।
আমার হৃদয়-মাঠে যে হরিণীর শিং আলো ছড়ায়;
তা আর খুঁজে পায় না কেউ, শূন্য এই বালিতট-
দূরের রূপরেখায় মুগ্ধ হয়ে কোনো সুখ নাই,
পরিণাম বাজে কার পায়ে! সুদূরের চন্দ্রবলী।


ভাষাফড়িং
.......
বিবর্ণ তাবুর মুখে ছেঁড়া সুতো খুলে যাচ্ছো
ভাঁজে ভাঁজে রঙিন উষ্ণতা-
উড়ে যাচ্ছো, পুড়ে যাচ্ছো কালো, তীব্র
আঁধারের শাদা বেড়াল, স্বর্গদূত।

ছেঁড়াজল, ঢেউয়ের পতন
ইন্দ্রিয়কলায় বাজে কতো লোক;
ঘৃণায় সহসা ভারি হয়ে ওঠে চোখ।
আলো জ্বেলে তারা চলে যায়
কী ভেবেছো এ বিষণ্নতা!
কুয়াশাতন্তুতে মিশে আছে ক্লান্ত ভাষাফড়িং।


ঘর
....
আমার ঘর ভরে আছে অন্ধকারে;
ছোপ ছোপ অন্ধকার, ঘৃণায় আঁতকে ওঠা
এ ঘরের ভিতে শীত; শতরূপা শীতকাল।

সর্ষে ফুলের সোনালি গন্ধ যখন নাকে লাগে
আমার হৃদয় উপচে পড়ে ঘরের মেঝেয়,
যেনবা কস্তুরি আমারই ছোট জেলখানায়।

এই ঘর ভরে আছে খড়ে, তৃণে
চিটচিটে বালিশ ভরা আছে ঘুমে, জাগরণে-
ও ঘর আমার, ও ঘরের কবর।


জননী
.....
পায়ের নিচে ঝকমারি পথের ফাটল
রাশি রাশি মেঘ, বাঁশি বাজায় অন্তরে।

(বাংলা গানের মধুরতা খুন হয় ইথারে, ছুরিকাঘাতে)
নষ্ট আঁতুড়, পচা রক্তে গজায় মেধাবিষ-
আমাকে শুধুই ঘৃণা শেখায় জন্মের প্রতি
এভাবে গায়কী, স্তব্ধ চূড়ো ছেড়ে, শস্যের মুকুট ফেলে
ফিরে যাই জননী স্বর্গের গৃহে।

ক্ষুদ্র বীজতলায়
ক্ষুদ্র বীজতলায় এক অবহেলিত তৃণবীজ,
মনের দরোজা খুলে শিশিরের নাচে
যেন সরোবর, অকালবোধন ঋষি।

আলোমাছ কতোই ধরা পড়ে মন-গঙ্গাজলে!
আমি ভাসি, ভাসে সময় আমার।
মাটি ভাই, আমার সাথী ক্ষুদ্র বীজতলায়।


মেধাতরু
......
আমি এক ঝরাপাতা, নোনা জলের কর্কশ ভূমিতে
বৃথাই এক রক্তপাত, জন্ম-জন্মান্তরের অমিয় সুধায়
অতিতুচ্ছ এক মাছি, অনায়াসে লাফায় জালে
জড়িয়ে গিয়ে বিগতপ্রাণ, গ্রীষ্মের পরম ধুলোয়।

রোদাসনে জ্বলছে মেধাতরু- কল্পনারী
আমার চোখ নিয়ে খেলা করে আলোর কারাগারে।
দিনলিপি বদলে যায়, ঘোর অমানিশায় কেমন ডানাকাটা।


রক্তদানা
......
রক্ত সে আমারই, জানে কতো ছলাকলা,
বুঝতে সে পারে না মোটে নৃত্যবোল
বারবার আঘাত পেয়ে সে টুকরো হয়
সকলের পায়ে মাটির উপর দাগ হয়।
আমার রক্তদানা ঋষি, ঘরবিবাগী।


স্বদেশ
....
ডুবুরির চোখ আমাকে তুলে আনে ডাঙায়
সূর্যের শরীর ভেঙে আমি এককণা তামাটে আঁশ
জড়িয়ে পড়ি তোমার অঙ্গে- রূপসী হে সবুজ।

কখনো পড়ে যাই অথৈ খাদে, পলিমাটির গোল গহ্বরে
কখনোবা সুবর্ণ সিঁড়িতে, ঘাসের তলে যেমন চাকাপোকা,
আমাকে টেনে তুলেছো, সে তুমিই বসন্ত ফড়িং!
তোমার ডুবুরি চোখ আমাকে তুলে আনলো ডাঙায়।

কয়েকজন কৃষকের সাথে শীতের দুপুরে
ফসলের সবুজ গালিচা, এই ফুলেল মওশুম, পাখিদের ছায়া
দেখে দেখে শিহরিত ধানপাতা, গরু ও ঘোড়ার পালের নাচ
কেটে গেলো আমাদের দুঃখরঙিন দিন; কলের লাঙল
তুলে আনে বহুকালের লুকানো হাড়, জীবীতের সম্বিতে।

এমনই দুপুরবেলা শহর গড়ার পরিকল্পনা করি আমরা
ঘাসফড়িং ডানা মেলে অভিমানের গান শুনিয়ে যায়
রঙতুলি ছড়ালো আকাশ, গঙ্গার ওপারে সর্ষের ফুল ফোটে
জোয়াল কাঁধে সাঁতরে যাই আমরা শান্তিকামী কৃষককুল।

দূরের পথে গান গাইছে ঘুঁটেকুড়ানি মেয়ে, কৃষাণবধূ-
মাটির সিঁড়ি বেয়ে নেমে যাই চলো, সম্ভারে, নতুন দিনে
হাড়ের বিষে টল টলায়মান শীত, পা অবধি ডুবেছি পাঁকে
এমনই গাঢ় আর মায়াবী উন্মেষ আমাদের হৃদয় পাগল করে।


রাজীব আর্জুনি
.........
এই রাত বৃক্ষের; তোমার
এই রাত লিখে দিলাম সকল বৃক্ষের,
তোমার; অন্ধকারে একহাত কলমি ডগায় পড়ে আছে।
যে লাশ- তার; ঢোলকের নিনাদ ফেটে আসা রক্তাক্ত
দৈত্যের ফোঁটায়। এই রাত ফুসফুস নড়ে ওঠা শালিখ,
কাশফুল; করবী কণ্ঠের পুরাণ; প্রান্তরে ঘাসের আখ্যান;
জোছনা ফসিল। এই রাত তোমার; মাগো তোমার।


দ্বীপ
....
মুমূর্ষু দ্বীপের ভেতর পড়ে আছো পিতা,
ঘাসের ঘ্রাণের ভেতর ফেলে আছো প্রাণ
চাতক মুখের বৃষ্টির তৃষ্ণায় পালক খুলে দাঁড়িয়েছে
প্রদীপ্ত সূর্যের সকাশে, দূরের বৃক্ষে বাঁশপাতা মেঘে।
জোসনার শুভ্র হাতে নদীবাক্য তুলে দিলে
নির্জন মোমের বাগান প্রস্ফূটিত হয়; জলের
বুদবুদ ফেটে প্রসারিত হয় শ্বেত কণ্ঠের মর্মর।

নক্ষত্র আলোয় নিখে গেলে দ্বীপ
বুঝি; পিতার ক্রন্দন বুঝতে শিখেছে হাওয়া।


জটিল
.....
বুঝতে পারি, রোদপাখি ধাক্কা খেলে
দূরে সরে যায় প্রহেলিকা;
ফর্সা হয়ে ওঠে আকাশের মাঠ; বটতলা, বাথান।
তুমি তখন অভয়পাশার খাল পার হয়ে
হেঁটে যাও গঞ্জের হাটে;
তুমি তখন মিশেল ফুকোর ড্রয়িং রুম; গবেষণাগার।

কৃষকেরা, আধফোটা মানুষেরা
তবে কোন রুমে, কার সাথে গান করে
বলো হে দর্শন -গণিত


বণিক
.....
ঝাউবন, ঝরাপাতা সওদা কর; শরত ফুলের
নাভিতে পঙতি কাটো; এও এক বণিক স্বভাব।
আনবাড়ি পুষ্ট করো সবুজ লতিকা, শীতল ছায়ায়।
গাঙচিল পাখা মেলে প্রজাপতি হাওয়ায়; ঘাসময়
মাঠের বিকেল অস্তমিত আলোক, পূর্ণাঙ্গ গালিবে ভাসে।
ঝিঁঝিঁ ডাকা বুনোপথে উৎসুক পাখির দরোজা।
খুলে যায় এমন; দিগন্ত হারায় যেমন উৎস আঙুল,
তোমার আঙুল খোঁজে উৎস গঙ্গা, চূড়ার শেকড়।
পাতার বণিক ওহে
পাতায় প্রসন্ন থাকো আর উৎসের কথা বলো


মেঘবাড়ি
......
ভাতের পাতিলে একটি হাতল শুধু
একটি নুনের বাটি আর ফুটানো জলের ওমে একটু সালুন,
উশ্যিলায় লেগে পড়া ঘরটির এককোণে বেড়ালটি প্রাত্যহিক...
শিমগাছে নুয়ে থাকা মায়ের ভেতর ঘুমিয়ে আছে
অজস্র স্বপ্নের সফেন; নিভু নিভু বাতিল ভঙ্গিমায় যে ছেলেটি
আঁকড়ে আছে মাটি; তার চোখে-
নিরন্তর বেঁচে ওঠা, নিরন্তর জেগে ওঠা।


ঝাউপাতা
........
কোকিল বাতাসে উড়ে যাচ্ছো ঝাউপাতা
ফেলে যাওয়া নক্ষত্রখণ্ডের কাহিনী শেষ না করে
চড়ে বসেছো আলগা পিঠে; মরুর পেছন যেমন
চড়ে বসে অধির অশ্বের পাল। তেমনি আরো
কতো গাঙ কতো নৌকো অমায়িক মাখছো গায়; শাদা
শঙ্খের নিভুল স্বরের যমুনায় হারিয়ে ফেলছো কতো
পাহাড়ের আর্তনাদ; বৃষ্টিতে মুক্তোর কাঞ্চন গড়া মন্ত্রপাঠে অগাধ শ্যামল।

কোকিল বাতাসে উড়ে যাচ্ছো ঝাউপাতা,
ক্রন্দন সিক্ত কাহিনী কাব্যগুলো
ছেড়ে দিচ্ছো জলে; ছুঁয়ে যাচ্ছো নীলডানা।


একপশলা মিথুন মূর্তি
.............
একপশলা রোদের মিথুন মূর্তিতে দাঁড়িয়ে আছি আমি।
সেই থেকে ছড়িয়ে পড়েছে চোখ, কর্ণ, করোটি, শিরদাঁড়া,
লিকলিকে পা। বিশ্বাস করি, এ মহাকাল নিয়ে প্রবাদ লিখতে
হবে কাল; পৃথিবী বিখ্যাত অরণ্যের খোঁপায় পড়ে আছে যেসব
প্রতিভামুকুট সেসব নিয়ে অংকনে সজাগ হতে হবে; পাহাড়ি
ঝর্ণার পাশে ছড়ানো আদিবাসীর শিলালিপি কঙ্কালে
বেষ্টিত জলদস্যুর হাত থেকে লুফে নেবো পরশপাথর।

পরিমিতিগণ; সূর্যদীপ্ত মূর্তিটিকে আগলে রাখুন,
বিশ্বাস করি; সে সভ্যতার প্রতিনিধি মাত্র।


লাঙল
....
পূর্ব পুরুষের হাতে ছিল যাঁর দুরন্ত পৌরুষ
তার প্রতাপ পড়েছে দেখ ভাইটির হাতে,
মাঠে মাঠে কৃষকের কব্জিতে-কর্ষণে।

জমির কৌমার্য দেহে মাটিজ আরতি ফোটে
ফসলের পূর্বাহ্ন রচিত হলে,
সবুজাভ কবন্ধের শুয়ে থাকা কলরোলে
কৃষকের স্বপ্নপাত হলে,
নবান্নের বিস্তার যেন ফসলে ফসলে।
নিমজ্জিত প্রাণের শ্লোক ঝরে
শীতল ছায়ায় বর্ষণে বর্ষণে।
ও সিদ্ধির তামাদিদেব; পুরুষপুরাণ
তোমার সরূপ থেকে জেগে ওঠে
পরিচয়; আধুনিক কথা কয়।


গ্রাম
....
দূরে, ফেলে আসা গ্রামটিতে পড়ে আছে জন্মের মুখ।
তাঁর সিঁথির মঞ্জুরিত বসন্তে কোকিল-ডাক; নুয়ে পড়া।
কেশের ভেতর প্রস্ফূটিত হয় সারিসারি সবুজের ভোর; কোমরের
সানুদেশে নদীটি ডুবে গেলে ঝাঁকে ঝাঁকে হারিয়ে যায় মাছের বাগান।
আধবোজা বিলের শরীরে ছিটকে থাকে শামুকের ঝিনুকের হাড়,
জেলেবাড়ি জেগে ওঠে মাচায়; কব্জিতে কাঁধে, ধানকাটা ফসলের মাঠে
ফুরোয় যদি উৎসুক হাতের গল্প; বধূর উঠোনে আনন্দ বাঙ্ময়
হয়; পাখির বন্দনা যায় বেলাভূমির কার্নিশে বনজাত পাঠশালায়।


নলখাগড়া
......
থুরথুরে যুবতীর শরীর জুড়ে বইছে ইতিহাস,
জলের শরীর থেকে ফোটে ছিলো যার প্রাণকমল;
তার গায়ে লেগে আছে ইলিশের ঘ্রাণ; হরিণের দাগ
পড়ে আছে সেইসব প্রাণিজ কংকাল। ইয়োহিপাসের
ক্ষুর বেয়ে একদিন স্বপ্ন জেগেছিলো যার মানুষ হবার,
কাঁকড়া আর বিছের বিলীন বংশের হাড় থেকে
বেরিয়েছিলো যে মানুষ হবার; একদা সে মানুষ হবার
বিভোর স্বপ্নে এগিয়ে এলো প্রায় ওরাং ওটাং।
অতঃপর মগজে মগজ রেখে নলখাগড়ার কালি বেয়ে
পাতায় পাতায় রচিত হলো তার শিকার; কতো পুরাণ
আগুন শেখার কাল; পাথুরে বিদ্যায় জলে ওঠা তামাটে মানুষের রব।


আশ্রম
....
পাখির বাণিজ্যে আর পাতার বৈভবে
ভিখারিটি ঘুমহীন; ঘুম নেই চোখে তার।
গাছে গাছে নত হলে, আলোগুলো নিভে গেলে,
ভিখারিটি ঘুমহীন; ঘুম নেই চোখে তার।
তার ঘুম- ঘুম যায় গোধূলির জলে জলে
বনের কোমর ধরে সিঁদুরের বাগিচায়।
আঁধারের মাঠ জুড়ে অবিরল জোছনায়
তার ঘুম- ঘুম যায় নক্ষত্রের সুদূরে।
এই ঘুম উঁচ‚ ঘুম যে ঘুমের পাতাঘরে
ভিখারিটি ফিরে পায় আনন্দ আশ্রম, আনন্দ অপ্সরী।


ডানা
....
আমার কবিতা বাণিজ্যে গেছে
মেঘেরাও বাণিজ্যে; সিন্ধুনদ, নীলনদ
পার হবে বলে ছ’মাস পণ করেছে আমার মেঘেরা।
এদিকে পাতা কুড়োনির খুকিগুলো মুখে মুখে অনেক তৃষা
অনেক গোপন লুকিয়ে কাঁদছে; পাখাহীন কাকগুলো কি রকম
কা কা ফিরছে বাড়ি; ফিরছে ঘরের সিন্ধুকে
রুপোর কাঠির আর্দ্র ভাঁজের অতলে।
কতোদিন মেঘ দেখি না আমি!
পড়ে আছি হিজল বুকের নিচে অচেনা ডানায়,
ডানায় ডানায় লেগে আছে প্রত্নের খেলা; তন্দ্রার চিকনদিঘি;
রক্তের ভেতরে অস্ফূট সূর্যের বাতাস।

আমার কবিতা বাণিজ্যে গেছে
মেঘেরাও বাণিজ্যে; সিন্ধুনদ, নীলনদ
পার হবে বলে ছ’মাস পণ করেছে আমার মেঘেরা।


অলীক
....
ঘুম থেকে তক্ষকের ডাক শোনে চমকে গেলাম,
সমুদ্রের তীর হেঁটে ঝিনুক কুড়োলাম; কোনো
মুক্তো নেই! অদূরে মাস্তুলের ধোঁয়া দেখে
পাখিদের কথা মনে নেই; ভুলে গেছি প্রিয়মুখ
বৃক্ষের নাম; হাওড়ের গায়ে মোঁচড়ে পড়া কৃষকের
জমি; লাঙলের ফলা; বাউল বিতান। তবে কিনা
ফড়িংটা মরে গেলো আজ; পাতাগুলো খসে গেলো
এতো ম্রিয়মাণ; তন্দ্রালু পালকে নেমে এলো কোন কাঠের ময়ূর।

দূরে, গান গাওয়া মেয়ের
বিন্যস্ত চুলের ভেতর উপচে পড়ছে একটা ভীষণ খোয়াব।

৪টি মন্তব্য:

  1. ৯৩ তে বিকাশ আাপনার লেখা পড়েছিলাম এর পর আরো ২/৩ টি লেখা হয়তো পড়ে থাকবো কিন্তু ২০০৫ পর্যন্ত তেমন কোনো লেখা পাইনি আপনার .অনেক ছোট কাগজ যে বেরুলো কিন্তু আপনার কোনো লেখা নেই কেনো কবি 🌹🌹🌹
    আপনার লেখা অনেক খুঁজি আর অনেক মিস করি ,অনেক ভালো লাগে ...
    আজ গুগল এ সার্চ করে আপনার অনেক অসাধারন কবিতা পড়লাম ...
    ‘ডুবুরী চোখ আমাকে তুলে আনে ডাঙায়’ এরকম অনেক ভাল লাগা কবিতা পড়লাম
    অশেষ ধন্যবাদ

    উত্তরমুছুন