শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

নীল ব্যাঙ ও ছায়া


সাঈদ জুবেরী


আমরা গল্প বলি আমরা গল্প শুনি আমরা পড়ি আর এসব গল্পে গল্পে আমরা একসময় নিজেরাই গল্প হয়ে যাই। গল্পের সংখ্যা বাড়তে থাকে। আমরা আরো গল্পের জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠি ক্রমশ.... গল্পের শেষ কোথায় আর শুরুটাই বা কোথায় সংলাপের বাতাসে চায়ের পেয়ালা শূণ্য আর অসহায় সিগারেট পুড়িয়ে পুড়িয়ে আমাদের য় কাশ শোনা যেতে থাকে; নতুন পেয়ালায় আবার সংলাপ জমে ওঠে আর নতুন শলাকা খুঁজে নেয় আগুন- নতুন গল্প জন্ম নিতে থাকে। কিন্তু এসব প্যাঁচাল কোন গল্প নয়। গল্পের শুরুতে এধরণের অপালাপ পাঠকের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটাতে সহায়ক হতে পারে, তাই অতি শীঘ্রই গল্পে প্রবেশ করছি। তবে প্রবেশের আগে একটু উপক্রমণিকার লোভে নিজের বাচালতা আর না বাড়িয়ে এখুনি গল্পটা ফাঁদা যাক- একটা ছায়া ঘুরে বেড়াচ্ছে শহরে। ব্যাপারটা এরকম নয় যে, শহরে একটা ছায়া ঘুরে বেড়াচ্ছে আর গল্পের লেখক গল্প লিখছে, যেন সে ছায়া নিয়ন্ত্রক ঈশ্বর। ঘটনাটা সত্য। ঘটনার শুরুটা যেভাবে- একলোক ঘর থেকে বাইরে বেরুচ্ছিল এবং সে হঠাৎই একটা নীল ব্যাঙ দেখে আতঙ্কে ছুটতে গিয়ে চৌকাঠে হোঁচট খায় এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ে অথচ তার ছায়াটি ছিটকে বাইরে চলে গেল।

ছায়া ঘুরে বেড়াচ্ছে শহরে। এই শুনে গল্পকে এক ভৌতিক কোন লেবাস দেবার চেস্টা থেকে বিরত থাকতে পাঠকের দরবারে অনুরধ করা হচ্ছে। সে যাই হোক, ছায়া ঘুরে বেড়াচ্ছে শহরে এই খবর বাতাসের আগে রটে যাচ্ছে কান থেকে কানে এবং ক্রমেই শহরবাসী ছায়া আতঙ্কে পতিত হ্ওয়ায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ার উপক্রম হলো। অফিস পাড়ায় কাজ ফেলে সকলে, স্কুল কলেজে শিক ছাত্র সকলে, বাজারে বিপনী কেন্দ্রে ক্রেতা খরিদ্দার সকলে একই সংকটে। “ছায়া ঘুরে বেড়াচ্ছে শহরে”। বাচ্চারা স্কুলে যায় না, মায়েরা পাশের বাসার মায়েদের সাথে ছায়া সমস্যা নিয়ে আলাপরত আর মায়েরা তা তুলে ধরে বাবাদের কানে....সকাল থেকে দুপুর, দুপুর থেকে বিকাল পেরুতে না পেরুতেই যে যার ঘরে আতঙ্কিত চোখে ছায়া খুঁজে ফেরে। নিজের ছায়াও আতঙ্কজনক ও হটকারী মনে হতে থাকে মাঝে মাঝে। সেই শহরে আবার বিবাদমান দুইটা দল আছে কোন ঘটনা ঘটলে তারা দুই রকম কথা বলে ফলে শহরবাসী আরো বিভ্রান্ত ও আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে। ফলে একদল ছায়া দেখলে ওপরদল ছায়া দেখে না। বা ভাবে যে অপর দল তাদের ছায়া দেখেছে তাই একে রা করতে হবে আড়াল করতে হবে.....তারপর কোন দল আগে ছায়া দেখলে অপরদলের দায়িত্ব হয়ে পড়ে ছায়া না দেখা।

এভাব্ েগল্পেটিকে আরো টেনে নেয়া যেতে পারে কিন্তু কথা হচ্ছে ছায়া কী গল্প হতে পারে, আসলে গল্পের গরু একবার গাছে উঠে গেলে লেখক পাঠক সকলেই অসহায়, আর গরু একবার গাছে উঠলে তার নামার প্রসঙ্গও চলে আসে। একবার এরকম দেখা গেছিল যে, গল্পের গরু কিভাবে যেন গাছে উঠে গেছে আর গল্পকার, পাঠক কোন উপায়ে তাকে নামাতে না পেরে সেই গাছের নিচে এসে গরু ও গাছের কাছে প্রার্থনা করছে- হে মহান বৃ তুমি তোমার উপর হতে গরুটিকে নামিয়ে দাও অথবা হে মহৎ হৃদয় গরু তুমিই স্ব-ইচ্ছায় নেমে এসে আমাদের উদ্ধার কর। আমিন।

কথা হচ্ছিল ছায়া নিয়ে। ছায়া সমস্যায় শহরের অবস্থা দফারফা। প্রশাসন শহরের নমস্য ভাড়দের নিয়ে বসলেন ”ছায়া সমস্যার সমাধান” শীর্ষক সেমিনারে। সেখানে গেলাসের পর গেলাস মিনারেল ওয়াটার খালি হলো আর শব্দ দুষণে সেমিনার ক ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল। আমাদের নানাবিধ সমস্যার মতই ছায়া বিষয়ক সমস্যাটিও হাঁটুভাঙ্গা ”দ” এর মত ঝুলে থাকল সেমিনার করে দরজার উপরে। এদিকে শহর ক্রমেই স্থবির থেকে স্থবিরতর হয়ে উঠছে। কিছু একটা করা দরকার। রাস্তাঘাট ফাঁকা। দোকানপাট বন্ধ। স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। অফিস-আদালত কার্যত অচল।

এদিকে প্রশাসনের মুখপাত্র হিসেবে তোতাপাখির মত পূর্বাপর ঘন্টার পর ঘন্টা তোতাপাখির মত বকে যেতে থাকলো টেলিভিশন-
“শহরবাসীকে অস্থিরতা ত্যাগ করে ধৈর্য্য ধারণ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। কারণ জনগনের জন্য যা কিছু অকল্যাণকর অথবা কল্যাণকর তা নির্ধারণ করবে প্রশাসন। যে ছায়ার কথা শোনা যাচ্ছে তা যদি থাকে অথবা নাও থাকে তবু যদি কল্যাণকর হয় তবে তা থাকবে আর যদি শহরবাসীর আতঙ্কই তাদের জন্য কল্যাণকর হয়, তবে ছায়াকে রা করে শহরবাসীর আতঙ্ককে প্রলম্বিত করা হবে। তবে যা করার সরকার মানে প্রশাসনই করবে। আর এ ব্যাপারে একটি এক সদস্যের ছায়া কমিটি করা হয়েছে। কারণ একের অধিক ছায়া হলে কোনটা কার ছায়া তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরী হতে পারে, যা প্রসাশন কখনেই সমর্থন করে না, মানে বিভ্রান্তি। উল্লেখ্য যে, সরকার বারবার এই বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করছে যে- দেশ ও জাতির এবং মানবতার শত্র“ বিভীষণ হতে সবাইকে সাবধান হতে হবে।”

এক বর্ণধারী আতেল ভাড়া করে আনা হলো টিভি পর্দায়, যিনি মিডিওকার হিসেবে নিজের বিশেষজ্ঞ পরিচয় অর্জন করেছেন। তিনি শহরবাসীকে আশ্বস্ত করে বললেন, “আসলে এক অদ্ভুত মায়া। ছায়া কখনোই অবলম্বন ছাড়া চলতে পারে না। ছায়া বিজ্ঞানের (তার উদ্ভাবিত) তত্ত্বানুসারে এই ছায়া নিজের আয়তন প্রলম্বিত করে চারবার, সমান হয় চারবার ও কেন্দ্র স্পর্শ করে দু’বার এবং এসব হয় চন্দ্র ও সূর্যালোকের প্রভাবে। তারপর রশি টানিয়ে আপতন, নিপতন, বিপ্রতীপ, কৌণিক বিভিন্নভাবে এবং পরিশেষে বললেন আমরা সকলে যদি আমাদের ঘরদোর এমনভাবে সেঁটে বন্ধ করে দেই যেন সবাই কবরে আছি এবং সভ্যতার বাতিগুলো সব Ÿন্ধ করে দেই, তাহলে ছায়া বলে কিছু থাকবে না। আসলে এই ছায়া মানে... এই ছায়া ইয়ে.... আসলে যা কায়া.... যা দেহজাত মানে ফিগার থেকে...মানে ব্যক্তি....বস্তু থেকে আসে অথবা ধোয়া থেকে আগুন, সবুজ রং থেকে বন ক্রমান্বয়ে স্বাভাবিক ভাবেই ছায়া থেকে আসে ফিগার... এ এক অদ্ভুত গোলকধাঁধা প্রদীপের নিচেই অন্ধকার...বলে পুরোটা বোঝানো যাবে না... এই আমি আপনি মানে ইয়ে, জনগণ, আমাদের ডানে বামে অগ্রে পশ্চাতে যেদিকেই তাকাই, আমার আপনার ছায়া খুঁজে পাব। শৈশবে এই ছায়া আমাদের আশ্বস্ত করত যখন শুনতাম, ভুতের ছায়া থাকে না। ছায়া দেখে বোঝা যেত যে, আমরা মানুষ। আর শৈশবের সেই চোখ মানুষটির আগে তার ছায়া দেখে নিত। কারণ, তখন ভুতের ভয় ছিল। এখন নেই। কিন্তু বুঝতে পারি শুধু মানুষেরই নয়, শুধু বস্তুরই নয়, শুধু ফিগারেরই নয়, মতারও ছায়া থাকে, মানে ইয়ে.... এ যে কী পরিস্থিতি... ।

হঠাৎ যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়ায় টক শোটি আর দেখা যায় না।

আবার সংযোগ ফিরে এলে দেখি এক মনোবিদ বলছেন- ছায়া মানব মনের অন্ধকার কোন থেকে বেড়িয়ে পড়া মানবেরই এক অপর স্বভাব। যা আমরা বহন করে চলেছি প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে। সিন্দাবাদের ভূতের মতো আমাদের কাঁধে সওয়ার এই ছায়া। বিমূর্ত এই ছায়ার মূর্তীমানতার ইতিহাস আছে। আসলে কেস স্টাডি না করে কিছু বলা সম্ভব না।

এই আতঙ্কজনক পরিস্থিতিতে আমি যখন ঘরে টিভি সেটের সামনে অধীর আগ্রহে ছায়া সমস্যার সমাধান খুঁজছি তখনই আমার ঘরের দরজায় কলিং বেলের আওয়াজে টিভি সেট এবং টক শোর উপস্থাপক আর আমি তো বটেই সকলে একহাত লাফিয়ে উঠি। ভয়ে ভয়ে আই হোলে চোখ রাখি, দেখি- গ্রাম থেকে অশীতিপর বৃদ্ধ আমাদের বর্গাচাষী বর্গার হিসাব দিতে এসেছে। দরজা খুলে হাঁফাতে থাকি। ছোট বেলায় এই বর্গাচাষ করা বৃদ্ধ লোকটির কাছ হতে অনেক গল্প শুনতাম। গ্রাম থেকে তার আগমন মানে আমাদের ছোটদের কাছে ছিল গল্পের আগমন। তা ছিল অধিকাংশই ভৌতিক। এবার শহরবাসী আমিই এক ভৌতিক গল্পের ভেতর বাস্তবতা অতিক্রম করার সময় তাকে দেখে এক প্যারাডক্স ফিলিং হল। যাই হোক তাকে সব খুলে বললাম আর অনুরোধ করলাম আজ আর গ্রামে না ফিরতে। কারন, রাত হলে যদি তাকে ছায়া কোন তি করে বসে। কিন্তু সে হেসে আমাকে এক ভিন্ন গল্প শুনিয়ে বিদায় নেয়। সে বলে- ব্যাটা বড় হইছ, কিন্তু গ্রাম দেশের সেই পুরানা সত্য গল্পটা এখনো জানো না। শোনো- ইংরেজদের শেষ জাহাজডা যহন দেশ ছাইড়া যায়, তহন নোঙড় তোলা মাত্র পল্টনে বিদায় জানাতে আসা ভারতীয়দের ঘাড়ে এক নীল ব্যাঙ জাহাজতন লাফাইয়া পড়ে আর ভীরের মইধ্যে মিইশা যায়। তো রইয়া যায়। সে নানান বেশে মাঝে মধ্যে বাইর হয় আর আর যার ঘড়ে পড়ে তার ছায়া নানান কিসিমের ঘটনা ঘটায় এবং সংঘাত বাধায় দেয়। আর আমরা ছায়ার ভয়ে তারে নিয়া গল্প করি আর সেই নীল ব্যাঙ ততণে অন্য জায়গায় যায় গা।

যাই হোক সে বিদায় নেয়। আর আমি ইতিহাসের পৃষ্ঠা খুলে শুধু নীল ব্যাঙ আর ছায়া দেখতে থাকি। ইতিহাসের বইটা উল্টাতে উল্টাতে ১১০ পৃষ্টার মধ্যে এসে দেখি বন্দুকের কাতুর্জে শূয়োরের চর্বি মিশাইতেছে ঐ নীল ব্যাঙটা,আর সিপাহি বিদ্রোহ লাগতাছে। ১৫০ পৃষ্টাতে এসে দেখি সেই নীল ব্রাঙ লাফায় ্উঠেছিলো, এবার এক সাহেব ছায়া দেখি সারা ভারতে পড়েছে। দেখি বৃটিশরা ছায়াটার দায়িত্ব দিছে দ্বিজাতিতত্বের খাসা মাল বানাইবার। ৩২০ পৃষ্টায় দেখি ছায়াডা উদিচির পহেলা বৈশাখের রমনা বটমূলে গ্রনেড নিয়া যাইতাছ্,ে একই পৃষ্ঠঅয় দেখি অনকগুলা রক্তাক্ত লাশ, আর পাশের ছবিতে দেখি টিভি বাক্স ভরা ধোঁয়া। ৩৬০ পৃষ্ঠায় দেখি ছায়াডা হুমায়ুন আজাদের ঘাড়ে কোপ বসাইছে। শামসুর রাহমানরে ছুরি হাতে কোপাইতে দৌড়াইতেছে ঘর থেকে ওঘরে। ৪১০ পৃষ্ঠায় দেখি নির্বাচন মেস হইলো আর ছায়াডারে দেখি সংখ্যা লঘুদের উপর দা বল্লম নিয়া হামলাইয়া পড়ছ। মারে -মেয়েরে একসঙ্গে ধর্ষণ করছে। মা বলতাছে বাবারা আস্তে আস্ত একজনএকজন কইরা আইসো আমার মাইয়াডা ছোট, জানেমইরা যইবো। ছায়াডারে আবার পাই ৪৮০ নম্বর পৃষ্টায় দেখি ছায়াডা এই ইতিহাসের বইটারে কোপাইতেছে।

তো ব্যাঙটা বইয়ের পৃষ্ঠায় ঘুমায়না, বই তার কাছে মৃত্যুর সমান। তাই সে যারা নীল ব্যঙের গল্প বিশ্বাস করে না তাদের ছত্রছায়ায় থেকে খায় আর বড়ো ও তাজা হয় এবং প্রস্তুত হয় নীল ব্যাঙটার লাফিযে ওঠে। আর তার যার ঘাড়ে লাফিয়ে পড়ে তার ছায়া ঝাপিয়ে পড়ে রাজপথে। আর যারা ব্যাঙটার অস্তিত্ব শিকার করে না কিন্তু তার ঘটানো ফ্যাসাদকে ইতিহাসের বইয়ে লেখা হলে পড়ে, তার বলে হাঁ তখন এমন ঘটছিলো কিন্তু এখনও ঐ একই কারনে ঘটনা ঘটতাছে এ কেমন কথা! সব অঘটন তো ছায়াটাই ঘটাচ্ছে, ব্যাঙের প্রসঙ্গ আসছে কেন! তাদের বাড়িতে এবং তাদের আত্মায় এ ব্যাঙ মেহমান হয়ে বেড়ায় এবং সময় মতো লাফ দেয় এবং অঘটন ঘটায় এবং তারা বিবৃতি ্ও রাজনীতির মাঠ গরম করে বিস্ময় প্রকাশ করে Ñ“এই ছায়াটা কিভাবে তৈরী হলো!” নীল ব্যাঙ লাফ দেয়া মাত্রই ছায়াটা তার সব কার্যক্রম শুরু করে এমনই অভিমত দুয়েকজনের কিন্তু তাদের স্বর জনপ্রিয় মতামতের চাপে আমাদের আর শোনাই হয় না। আর ছায়া প্রথমে যা করে তার কাজের ভেতর দিয়ে সবাইকে তিনভাগে ভাগ করে ফেলে। প্রথমভাগ তার আক্রমণের শিকার। দ্বিতীয় ভাগ বলতে থকে এরকম কিছু দেশ ঘটে নাই এবং গবেষক নিয়োগ করে যারা গবেষণার জন্য সরকারী বেসরকারী লোন চায়, যারা বলবে, দেখা গেছে এর পেছনে বানানো কাহিনী। আরেক দল আছে যারা কইবোÑ‘ আমরা মনে করি ছায়াদের অধিকার আছে তাদের স্বাধীন কাজকারবার করবার।” এই তৃতীয় দলটি আবার ছায়া থেকে নিজেদের পৃথক ও অনাত্মীয় মনে করে। আর মজা হইল ছায়া আবার এদের আত্মীয় মনে করে।

কিন্তু শহরবাসীর মত গল্পের সংকটও কাটানো যাচ্ছে না। শহরবাসীর সমস্যা ছায়া নিয়ে আর গল্পের সমস্যা ছায়া কী গল্প হতে পারে নিয়ে। সমস্যার বিস্তার আমাদের এই উত্তর উপনিবেশিত জনপদে জলে নিপ্তি জালের মতই ক্রমশ পরিধি বাড়িয়ে চলে... কেন্দ্র থেকে.. ব্যাস ব্যাসার্ধ ডানা মেলে যেতে থাকে আমাদের মাথার উপর দিয়ে; আমরা আটকা পড়ে আছি বহুকাল সম্মূখে দেখি ক্রমাগ্রসরমান সমস্যা ও দ্বন্দ্ব সংকুল প্রগাঢ় দিগন্তবিস্তারস্বভাবী ছায়া। পাঠক ছায়ার ভয়ে সূর্যটা নিভিয়ে ফেলবেন না কিন্তু। এই ছায়া সূর্যের ঔরসজাত নহে, কী বলেন?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন