বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০০৯

প্রফেসর আনিসুজ্জামান


১৯৫২ সাল, রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ফেটে পড়ছে ছাত্র সমাজ। ওই বছর জানুয়ারিতেই সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হলো। ঠিক হলো ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে একটা পুস্তিকা বের করা হবে। দায়িত্ব দেওয়া হলো সে সময়ের কমিউনিস্ট পার্টির সাথে সম্পর্কযুক্ত নেতা মোহাম্মদ তোয়াহার ওপর। কিন্তু তিনি সময়াভাবে লেখাটা তৈরি করতে পারছিলেন না। তখন পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগের পক্ষ থেকে একটি প্রচারপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়ে তা লেখার দায়িত্ব দেওয়া হলো, মাত্র ১৫ বছর বয়সের এক কিশোরকে। সবে ম্যাট্রিক পাস করে জগন্নাথ কলেজে আই এ. প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছে। ঠাটারিবাজারে তাঁদের বাড়ির কাছে যোগীনগরে যুবলীগের অফিস। যুবলীগের সম্পাদক অলি আহাদের কাছ থেকে পুস্তিকা লেখার প্রস্তাব পেয়ে অবাক সে। ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে সে কি জানে আর কী-ই বা লিখবে। অলি আহাদ ওকে আশ্বস্ত করেন। বলেন, ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে আপনার মনে যা আসে, তাই লিখবেন পরে আমি দেখবো। শেষ পর্যন্ত ১৫ বছরের কিশোরই ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের বিষয়ে প্রথম পুস্তিকাটি রচনা করে। এর নাম ছিল 'রাষ্ট্রভাষা কী ও কেন?' সেদিনের ওই কিশোর লেখকই পরবর্তীকালে বাংলাদেশের প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী ড.আনিসুজ্জামান। '৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারির আগে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ওপর এটাই ছিল প্রথম প্রকাশিত পুস্তিকা। পরে অবশ্য বদরুদ্দীন উমর এর চেয়ে আকারে বড় এবং সমৃদ্ধ আরেকটি পুস্তিকা লিখেছিলেন। সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে একুশে ফেব্রুয়ারির আগে সেটা ছিল দ্বিতীয় প্রকাশিত পুস্তিকা।

আনিসুজ্জামান ভাষা আন্দোলনের কথা প্রথম শোনেন ১৯৪৮ সালে, সে সময়ে তিনি খুলনা জেলা স্কুলে পড়েন। ১১ই মার্চ রাষ্ট্রভাষার দাবিতে ধর্মঘট ডাকা হলো। মুসলিম লীগের লোকজন তাঁদের ডেকে বললেন, এসব যারা করছে তাঁরা পাকিস্তানের শত্রু। কথাটা তখন তাঁর কিশোর মনকে স্পর্শ করেছে। মাত্র ছ মাস হয়নি তাঁরা দেশভাগের কারণে কলকাতা ছেড়ে খুলনা এসেছেন। পাকিস্তান রাষ্ট্রটির প্রতি একটা গভীর দরদ ছিলো। এই রাষ্ট্রটির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে- এমন আন্দোলনে যেতে তাঁর মন সায় দেয়নি। এ কারণে তিনি সেদিন স্কুলের সেই ধর্মঘটে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকেন। তারপর ১৯৪৯-৫০ এই দুটো বছর বিষয়টা নিয়ে অনেক জেনেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসসি পড়তেন তাঁর মামাতো ভাই সৈয়দ কামরুজ্জামান। তাঁর কাছে ভাষা আন্দোলনের যৌক্তিকতা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তারপর সাহিত্যের প্রতি ভালবাসা, ভাষার প্রতি আকর্ষণ এসব মিলিয়ে তাঁর মনের ভেতরে ভাষা আন্দোলনের চেতনাটি জন্ম নিল। আর তাই এর পুরো তাত্‍পর্য স্পষ্ট না হলেও, ভাষার জন্য এক ধরনের আবেগ তাঁকে দিয়ে ওই রচনাটি লিখিয়ে নিয়েছিল।


পারিবারিক পরিচয়
..............
আনিসুজ্জামানের পিতামহ শেখ আবদুর রহিম ছিলেন লেখক ও সাংবাদিক। তিনি ১৮৮৮ সালে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর জীবনী লিখেন। এটা ছিল কোনো বাঙালি মুসলমানের লেখা হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রথম জীবনী৷

বাবা ডা. এ টি এম মোয়াজ্জম সামান্য লেখালেখি করেছেন। তিনি পেশায় হোমিওপ্যাথ ছিলেন। আনিসুজ্জামানের মা সৈয়দা খাতুন লিখতেন। তাঁরা ছিলেন পাঁচ ভাই-বোন। তিন বোনের ছোট আনিসুজ্জামান তারপর আরেকটি ভাই। বড় বোন নিয়মিত কবিতা লিখতেন। আনিসুজ্জামানের বাবা পশ্চিমবঙ্গের মহকুমা শহর বসিরহাটে হোমিওপ্যাথি প্র্যাকটিস শুরু করেন ১৯১৭ সালে।

১৯৩৬ সালে কলকাতা চলে যান, তারপর ১৯৪৭ সালে খুলনায়, তার এক বছর পর ঢাকায় । প্রথমে শান্তিনগরে পরে ঠাটারিবাজারে বাসা নেন। চেম্বার করেন স্টেশন রোডের পুরনো রেলস্টেশনের রাস্তায়।


শৈশবকাল
..........
আনিসুজ্জামানের জন্ম কলকাতায়, ১৯৩৭ সালে। শৈশবকালের শুরুটা কলকাতায় হওয়াতে সেখানকার নাগরিক পরিবেশ দেখেছেন। দেশভাগের সময়ে চলে এলেন খুলনায়। বছরখানেক সেখানে থেকে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকা শহরেও আবার এক জায়গায় থাকেননি। প্রথমে ছিলেন শান্তিনগরে, পরে ঠাটারীবাজারে। ফলে বিভিন্ন পরিবেশে বিচিত্র অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়েছে তাঁর শৈশবকাল।


শিক্ষা জীবন
............
আনিসুজ্জামানের শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল কোলকাতার পার্ক সার্কাস হাইস্কুলে। ওখানে পড়েছেন তৃতীয় শ্রেণী থেকে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত। পরে খুলনা জেলা স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে পড়েন। চলে যেতে হয় ঢাকায়। সেখানে ভর্তি হন প্রিয়নাথ হাইস্কুলে। আনিসুজ্জামান ছিলেন প্রিয়নাথ স্কুলের শেষ ব্যাচ। কারণ তাঁদের ব্যাচের পরেই ওই স্কুলটি সরকারি হয়ে যায় এবং এর নাম রাখা হয় নবাবপুর গভর্নমেন্ট হাইস্কুল। সেখান থেকে ম্যাট্রিক পাস করে ভর্তি হন জগন্নাথ কলেজে। বাংলায় অনার্স নিয়ে বিএ পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। অনার্স শেষবর্ষের ছাত্রাবস্থায় একদিন বিভাগের অধ্যক্ষ মুহম্মদ আবদুল হাই তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি পাস করে কি করবে? তিনি বললেন, আমি শিক্ষকতা করবো। কিন্তু হাই সাহেব তাঁকে শিক্ষকতা করার আগে গবেষণায় উত্‍সাহিত করেন। ১৯৫৭ সালে এমএ পাস করে এর পরের বছর অর্থাত্‍ ১৯৫৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলা একাডেমীর প্রথম গবেষণা বৃত্তি পেলেন। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই বিভাগের শিক্ষক শূন্যতায় বাংলা একাডেমীর বৃত্তি ছেড়ে দিয়ে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিতে হয়।


কর্মজীবন
............
বাংলা একাডেমীর বৃত্তি ছেড়ে দিয়ে আনিসুজ্জামান যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেন তখন তাঁর বয়স মাত্র ২২ বছর। প্রথমে অ্যাডহক ভিত্তিতে চাকরি হলো তিন মাসের। কথা ছিল গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হলেই চাকরি শেষ হয়ে যাবে। চাকরি চলে যাওয়ার পর কয়েক মাস বেকার থাকলেন। তারপর কেন্দ্রীয় সরকারের গবেষণা বৃত্তি পেয়ে কয়েক মাস ভোগ করে অক্টোবর মাসে আবার যোগ দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় । ১৯৬২ সালে তাঁর পিএইচডি হয়ে গেল। ১৯৬৪ সালে পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে বৃত্তি পেয়ে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন। তবে তার আগে ১৯৬১ সালের রবীন্দ্রজন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠানে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৬৭ সালে তথ্যমন্ত্রী জাতীয় পরিষদে বলেন, রবীন্দ্রনাথের গান পাকিস্তানের জাতীয় ভাবাদর্শের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে বেতার ও টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে রবীন্দ্র সংগীতের প্রচার হ্রাস করতে বলা হয়েছে। এটা ছিল প্রকারান্তরে রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ করার পাঁয়তারা। এর প্রতিবাদে বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিবৃতিতে আনিসুজ্জামান স্বাক্ষর সংগ্রহ করলেন এবং সেটা কাগজে কাগজে ছাপতে দিলেন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি পুরোপুরি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। সে সময় তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম- সম্পাদক। আওয়ামী লীগ নেতা তাজউদ্দিন আহমদের সঙ্গে তাঁর কলেজ জীবন থেকেই ঘনিষ্ঠতা ছিল। তিনি যখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হলেন, তখন দলের ঘোষণাপত্রের খসড়ার চূড়ান্ত রূপ দিতে আনিসুজ্জামানকে ডেকেছিলেন।

১৯৬৯ সালে আনিসুজ্জামান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন বাংলা বিভাগের রিডার হিসাবে। ১৯৭১ সালের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করেছিলেন। তারপর চলে গেলেন কুণ্ডেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ের হোস্টেলে। পরে ভারতে গিয়ে প্রথমে শরণার্থী শিক্ষকদের সংগঠন "বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির" সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তারপর বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগ দেন। জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের বক্তৃতা লেখার কাজে যুক্ত ছিলেন। কখনও তিনি আগে বাংলা বক্তৃতা লিখতেন এবং এর ইংরেজি অনুবাদ করতেন খান সারওয়ার মুরশিদ, কখনও মুরশিদ আগে ইংরেজি ভাষ্য তৈরি করতেন পরে বাংলাটা করতেন তিনি। স্বাধীনতার পরেও এ দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে একজন নির্ভীক বুদ্ধিজীবী হিসেবে অবদান রেখেছেন ড. আনিসুজ্জামান।

১৯৭৪-৭৫ সালে কমনওয়েলথ অ্যাকাডেমিক স্টাফ ফেলো হিসেবে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে গবেষণা করেন। জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা-প্রকল্পে অংশ নেন ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৩ পর্য্যন্ত। ১৯৮৫ সালে তিনি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসেন। সেখান থেকে অবসর নেন ২০০৩ সালে। পরে সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক হিসেবে আবার যুক্ত হন। তিনি মওলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অফ এশিয়ান স্টাডিজ (কোলকাতা), প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং ফেলো ছিলেন।


পারিবারিক জীবন
..............
জীবনসঙ্গিনী সিদ্দিকা জামানের সঙ্গে আনিসুজ্জামানের পরিচয় এক বন্ধুর মাধ্যমে। তিনি তখন এমএ পাস করে ফেলেছেন। সে যুগে দেখা-সাক্ষাত্‍ করার তেমন সুযোগ ছিল না, যদিও পারিবারিকভাবে পরিচয় ছিল। কথাবার্তা টেলিফোনেই বেশি হতো। এভাবেই প্রেম এবং তা থেকে বিয়ে। তাঁরা বিয়ে করেন ১৯৬১ সালের অক্টোবর মাসে। তাঁর স্ত্রী তখন ইডেন কলেজে বিএ পড়েন আর তিনি সে সময়ে গবেষণা করছেন, অধ্যাপনায় ঢুকেছেন। আনিসুজ্জামানের শ্বশুর আবদুল ওয়াহাব প্রখ্যাত সাংবাদিক ছিলেন। কাজ করতেন কলকাতার 'স্টেটসম্যান' পত্রিকায়। ঢাকায় আসার পরেও ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত ওই পত্রিকার প্রতিনিধি ছিলেন৷ পরে ডন, লন্ডন টাইমস, নিউ ইয়র্ক টাইমসের সংবাদদাতা হন।

আনিসুজ্জামানের দুই মেয়ে, এক ছেলে। বড় মেয়ের জন্ম ১৯৬৪ সালে, ছোট মেয়ের জন্ম ১৯৬৯ সালে এবং ছেলের জন্ম ১৯৭২ সালে। পারিবারিক জীবন সম্পর্কে আনিসুজ্জামান বলেন, " আমার স্ত্রী আমাকে সাংসারিক দায়িত্ব থেকে একদম মুক্ত করে দিয়েছেন। এটা বড় একটা ব্যাপার, এজন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। তাছাড়া আমরা সব সময়েই কথাবার্তা বলে সিদ্ধান্ত নিই। আমার স্ত্রীর বড় কোন চাহিদা নেই, ছেলেমেয়েদেরও ছিল না। ওরা যে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে থেকেছে, তা নয়। তবু তাদের কোন অভিযোগ ছিল না। আমার সাংসারিক জীবনটা বলতে হবে খুবই শান্তিপূর্ণ ও নির্ঝঞ্ঝাট।"


পুরস্কার ও সম্মাননা
.............
নীলকান্ত সরকার স্বর্ণপদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৫৬); দাউদ পুরস্কার (১৯৬৫); বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৭০); একুশে পদক (১৯৮৫); আনন্দ পুরস্কার (১৯৯৩); রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডি.লিট (২০০৫); এশিয়াটিক সোসাইটিতে (কলকাতা) ইন্দিরাগান্ধী স্মারক বক্তৃতা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শরত্‍চন্দ্র স্মারক বক্তৃতা, নেতাজী ইনস্টিটিউট অফ এশিয়ান অ্যাফেয়ার্সে নেতাজী স্মারক বক্তৃতা এবং অনুষ্টুপের উদ্যোগে সমর সেন স্মারক বক্তৃতা প্রদান।


উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ
............
তাঁর রচিত ও সম্পাদিত বহু বাংলা ও ইংরেজি বই রয়েছে। তার মধ্যে মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য (১৯৬৪), মুনীর চৌধুরী (১৯৭৫),স্বরূপের সন্ধানে (১৯৭৬), পুরোনো বাংলা গদ্য (১৯৮৪), আমার একাত্তর (১৯৯৭), মুক্তিযুদ্ধ এবং তারপর (১৯৯৮), আমার চোখে (১৯৯৯),কাল নিরবধি (২০০৩),Factory correspondence and other Bengali Documents in the India o ffice Library and Records (1981), Creativity , Identity and Reality (1991), Cultural Pluralism (1993), Identity, Religion and Recent history (1995) উল্লেখযোগ্য।

বর্তমানে তিনি শিল্পকলা বিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকা 'যামিনী' এবং বাংলা মাসিকপত্র 'কালি ও কলমের' সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি। এছাড়াও তিনি নজরুল ইনিস্টিটিউট ও বাংলা একাডেমীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এবং দৈনিক প্রথম আলো'র সাপ্তাহিক সাহিত্য সাময়িকীর পাতায় 'বিপুলা পৃথিবী' নামে আত্নজীবনী লিখছেন।

গবেষক : সৌমিত্র দেব

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন