বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০০৯

‘রূপ-তরাসী’

‘হাঁ-উ মাঁ-উ কাঁ-উ’ শুনি রাক্ষসেরি পুর
না জানি সে কোন্ দেশে-না জানি কোন্ দূর!

রূপ দেখতে তরাস লাগে, বলতে করে ভয়,
কেমন করে’ রাক্ষসীরা মানুষ হয়ে রয়!
চ-প্ চ-প্ চিবিয়ে খেলে আপন পেটের ছেলে,
সোনার ডিম লোহার ডিম কৃষাণ কোথায় পেলে!
কেমন করে’ ধ্বংস হল খোক্কসের পাল-
কেমন করে উঠ্ল কেঁপে নেঙ্গা তরোয়াল!
পায়ের নিচে কড়ির পাহাড় হাড়ের পাহাড় চুর-
রাজপুত্র কে গিয়াছে পাশাবতীর পুর?
হিল্ হিল্ হিল্ কাল্-নিশিতে-গর্জে কোথায় সাপ-
সাজার পুরীর ধ্বংস কোথায় হাজার সিঁড়ির ধাপ!
আকাশ পাতাল সাপের হাঁ কোথায় পাহাড় বন,
থর্ থর্ থর্ গাছের ডালে বন্ধু দুজন!
চরকা কোথায় ঘ্যাঁর্ঘ ঘ্যাঁর্ঘ-পেঁচোর কিবা রূপ,-
মণির আলোয় কোন্ কন্যার অগাধ জলে ডুব’।
“হী হী হী!” হরিণ-মাথা রাক্ষস আকার।
আমের ভিতর রাজার ছেলে লুকিয়ে ছিল কে,
রাজকন্যা, নিয়ে এল সাগর পারে গে’!
কবে কোথায় রাক্ষসীর হাড় মুড্ মুড্ করে
রাজার ছেলের রসাল কচি মুন্ডু খাবার তরে!-
রাক্ষসের বংশ উজাড় রাজপুত্রের হাতে-
লেখা ছিল সে সব কথা ‘রূপতরাসী’র পাতে!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন