সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

সরি, গল্পটি একটু বড় হয়ে গেল অমি রহমান পিয়াল


স্বপ্নের মধ্যে শুধু বৃষ্টি আসে। আর আসে সেই পুকুরটা। কেন বাবা হেমামালিনী আর জুহু বীচ আসতে পারে না?

কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি হয়ে গেছে। পাতা থেকে এখনো টুপাটাপ জল ঝরছে। কিন্তু গরম। জলে নামতে পারলে বেশ হয়।
একটি লোক হাতছানি দিলেন। খোঁচা খোঁচা দাড়ি। চোখ দুটো উজ্জ্বল। বললেন, এত ছোট ছেলে তুমি। পূর্ব বাংলা থেকে এসেছ? বাবা-মায়ের কথা মনে পড়ছে না?
-লেবুবাই কৈলেন। তাই যুদ্ধ করতে আইসি।
-কার পক্ষে যুদ্ধ করবে?
-বাঙালীদের পক্ষে।
-কোন্ বাঙালী? ধনী বাঙালী? না, সর্বহারা বাঙালী?

কঠিন প্রশ্ন করেছেন এই দাদা লোকটি। তিনি বুঝিয়ে বললেন, তোমরা যে যুদ্ধ করছ, এটা কোনো জনযুদ্ধ নয়। একটি বিদেশী শোষক শ্রেণীর বদলে আরেকটি দেশী শোষক ধনীক শ্রেণীকে ক্ষমতায় আনার জন্য তোমাদের এই যুদ্ধ ? সর্বহারা শ্রেণীর কি হবে এই যুদ্ধে?
-তাইলে কী করতে হবে?
-শ্রেণী সংগ্রাম। একমাত্র শ্রেণী সংগ্রামই হল এ সময়ের কর্তব্য। আওয়ামী লীগ হল ধনীক শ্রেণীর প্রতিনিধি। শোষক শ্রেণীর দল।
-আমি তো আওয়ামী লীগের লগে নাই। কম্যুনিস্টগো লগে আছি!
-কোন কম্যুনিষ্ট? মনি সিংহের? মনি সিংহ তো রাজার ছেলে! সে কি করে বিপ্লবী কম্যুনিষ্ট হবে? হু, এরা হল সংশোধনবাদি। এরা বিপ্লবের জন্য খুব ক্ষতিকর। সর্বহারাদের মধ্যে থেকে শ্রেণী সংগ্রামের বিপ্লবী নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক।
বিপ্লব তাইলে শিশু! তার দীর্ঘজীবি হওয়া দরকার।

পুকুরের জল দুলে দুলে উঠল। পশ্চিম বঙ্গের পুকুরে জল কম। বাংলাদেশের জল শীতল – ছায়াময়।


বাড়ি ফিরেই দেখা গেল- লোকজন নেই। সব ফাঁকা। দরোজায় তালা। অনেক ডাকাডাকির পরে আম্মার গলা পাওয়া গেল। পেছনের দরোজা দিয়ে বেরিয়ে এসে জড়িয়ে ধরলেন। বললেন, তোর আব্বা- ভাইদের বাঁচা, মান্নান।
-কেন, তারা কী করছে?
-রাজাকারি করছে। এখুন পালাইছে।

অনেক জিনিস পত্রে ঠাসা ঘর। এগুলো আগে ছিল না। ঘরের খুঁটিতে সিদুঁরের দাগ। দরোজায় হালকা করে স্বস্তিকা চিহ্ণ আঁকা। ঘরের মাঝখানে একটি সেগুনকাঠের পালঙ্ক। মাথার কাছে লেখা- সুখে থাক। হাজী আবদুল গফুর ভূঁইয়া। এটা বিখ্যাত ভূঁইয়াদের বড় ছেলে ঘুমাত। সুখে থাক লেখার কাছে রক্তের দাগ। তাকে কি মেরে ফেলা হয়েছে? আম্মা রান্না ঘরে চলে গেলেন। মান্নান বাইরে নতুন তোলা ঘরের বারান্দায় গুম হয়ে বসে রইলেন।

পরদিন অসাধারণ একটি ঘটনা ঘটল। ভারত থেকে প্রত্যাগত শরণার্থীরা কলেজ মাঠে তাবুর মধ্যে থাকত। মান্নান বামহাতে একটা মাছকাটা বটি ডানহাতে তার আব্বাকে টেনে নিয়ে এলেন কলেজ মাঠটিতে। ভয়াবহ দৃশ্য। লোক জমে গেল। তিনি বটি উঁচু করে অলৌকিক এক বক্তৃতা দিলেন। বললেন, তার আব্বা বিশিষ্ট রাজাকার। লুটপাট করেছেন। কিছু মানুষকে হত্যার সঙ্গেও জড়িত। আরও কি সব। তার আব্বা এখন ধনীক শ্রেণীর মধ্যে পড়েছে। ধনীক শ্রেণী হল শোষক শ্রেণী। এই শোষক শ্রেণীকে তিনি সকলের সামনে কতল করবেন। শ্রেনী সংগ্রামের সূত্রপাত করবেন। শ্রেণী শত্রুকে রেহাই দেয়া যায় না।

তিনি বটি উচু করে ধরলেন। তার আব্বা হুজুর জোরে জোরে সুরা ইয়াসিন পড়ছেন। আম্মা মান্নানের শার্ট চেপে ধরেছেন। তারস্বরে চিৎকার করছেন- কী করিস মান্নান। কী করিস মান্নান। তার তিন ভাইও চিৎকারে গলা মেলাচ্ছে। এরা তিনভাই কুখ্যাত রাজাকার হিসাবে একাত্তরে এলাকা দাপিয়ে বেড়িয়েছে।

ভয়ংকর হয়ে উঠছে ঘটনাটি। শ্বাস রোধ হয়ে গেল অনেকের। অনেকে চোখ বন্ধ করে ফেলল। কজন দুর্বল মনের মহিলা ওয়াক ওয়াক করতে লাগল। তাদের মাথা ঘুরতে শুরু করেছে। আর শিশুরা মায়ের আঁচলের তলায় মুখ লুকাল। বটিটা অনেক উপরে উঠল। মান্নানের চোখমুখ শক্ত হয়ে উঠেছে। বটিটা ধা করে নিচে নেমে আসবে। তার গলা বরাবর নেমে আসছে। এক, দুই, তিন…

একজন মুরুব্বি চিৎকার করে উঠল। বাবা, পিতৃহত্যা নাজায়েজ।




সেদিন কোন রক্ত ফিনকি দিয়ে উঠল না। কারো মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মাটিয়ে ছিটকে পড়ল না। কারো স্ত্রী বিধবা হলেন না। কারো পুত্র পিতৃহীন হল না। ধর্ম রক্ষিত হল। কলেজ মাঠে যে সমস্ত শরণার্থীর শ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল- তাদের নতুন করে শ্বাস বইতে শুরু করল। এরা অনেকেই পিতৃহীন, মাতৃহীন, ভ্রাতৃহীন, সদ্য বিধবা, সর্বস্বহীন এবং কোনো কোনো নারী ধর্ষিতা।

মান্নান হিরো হয়ে গেলেন। পুচকি মান্নান হয়ে গেলেন বিপ্লবী মান্নান ভাই। তার আব্বা হুজুরও ডাকতে লাগলেন- মান্নান ভাই। ভাইগুলো হাতের রক্তটক্ত মুছে একটা সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দিল বাড়ির গেটের সামনে খেজুর গাছে। লেখা- বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল মান্নান ভাই-এর বাড়ি। মান্নান ভাইয়ের জন্য নতুন তোলা ঘরটি বরাদ্দ হল। ঘরটি নিচু পাড়া থেকে লুট করে আনা। পুরনো শালকাঠের একটি আলমারী। পালংকে ঘুমানোর সময় চোখে পড়ে লেখাটি- ‘সুখে থাক।‘ হাজী আবদুল গফুর ভূঁইয়া অংশটি চুন দিয়ে বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। ভুঁইয়া সাহেব সপুত্র নিহত হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে। এই পরিবারটি শ্যাখের দল করত। মান্নান ভাই এই ঘরটিতে থাকেন। আর ঘুমান। মুরগী-মুসাল্লাম খান। আলমারীতে লাল লাল সব বই সাজান। মাঝে মাঝে তিনি চিৎকার ওঠেন, বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক। সে চিৎকার রাত্রি ভেদ করে দিনে গভীরেও পৌছেঁ যায়।

মান্নান ভাইয়ের আব্বা হুজুর এবং ভাইগণ ব্যবসাপাতি শুরু করলেন জোরে শোরে। কলেজ মাঠের শরণার্থীরা অনেকে বাড়ি ফিরে গেল। কোন উপায় না দেখে কেউ কেউ ওপারে চলে গেল। তাদের মন ভেঙে গেছে। তাদের ঘরদোর পুড়ে গেছে। সব কিছু লুটপাট হয়ে গেছে। কেউ পোড়া ভিটেতেই তাবু খাটিয়ে বসবাস শুরু করতে লাগল। কলেজ মাঠে লাল বাহিনী, নীল বাহিনী খায় দায়- ঘোরে ফেরে- আর মাঝে মাঝে মার্চপার্ট করে। হাক দিয়ে ওঠে- জয় বাংলা। রাতে মাহফিল। লাল দোপাট্টা মল মল।

লেবু ভাই বললেন, মান্নান চলো- লোকজনের কাছে যাই। ঘরবাড়ি তুলতে সাহায্য করি।

মান্নান ভাই দিল খোলা মেজাজে বলে দিলেন, এইটা আমার কাজ না। আমার কাজ বিপ্লব।
- আমরা তো বিপ্লবের জন্য কাজ করছি!
- -আপনে বিপ্লবী হতে পারেন না। আপনের বাপ জোদ্দার। তিনি শ্রেণী শত্রু।

লেবু ভাই মন খারাপ করে ফিরে গেলেন। মান্নান ভাই পড়তে লাগলেন লাল লাল অই বইগুলো। আর খেতে লাগলেন মুরগী মুসাল্লাম। তার স্বাস্থ্য টগবগ করতে লাগল। বিপ্লবের দীর্ঘজীবি হওয়ার জন্য সুস্বাস্থ্যের বিকল্প নেই। দুটো ফ্যান ওনার জন্য ঘর থেকে বের করা হল। এই ফ্যান দুটি গীর্জাঘরে হাওয়া দিত। গীর্জায় হাওয়ার দরকার। এ বড় কঠিন তত্ব। তত্ব না বুঝলে বিপ্লব করা যাবে না।

কিছুদিন পরে লেবুভাই নিহত হলেন। দিনের বেলায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মান্নান ভাই আমাদের বাসায় এলেন। একটা গানের খোঁজে। যিনি গানটি করতেন সেই ঠাকুরদা নেই। আমার বোনের খাতা থেকে গানের পাতাটি ছিঁড়ে নিলেন। আর নিয়ে গেলেন দিদির হারমোনিয়ামটি। অসাধারণ অধ্যবসায় তার। স্কুলে যেতে আসতে শুনতাম, মান্নান ভাই হারমোনিয়াম টিপে টিপে গাইছেন কানা কেষ্ঠর গান-

মুক্তির মন্দির সোপান তলে
কত প্রাণ হলো বলিদান, লেখা আছে অশ্রুজলে৷
কত বিপ্লবি বন্ধুর রক্তে রাঙা, বন্দীশালার ওই শিকল ভাঙা
তাঁরা কি ফিরিবে আজ সুপ্রভাতে
যত তরুণ অরুণ গেছে অস্তাচলে৷
মুক্তির মন্দির সোপান তলে...লেখা আছে অশ্রুজলে ৷
যারা স্বর্গগত তারা এখনো জানে, স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি
এসো স্বদেশ ব্রতের মহা দীক্ষা লভি
সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণ চুমি
যারা জীর্ণ জাতির বুকে জাগালো আশা
মৌন মলিনমুখে জাগালো ভাষা
আজ রক্তকমলে গাঁথা মাল্যখানি,
বিজয়লক্ষী দেবে তাঁদেরি গলে
মুক্তির মন্দির সোপান তলে...
লেখা আছে অশ্রুজলে ৷


একদিন তার আলমারীটা ঝাড় দিতে ডাকলেন। বললাম, পূজায় যাব।
বললেন, ছি কমরেড, ধর্ম হল আফিং। তার চেয়ে বিপ্লব জরুরী। দেরী করলে বিপ্লবের ট্রেন ছেড়ে দেবে। তখন?

ঝেড়ে পুছে আলমারীতে বইগুলো সাজিয়ে রাখতে হল। মাও সেতুং, মার্কস, এংগেলস, লেনিন, স্টালিন-এর রচনাবলী মাওলানা আব্দুর রহিমের ইসলাম ও সমাজতন্ত্র, লু সুনের গল্প এবং সিরাজ সিকদারের কিছু লেখা। তার পশে বেহেশতের কুঞ্জি, সচিত্র কোকশাস্ত, কী করিলে কী হয় এবং সচিত্র রোমাঞ্চ। প্রচ্ছদে অপূর্ব সুন্দরী একটি মেয়ের ছবি। নায়িকা টায়িকা হবে। উর্ধাঙ্গ ফাঁকা। হেসে বললেন, বিপ্লব হলে এরকম নায়িকাদের পাওয়া যাবে। বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক।

পড়তে পড়তে সুন্দর লিখতেও শুরু করলেন মান্নান ভাই। কী সব কঠিন কঠিন প্রবন্ধ। বোঝার ক্ষমতা নেই। শিক্ষামন্ত্রী কাজী জাফর আহমদ এলেন ফরিদপুর। জসিমুদ্দিন হলে মান্নান ভাই তার সম্মানে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা শীর্ষক একটা প্রবন্ধও পড়ে এলেন। সেটা পরে ছাপাও হল পুস্তিকা আকারে। ডিসি সাহেব সব স্কুলের টিচারদের কাছে প্রবন্ধটি পাঠিয়ে দিলেন। তাদের বেতন খেকে পুস্তিকাটির দাম কেটে নেওয়া হল।

এ সময় তার অত্যন্ত প্রিয় গান হয়ে উঠল এসডি বর্মনের-
শোনোগো দক্ষিণ হাওয়া
প্রেম করেছি আমি…

সমস্যা হয়ে গেল আমাদের এই শহরের সব লোকই মান্নান ভাইকে মান্নান ভাই বলেই ডাকে। সমীহ করে চলে। মেয়েরা তাকে দেখলেই কাতর হয়ে পড়ত। তারা ঘেমে উঠত। তাদের শ্বাস ঘণ হয়ে যেত। তাদের চোখের সামনে বটি হাতে মান্নানের চেহারাটি ফুটে ওঠত। কোনো গোলাপ নয়। মান্নান ভাই দমলেন না। পাড়ি দিলেন ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে গেলেন। কিভাবে ভর্তি হলেন- সে এক রহস্য। একদিন বললেন, নতুন গান শিখছি- নব প্রাণ আন্দোলনের গান। গেয়েও শোনালেন দুএক কলি।

‘বৃষ্টি বাদল দুই ভাই বোন শহর দেখতে আসে
বড়লোকদের গাড়িগুলো সব কাছিমের মতো ভাসে
ভাই বলে বোন বোন বলে ভাই আজ স্কুল থাক
বড়লোকদের গাড়িগুলো সব বন্যায় ভেসে যাক...’

কানে মধ্যে ঢুকল না। মাথার উপর দিয়ে সুর আর বানী চলে গেল। গানটা গুতা খেল টিএসসির ছাদে। অইখানে দুটো পাখি বসে কিচির করছিল। দুটো পাখিই ধপ করে পড়ে মারা গেল। তিনি একটি কবিতাও শোনালেন। নিজেই লিখেছেন। তিনি ঠিক করেছেন কবিতাই লিখবেন। বিপ্লবীরা সবাই কবিতা লিখতেন। এ সময় একটি মেয়ে বাতাসে ভাসতে ভাসতে এসে পড়ল। একদম শ্রী দেবী। বলল, হাই। তার চোখে তেপান্তরের ঝিলিক। কে উপেক্ষা করে তাকে। তার দিকে দৌড়ে গেলেন। যেতে যেতে বললেন, বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক। তিনি বিপ্লবের পিছনে পিছনে দৌড়ে গেলেন।

আমাদের বয়স থেমে নেই। আরও জোরে দৌড়ুতে শুরু করেছে। শিশুটি থেকে বড়োটি হয়ে গেছি। বড়োটি থেকে বুড়োটি হয়ে যাচ্ছি। বিপ্লব কিন্তু সেই কচি খোকাটি। বিপ্লবের বয়স বাড়ে না। তার জন্য এখনো বলতে হয়- বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক। আর আমরা মরিতে পারিলে বাঁচি।

একটি চাকরীর ইন্টারভিউ ছিল ঢাকায়। ভোর ভোর বাসে উঠেছি। গোয়ালন্দে দেরী হয়ে গেল। নির্ধারিত সময়ে ফেরী আর ছাড়ে না। লোকজন উসখুস করছে। ফেরীর লোকজন বললেন, স্যার নামাজ পড়ছেন। শেষ হলেই ছাড়া হবে।

ফিরে এলেন স্যার। চমৎকার স্যুটেড বুটেড। স্যারের কপালে দাগ পড়েছে। মাথার টুপিটা ঠিক করলেন। জিন্নাহ টুপি। পকেটে উকি দিচ্ছে মওদুদীর বই। সরকারী গাড়ি। আমার দিকে একবার তাকালেন। একটা কার্ড দিলেন। সচিবালয়ে পোস্টিং। পাশে ভাবি। বোরকা পরা। মুখ ঢাকা।

হাত মেলালেন না। হালকা করে উঁচু করলেন। বাতাসে আতরের সুবাস। মুখে তোরাবোরা পাহাড়ের হাসি। একটু জেগেই উবে গেল। মনে হল মৃদু স্বরে বললেন, বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক।
তিনি কী সত্যি সত্যি বলেছিলেন- বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক। না কি ভুল শুনেছি? ধাঁধা লেগে গেল।

কোনো বটি নয়- তার হাতে তখন একটি বই। খুব আদব লেহাজের সঙ্গে পড়ছেন একটি লোকের আত্মজীবনী- একাত্তরে আমরা ভুল করিনি। ছবিতে লেখক খুব সহি সালামতে রাও ফরমান আলী আর টিক্কা খানের সঙ্গে বসে আছেন।

বিপ্লবীরা কখনো ভুল করেন না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন