সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

নতুন কবিতার নতুন পাঠক চাই।

সাঈদ জুবেরী


”পাপ পূণ্যের কথা আমি কাহারে শুধাই
এক দেশে যা পাপ গণ্য অন্য দেশে পূণ্য তাই”
-লালন সাঁই

কবিতা কি? যদিও তা তর্কতিক্ত তবু আমরা কবিতাকে ভালবাসি অনেক বেশি, তা কি- না জেনেই। আরও মজার ব্যাপার কেউ যদি কোন একটাকে তার প্রিয় কবিতা বলে উল্লেখ করে, তখন কী ঘটে সাধারণত? সাধারণত অন্য কেউ তখন তার সাথে সহমত হয়, অথবা বলে এটা আসলে পুরানা ঘরানার। কিংবা বলে আপনি কবিতারুচিতে পিছিয়ে আছেন। আর সাধারণত কোন প্রিয় কবিতার কথা শুনে অন্যকে অন্তত এটা বলতে শোনা যায় না যে, এটা কবিতা না। তা হলে এর মাঝে কি বস্তু নিহিত থাকে যে দুজন সহমত হতে পারে, এটা কবিতা, যদিও দুজনের কোন একজনের কাছে তা প্রিয় নয়? এভাবে প্রশ্নের পিঠে প্রশ্ন উত্থিত হয়, সমাধানও ঝাপসা হতে হতে সুদূরে মিলানোর পায়তারা করে কিন্তু তবু সে সমাধানের আভা বিলিয়ে অনন্ত মাতোয়ারা করে রাখে আমাদের তর্কে।

১.
কবিতায় ব্যাপ্তিবোধ যত প্রসারিতভাবে অবস্থান করে ততই ভালো লাগে এবং অধিকজন গৃহীত হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে বলে আমাদের মনে হয়। কিন্ত ব্যাপ্তিকে আমার কাছে মনে হয় সার্বিকীকরণের বা সাধারণীকরণের অন্য নাম। সাধারণীকরণের মাত্রা যত বাড়তে থাকে ততো বেশি তা বাস্তব বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনাও লালন করে বলে মনে হয় আমার। আবার সাধারণীকরণও একটি বিষয়ীগত ব্যাপার কি না তাও তো মাথায় রাখতে হয়। তা ছাড়া একটি সাধারণীকৃত পাঠবস্তু. এখানে কবিতা, আরো বেশি অস্পষ্টতায় ভোগে হয়তো। কেননা পাঠক হয়তো তার পিছু আংশিক ভাবেই তাকায় বা পাঠক তার স্বভাবের ছাপ রেখেই চলে পাঠবস্তুটিকে ব্যাখ্যা করার পথে। তা হলে সার্বজনীনতাও আমরা যতটা কার্যকর বা ভয়াবহ ভাবি, ততটা নয়।

কোনকিছু যদি তার স্বীয় উপাদানের মাঝে সঙ্গতির অনুভব না আনে তা কি আমাদের কাছে বোধগম্য হয়? সভ্যতাকে চালাচ্ছে এমন একটা অনুভূতি যে, একটা পৃথিবী আমাদের আয়ত্বের বাইরে পড়ে আছে, এবং তা জীবনের জন্য অপরিহার্য হলেও জীবগুলোর চেতনায় একে নির্ভেজাল অনুকুল কখনোই মনে হয় না। এবং সে জন্য তাকে জীবনের অনুকুলে আনতে নিজের মতো একে বুঝে নিতে চায় মানুষ । মানুষ এই বোঝাবুঝির লড়াইটা লক্ষযোগ্যমাত্রায় ও সচেতনভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। তা সে যতো ব্যার্থই হোক না কেন। সে তা চালিয়ে যাবেই। আর এটা জীবনের মতোই সমাপ্তিহীন কিন্তু অনিবার্য এক অভিযান। আর তাই চারপাশ এবং আমাদের জীবনের অনুভূতি যতোই এলামেলো হোক আসলে নিজের সাথে বাস্তবতার সম্পর্ক স্থাপনে শৃঙ্খলার অনুভূতি অজর্নই মানুষের বাসনার সার। এবং এটাই আমাদের মানবিক অর্জন। এলোমেলো বিষয় আমাদেও বোধে আসে না, কিন্তু আমরা একে সমাবেশ বিন্যাস ঘটিয়ে নিজেদের বস্তু সঙ্গতি অর্জনের চেষ্টায় শারীরিকভাবে বিষয়টির উপর সক্রিয়তার ছাপই রাখিনা কেবল, আমাদের মানসকে তৃপ্ত করার ভেতর দিয়ে এক অনুকূল পরিস্থিতি প্রাপ্তির অনুভূতিও আমরা ফের এর ভেতর দিয়ে অর্জন করি। আর তা-ই বিশৃঙ্খল পৃথিবীতে আমাদেরকে সাহস ও অনুপ্রেরণা দেয় সক্রিয়তার ও সংগ্রামের; বাস্তবতার বিরুদ্ধে নয়, বাস্তবতার সাথে নিজেদের মানিয়ে নেয়ার তথা সহনীয়ভাবে বেড়ে উঠার। আমরা প্রতিটি মুহুর্তে যতোই স্বরিরোধী ভাবনা দ্বারা সক্রিয় থাকি না কেন, আসলে যৌক্তিক বা ছদ্ম-যৌক্তিতভাবে হলেও বিষয়ের সাথে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করি ও কোন একটি নির্দিষ্ট দিকে বা বিষয়ের সাথে জড়ানো বিষয়ীর দৃষ্টিভঙ্গির অনুকূলে তথ্য বা উপাদানকে সাজিয়ে তুলি বা তথা নব-শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা চালাই। এই চেষ্টার ফলশ্রুতি যতদূর প্রসারিত ততদূর আমরা সুখি। এক নিরাপত্তা বোধ আমাদের মাঝে খেলা করে। ফলে এভাবে কিছু মহুর্ত এক দিকে, আর কিছু মুহুর্ত বিপরীত দিকে, আমরা দুলতে থাকি। এবং এর কম্পাঙ্ক অতিবেশি হলে বোধিসীমা অতিক্রম করে। ফলে আমরা আমাদেও দোলাচলকে স্বীকার ও অস্বীকারের ভেতর দিয়ে কমিয়ে আনার চেষ্টা করি, যতোটা পারি। এটাও আমাদের মানবিক অর্জন।

আলাদা করে বিশেষ জোড় দিয়ে অনির্দিষ্টিতার চর্চাও বোধের সীমা অতিক্রমী এবং অধিবিদ্যক চর্চা বলেই মনে হয়। ফলে এটাকে একটা সময়ের বৈশিষ্ট্য বলে জাহির করেও তা সমালোচকের নিজেরই আওতার বাইওে থেকে যায়। মনে রাখা উচিত, এখানেও পাঠকের চৃড়ান্ত স্বাধীনতা বলে কিছু হয় না। লেখকেরও না। ফলে একজন লেখকের লেখা যখন অনির্দিষ্টতাকে লেখার বিষয় কওে, তখনো তাকে যুক্তি চর্চার আশ্রয় নিয়েই বোধগম্য হয়ে উঠতে হয়। আমার মনে হয় মানব সভ্যতার ইতিহাস জগতকে বোধগম্য করার আত্মসংগ্রাম। আর সেক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা আছেই- এই বোধ আমরা লালন করি অর্থাৎ স্বীকার করি । এর সাপেক্ষে শৃঙ্খলা অর্জনের সিসিফাসীয় লড়াই আমরা কোনদিন এড়াতে পারবো না। তো অনির্দিষ্টতা মানবিক বোধের কাছে অনিবার্য বাস্তবতা, কিন্তু একে সহনীয় করার লড়াই-ই প্রাধান্য পায় অন্তত আমার কাছে।

২.
আমাদের শরীরে প্রতিটি সেকেন্ডের লক্ষ ভাগের একভাগে কয়েক লক্ষ তথ্য পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে প্রবেশ করছে, কিন্তু এদের সবগুলোই আমাদের সচেতন বা অবচেতন মনে সারা দিচ্ছে না, যদি দিতো আসলে আমরা অনুভূতিশূন্য হয়ে পড়তাম এবং প্রচণ্ড গতিশীলতা আমাদের গভীরতার বোধ কেড়ে নিতো এবং এই কবিতা বিষয়কে কেন্দ্র করে হয়তো এতোগুলো শব্দ সুশৃক্সক্ষলভাবে ভাবতে ও লিখতে পারতাম না। আর সত্যি মানুষ অসহায় এখানেই যে, সব তথ্যের দিকে ইন্দ্রীয়গত সাড়া, একইসময়ে এবং ভিন্ন সময়েও, দিতে পারে না। আর বিশৃঙ্খল অনুভুতিমালা যেমন অনুভবগম্য হবে না, তেমনি গভীরতা শুন্য ও চঞ্চল হয়ে উঠবে আর তাতে মানস সুস্থিরতা অর্জন করতে পারে না; দৌড়ক্লান্ত এবং বিশৃঙ্খল জগতাক্রান্ত মানুষের শ্বাস ফেলা সম্ভবও নয়। ফলে ধাধাবাদীরা আমাদের এখনো পাঠ্যসূচির (রাষ্ট্রীয় ভাবে তো নয়ই, ব্যাক্তিগত পঠনসূচিরও) অর্ন্তভুক্ত নয়। কিন্তু এর মাঝে আপাত ব্যতিক্রমের ক্ষণ-স্বাদবহনকারী শক এফেক্ট রয়েছে যা নতুন পাঠককে চমকে দিতে পারে। কিন্তু সেখানে ফুসরত থাকে না অধিবাসের। আজকের দিনে যে সব লেখা হচ্ছে তাদের এই শকিং-ক্ষমতাও নেই, তা যতই নিজেদের অনিদির্ষ্টতা সমপন্ন বা বহৃরৈখিক বলে দাবী করুক না কেন। এই শকিং-শূন্যতাও তাদের স্বাতন্ত্র্য হতে পারে। কিন্তু এটি খুবই সম্ভব তাদের নিজেদের অনুধ্যানকে বাজিয়ে তুলতে না পারারই এক ফল। আর যেহেতু তারা নতুন লিখছে, নতুন সংবেদনের প্রতি স্পষ্ট ঝোঁক কাজ করছে। আগামীতে হয়তো তারা সোনা ফলাবে। কিন্তু বলবোই যে, কবিতা তখন তাদের অনেক বেশি যুক্তিশীল, টোটালিলিটির ধারক, কবিতার দেহ, ভাষা, শব্দ এক নবীন সুশৃঙ্খলারার ধারক হয়েই তা হবে এবং অনিদিষ্টির্তা, যুক্তিহীনতা আর স্বরিরোধ ও বহৃরৈখিকতা তাদের কবিতার আত্মা হিসেবে পাঠকের বোধে উঠে আসবে। মনে রাখতে হয় কবিতা কোন না কোনভাবে ফ্যালাসিকে লালন করে। ফলে তা জন্মগতভাবে স্বরিরোধাক্রান্ত। ভাষা সব সম্ভবের দেশ। আর তাই তখন অনির্দিষ্টতা, বহুরৈখিকতা ইত্যাকার অনুভব শব্দগ্রামের ভেতর চিরকালই সক্রিয় বা জেগে থাকে। এর ভেতর ভ্রমণশীল বা বসবাসরত পাঠকমাত্রই তা জানেন। শুন্য দশক সেইভাবে বললে সত্যিই শুন্যের দশক, বক্তব্যশূন্য, বিষয়শুন্য সঙবেদনশুন্য শব্দের স্তুপ। কিছু দিন পরেই পেছন দিকে তাকিয়ে তারা আজকের কবিতা নিয়ে তা-ই বলবে, আমি নিশ্চিত। দেখা যাবে, তারা অসচেতন ধাঁধাবাদের তরল সংস্করণ, আর এসবের ভেতর তারা নিজেদের মুখও আর খুঁজে পাচ্ছে না। কারো কারো ক্ষেত্রে এর বিপরীত হতে পারে, তবে তা প্রতিটি যুগের মতো এ যুগেও বিরল ঘটনাই হবে।

কবিতা অবচেতনের হোক আর সচেতনের, কিছু অনুভব, কিছু বক্তব্যকেন্দ্রিকতা বা থিম নির্ভরতা বা কেবলই আমাদের মানস অবস্থার অবাধ প্রবহন যাইহোক না কেন, আমাদের উপস্থাপন করতে হয় যুক্তির হাত ধরে, এমন কি যুক্তিবিরোধীতাও। অতএব পাগলামীর সুযোগ নাই। নতুন চেতনা মানে নতুন শব্দ-সম্পর্ক নির্মাণ। এটা অবশ্য সৃজনশীল ব্যক্তিমাত্রই অর্জন করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু বিশৃঙ্লা নয়, কিন্তু অনির্দিষ্টিতা নয়। বহু রৈখিকতা মানে শব্দের ক্ষেপামো নয়, বোধগম্যতাকে গ্রাহ্য করেই এটা কেবল সম্ভব হতে পাওে, অন্যভাবে নয়। এমনই আমার মনে হয়। বহুরৈখিকতা মানে একাধিক অর্থে বা ইঙ্গিতে কবিতাটি বোধের আয়ত্বে আসা, অধিকাংশই বোধের বাইরে পড়ে থাকা নয় নিশ্চয়। একই পাঠকে এটি ঘটতে পারে বা পাঠক ভেদেও। আবার এর অর্থ আংশিকভাবে অবশ্যই নয়, পাঠকের নিজের কাছে। আবার একটি কবিতাকে ঘিরে এক পাঠকের অনুভব অন্যের কাছে আংশিকও মনে হতে পারে, সাধারণত হয়ও। আবার একটি কবিতা বলতে আসলে আমরা কি বুঝি, এমনও হয় অনেকগুলো কবিতাকে একটি মনে হতে পারে। আবার একটি কবিতাকে কিন্তু অনেক কবিতা হিসেবে আমরা পড়ি না। এটা কুসংস্কারও হতে পারে। আর অনির্দিষ্টতা যখন বিষয় তখন এর উদাহরণযোগ্য কবিতার শরীরও আর আগের চেহারায় থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোনভাবে বিশৃঙ্খল শব্দ-সম্পর্ক ও ধান ভানতে শীবের গীত নয়। তবে শীবের গীত যদি শীবের অলসতা কাটিয়ে দিয়ে ধান ভানায় জোয়ার আনে তো অসুবিধা কি! বড় কথা হলো এক ধরনের সঙ্গতি বোধকে এড়ানো মুশকিল। তা নতুন ধরণের হতে হবে এটাই সৃজনশীলতার এক পূর্বাপর বা অপূর্ব শর্ত।

৩.
রাষ্ট্র, একাডেমি বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সর্বদাই কবিতার একপাক্ষিক পঠনই জারি রাখতে চায় এবং তা বোধ ও অর্থগত ভাবে। কারণ তা না হলে সে (প্রতিষ্ঠান) তার টিকে থাকাকে বহাল রাখতে পারবে না। তাই সে কবিতা বা সাহিত্যবস্তুর একাধিক তাৎপর্য থাকা সত্বেও একটাকেই বেছে নেয় নতুবা এর উপর নিজের অনুকুল একটা তাৎপর্য আরোপ করে। আমাদের টেক্সটগুলোও সেভাবেই তৈরী। প্রথম থেকেই এই সকল সাহিত্যিক প্রতিষ্ঠানসমুহ তার প্রতি হুমকী হতে পারে এমন টেক্সটকে এড়িয়ে যেতে চায়। এই চাওয়ার প্রধানতম অস্ত্র হিসেবে সে হাজির করে তার নিজস্ব যুক্তি ও জ্ঞান কাঠামো। এই অস্ত্র দিয়ে সে নতুন বা তার অসুবিধা সৃষ্টিকারী টেক্সটকে অযৌক্তিক তথা খারিজ করতে চায়। তাই বলতে চাই, প্রতিষ্ঠানিক ব্যূহ ভাঙতে নিরুপায়ভাবে যুক্তির হাত ধরেই এগুতে হচ্ছে। এখানে ভাবালুতার প্রশ্রয় নাই। অযৌক্তিকতাকেও যৌক্তিক কোন কাঠামোতেই বৈতরনী পার হতে হয়।

নতুন কবিতার নতুন পাঠক চাই। চাই যুক্তি অতিক্রমী নয়, বরং যুক্তিকে সুসম্পূর্ণভাবে ধারণ করতে পারে তেমন এক নব বিন্যাসিত কবিতাশরীর। আর যুক্তিশীলতাই কেবল বোধগম্য করতে পারে কোন কিছু. সে অনির্দিষ্টতা জ্ঞাপক বা বহুরৈখিকতা জ্ঞাপক যা কিছুই হোক। তবে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নজর ফেরানো দরকার, তা হলো যুক্তি কোন না কোন বিশেষ জ্ঞান কাঠামো ধরে এগোয়। এখন দেখবার হলো কোন জ্ঞান কাঠামো দ্বারা তা বিবেচনা করা হবে। কোন একটি জ্ঞান কাঠামোর কাছে আরেক জ্ঞান কাঠামো সীমাবদ্ধ বা বাতিল বলে প্রায়শই গণ্য হয় বা আংশিক বৈধতা দেয়। কিন্তু প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন জ্ঞান কাঠামোই নিজেকে সম্পূর্ণ বিবেচনা করে এগোয়। আর কোন একটি কবিতায় নিহিত সব শব্দ-সম্পর্কই তো পাঠকের কাছে সেই সাথে লেখকের কাছেও একই মূহুর্তে সমগুরুত্ব পায় না। এক্ষেত্রে একরৈখিকতার কথা তো আসেই না, বরং তখন একরৈখিকতা ভিন্ন অর্থে পাঠকের বা প্রতিষ্ঠানেরই সংস্কারের অন্য নাম এবং তখন কবিতা বা সাহিত্যবস্তুটি বলা যায়, একাডেমি কেন্দ্রীক নির্ধারিত প্রচলপাঠরীতিরই শিকার হয়ে পড়ে। আবার এতদিনকার কাব্যিক বিবেচনা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পশ্চিমা জ্ঞান কাঠামোর আলোকেই করা হয়েছে। কিন্তু এমনওতো হতে পারে ইউরোপ যাকে অনির্দিষ্টতা জ্ঞাপক বহুরৈখিকতা বলে যে যুক্তিহীনতার বিশ্বকে বৈধতা দিতে চায় সেই টেক্সটকেই অপর কোন জ্ঞান কাঠামো অন্য কোন তাৎপর্য়ে দেখছে। তাছাড়া আরেকটি কথা বলে রাখা ভাল যে, কবিতাকে বরাবরই জ্ঞান কাঠামো এবং যুক্তির মুখোমুখি দাঁড়াতে হয় বা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন