শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

যে-কবিতা সত্যের অধিক : একরাম আলির কবিতা


গৌতম চৌধুরী


যেকোনও প্রজন্মের বাঙালি তরুণই তাঁদের আদি ধূমপানের পূত দীপশলাকাটি হাতে পান ঈষৎ অগ্রজদের প্রেরণায়। খুড়োমশাইরা ক্কচিৎ তাঁদের জায়মানতাকে আলোড়িত করেন। ধোঁয়া কেটে যেতে অবশ্য বেশি সময় লাগে না। পাকা খেলুড়েরা তাঁদের নিজ নিজ তরিকা খুঁজে পেয়ে যান অচিরেই। অগ্রজ বা খুড়োরা তখন হয় বিস্মৃত বা নিছক বিগ্রহমাত্র। একথা স্মরণে না এনেও জীবনপ্রবাহ দিব্য বয়ে চলে যে, পূর্বজকেও একদিন পেরিয়ে আসতে হয়েছে নানাবিধ আঁধার তরঙ্গ।
বাংলা কবিতার পাঠক আজ বিস্মিত আনন্দের সাথে লক্ষ্ করেন, তরুণ-অতিতরুণদের রচনায় বিশশতকের কলকাতাকেন্দ্রিক ভাবজগতটি কীভাবে ক্রমেই অবান্তর হয়ে পড়েছে। মনে হয়, কোনও নগরজয়মাল্যের জন্য তাঁদের বুঝি বা আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। আপন আপন ক্ষমতা ও কল্পনাপ্রতিভার বশে তাঁরা বাংলা কবিতাকে একটি নতুন দিকনির্দেশনার অভিমুখে উপস্থাপিত করবেন, একটু সাহস ক’রে হয়ত এমনও আশা করা যায়। কিন্তু তাঁরা হয়ত ধারণাও করতে পারবেন না যে মাত্র সিকি শতাব্দী আগেও পরিস্থিতি এমন অনুকুল ছিল না, বরং বলা ভালো, যথেষ্ট প্রতিকূলই ছিল। তখনও অবধি বঙ্গীয় কাঁটাকম্পাসের অভিমুখ একটিই সর্বগ্রাসী নগরীর দিকে কম্পমান, যেটি আসলে একটি নগরীমাত্র নয়, একটি সাংস্কৃতিক ক্ষমতাকেন্দ্রও বটে। এমনকি সাবেক পূর্বপাকিস্তানেও, কিছু সময় আগে-পরে, তরুণ কবিরা বু.ব-কে বা তরুণ বিপ্লবীরা সি.এম-কে, তাঁদের নিজ নিজ কল্পরাজ্যের প্রেরণাপুরুষ হিসাবে ভেবেছেন। পশ্চিমবাংলার তো কথাই নেই। বু.ব-র নেতৃত্বাধীন আধুনিক বাংলা কবিতা, প্রথমে কৃত্তিবাস ও পরে হাংরির, উচ্চকিত আত্মপ্রদর্শনের পথে এমন সদর্পে তার বিজয়নিশান প্রোথিত করেছে যে, প্রায় সকল তরুণ কবিযশোপ্রার্থীকেই তখন চালাক সাজার চেষ্টায় বলতে হয় – ‘বলা ভাল, আমি ভীরু, চালাকির চেষ্টা আছে, রাগী তো বটেই / নিজেকেই ভয় পাই বেশি’!


এমনই একটা ভাষাপরিমণ্ডলে রাঢ়বাংলার বীরভূমের কোনও এক অখ্যাত গ্রাম থেকে কলকাতায় স্নাতকোত্তর পড়তে আসা এক সদ্যতরুণ, তদানীন্তন মান্যরীতিতে একটি কাব্যপুস্তক, অতিজীবিত (প্র. ১৯৮৩), রচনা ক’রে কবি হিসাবে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন ক’রে ফেললেন। চালাকির চেষ্টার উদ্ধৃতিটি সেই গ্রন্থেরই, যেখানে আরও উল্লেখিত হয়েছিল – ‘পাড়ার গলির পাকে পাকে এক শালা পুলিশ / আমাকে নজরে রাখে’।
তারপর সেইভাষাপুলিশেরা সব কোথায় হারিয়ে গেল।সেই ঝকঝকে, সপ্রতিভ, ঈষৎ- অগ্রজদের দ্বারা প্রাণিত, শাণিত নাগরিক লিখনভঙ্গিমাই বা কোথায় মিলাল! পরিবর্তে, বাংলা কবিতার জগতে এসে হাজির হ’ল –
১. জমির নিচের দিকে ওত পেতে থাকা কোনও অতীত দিনের খরিশ
২. কলমিলতার শিখা জড়িয়ে ধরা কালকেউটে সাপ
৩. কালপুরুষের আলো পড়া নশ্বর তেঁতুলগাছ
৪. যে-বাদুড় নিজের মৃত পিতামহের দগ্ধ ডানাদুটির গন্ধ পায়
৫. রোদকাতর হাঁসের মূক ও বধির ডিম পচা পুকুরের জলে ডুবে যায়
৬. ছিন্ন ফুলসজ্জার বর্ণে রঞ্জিত বনপথ
৭. ধূ-ধূ উঁচু নিচু ঘুটিঙের মাঠ
৮. অচেনা রুক্ষ কাঁকড়াবিছে স্যাঁতসেঁতে মাটিতেও যার বিস্মিত চিৎকার বেঁকে যায়

এই উপস্থাপনা পশ্চিমবাংলার তৎকালীন বাংলা কবিতাসমাজে এক বিপুল বিস্ময়কর ঘটনা। বুদ্ধি-মেধা-কৌশলদীপ্ত শয়তানি-ছন্দমর্মর, এবংবিধ যাবতীয় সহজ সাফল্যের পথ এড়িয়ে, এক সমৃদ্ধ প্রাণবৈচিত্র্যের চলচ্ছবি উঠে এল ঘনকৃষ্ণ আলো নামের এক কৃশ কাব্যগ্রন্থে। যার রচয়িতা, বীরভূমের সেই তরুণ, একরাম আলি, যিনি অতঃপর পাঠককে ফিরিয়ে নিয়ে চললেন ক্ষমতাকেন্দ্রের করালগ্রাস থেকে বহুদূরে, রাঢ়বাংলার প্রকৃতিপটে। তবে রাঢ়ের আঞ্চলিকতায় মাত্র নয়, বিশ্ব জুড়ে প্রবহমান যে প্রাকৃতশক্তি, তারই রূপমুগ্ধতায় শিহরিত হয়ে ওঠার এই আয়োজন। কবিতাবইটি প্রথম প্রকাশের (১৯৮৮) পর বিশ বছর অতিক্রান্ত হলেও, সমান বিহ্বলতার সাথে লক্ষ করতে হয় একরামের তীক্ষ্ণ তীব্র শিল্পীত পর্যবেক্ষণ –
সমস্ত খাদ্যই বাঁকা
শেষ বিকেলের ক্ষিপ্ত আলোয়
রোমে ঢাকা কাঠবিড়ালী
তার বাঁকা মুখে তেঁতুল চিবিয়ে খায়

কেননা, সমস্ত মুখই বাঁকা

নিছক প্রকৃতিবন্দনা বা লোককথা-পুরাণের স্মৃতিকাতরতার ভেতর দিয়ে কোনও বঙ্গীয় অতিকথা সৃষ্টির মেদুর প্রয়াস স্পষ্টতই একরামের অভিপ্রেত ছিল না। ফলত ঘনকৃষ্ণ আলো-কে কোনওভাবেই রূপসী বাংলা-র নবনির্মাণ বলা যায় না। বরং তুচ্ছ এবং বিচিত্র প্রাণপ্রতিমা কীভাবে আদি প্রকৃতির বিরাটতার সাথে কেবলই তার বহুকৌণিক অন্বয় তৈরি করতে চায়, তারই একাগ্র ছবিগুলি আঁকা আছে এখানে –
একটি ডেঁয়োপিঁপড়ে পাতা বেয়ে উঠতে থাকে
শেষ শিখায় পৌঁছে আরও ঊর্ধ্বে তাকায়
রাত্রির আকাশ, নিহারীকা, নক্ষত্র, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুজ্জ্বল বিভা …

নেমে আসে পাতা বেয়ে, আরেকটি ডেঁয়োপিপড়ের
মুখোমুখি হয়, সে শোনে না
সেও পায়ের সীমান্ত পেরিয়ে যেতে চায়
আবিষ্কারের, আত্মহননের আলোয় অন্ধ হতে চায়

সে উঠতে থাকে


প্রাণী তুচ্ছ। সেই তুচ্ছতার ঘনকৃষ্ণতা ছাপিয়ে কোনও এক অসীমতার দিকে সে মেলে ধরে প্রাণের আলোকিত আকুতি। অথচ সেই ‘মহাশূন্য মূলত নিঃশব্দ এক অন্ধকার / আলো, তার বিরুদ্ধে আপ্রাণ যায়’।
প্রাণীর আকুতি যেন প্রতিরূপ খুঁজে পায় সেই মহা অন্ধকারে -
যাবতীয় নক্ষত্র, জ্যোতিষ্কপুঞ্জ অতি অল্প আলোক নিয়েও
হাজার শতাব্দী দূর মহা অন্ধকারের আকাশে
প্রাণপণে প্রজ্জ্বলিত হয়ে যেতে চায়

এই আদি রহস্য অনুধাবন ক’রে একরামের কবিতাযান অতঃপর রাঢ়বাংলার প্রকৃতি থেকে উৎক্ষিপ্ত হয়ে ক্রমে সেই নিঃসীম মহাশূন্য প্রদক্ষিণ শুরু করে। রচিত হয় আঁধার তরঙ্গ (প্র.১৯৯১) – ‘আকাশ রচিত হয় আকাশের অপূর্ণতা থেকে’।
এ এক সম্পূর্ণ ভিন্নতর উপলব্ধির জগত, তেমনই ধ্রুপদী তার উচ্চারণভঙ্গিমা –
শূন্যের সম্মুখে শুধু শূন্য, কেননা শূন্যের
পশ্চাৎ, দক্ষিণ, বাম বা অথবা অপর কোনও দিক নেই
তাই, শূন্য সত্যের অধিক
কণার সম্মুখে শুধু বিচ্ছুরিত কণা

তাই, কণা সত্যের অধিক

সত্যের অধিক এই অনুভূতিগুলির আত্মবিশ্বাসী আলো সংশয়দীর্ণ পাঠকের চোখেমুখে প্রশান্তির তরঙ্গমালার মতো এসে লাগে।
তবে সত্যের অধিক সত্যও নানাবিধ এবং তার প্রকাশও ঘটতে পারে নানা অভাবিত প্রান্ত থেকে। চর ও অচরের কোনও পরিপ্রেক্ষিতই সে-সত্যের উন্মোচনে অপাংক্তেয় নয়। মহাশূন্য প্রদক্ষিণ শেষ হ’লে যেভাবে বোঝা যায়, ‘শূন্যতা রয়েছে, তাই অবিরাম শূন্যতা বিনষ্ট হয়’, সেভাবেই প্রাণীজগতের বিচিত্র রহস্যময়তা যেন কিছুতেই নিঃশেষ হতে চায় না। তাই আঁধার তরঙ্গ-এর আগুপিছু একরামকে লিখতে হয় ঘনকৃষ্ণ আলো-র আরও কিছু কবিতা, যেমন তাঁর চোখে পড়ে – ‘বটপাতা গাছ থেকে খসে পড়ল / এ দৃশ্য কখনও দেখেনি এমন একটি গুবরে পোকা হতবাক’।
এইসব বিস্ময়ের সংযোজনে সমৃদ্ধ হয়ে অতঃপর এ-গ্রন্থের দ্বিতীয় একটি সংস্করণও প্রকাশিত হয় (১৯৯৯)। প্রাণবৈচিত্র্যের আদিমতা থেকে মহাজাগতিক রহস্যময়তা ছুঁয়ে আবার সেই জীবিত আগুনে ফিরে এসে যেন একটি পরিক্রমা শেষ হয় একরামের –


সন্ধ্যা গাঢ় হল, আজ হয়তো সে জেনেছে
কতটা নির্জন এই জীবিত আগুন
বটপাতা খসে, ঝুরি পাতালে নেমেছে
সে-আগুনে মিশে আছে নক্ষত্রের নুন


ঠিক বৃত্তীয় নয়, বরং ঘুরনসিঁড়ির সঞ্চারপথে তাঁর এই দীর্ঘ পরিক্রমাতেও কিন্তু ‘সত্যের অধিক’ তাঁকে অব্যহতি দেয় না। অশান্ত বাতাসের মতো প্রকম্পিত মর্মলোকে পুনরায় ভেসে আসে এই উচ্চারণ –
শনির বলয় থেকে আদিম সুপরামর্শ আসে
স্থির হও, শান্ত – শান্ত হও, দেখো রাতের তরঙ্গ
অর্ধমৃত ভিখিরির বক্ষলোমে ঢুকে পড়ো …

অব্যবহিত ভূগোল-ইতিহাস বিধৃত মানবিক সমাজ-সংসার সচরাচর বাগ্মিতার অবলম্বন বলেই হয়ত একরাম এ-তাবৎ সেই লৌকিক জীবনের ভাষ্য সযত্নে পরিহার করে আসছিলেন। কিন্তু সে-প্ররোচনা ঠেকিয়ে রাখা যায় না শেষতক –
উনুন জ্বলছে শিখা তৈজস পেরিয়ে
দূর দেবতার সুপ্ত মাংসরাশি খোঁজে
রে হিমশীতল, তুমি তপ্ত পক্ক হও
ঘূর্ণি হয়ে ওড়ো তার শিখার ভিতরে

প্রজ্জ্বলন্ত উনুনের শিখার ভেতর দিয়ে ঘূর্ণিবাতাসের মতো তাঁর এই উড়ালের ধারাভাষ্যে অতঃপর রচিত হয় বাণরাজপুর (প্র.২০০০)। যে-ভ্রমণপথে তিনি পাঠকদের দেখাতে থাকেন –
১. রোদে পোড়া নীলচে কুমড়ো
অপুষ্ট শিশুর মস্ত মাথা
মাটিতে গড়ায়
২. মাছের থেকেও বড় মাছ-কাটা বঁটি
৩. পথের অসাধ্য বোঝা বইছে পথেরা
৪. ধুলোর দানব জাগে থ্রাশার মেশিনে
৫. জলে তৈরী চাঁদ
বালতিতে কাঁপে আর ছলকে পড়ে পথে
৬. অসহ্য মগজ - সাদা কাগজে জড়ানো -
পুড়ে পুড়ে শেষ হয়ে আসে
৭. নিচে জলরেখাটুকু নিহত সৈন্যের
রক্তাক্ত রুমাল – হাহাকারে পড়ে আছে
ইত্যাদি। একটু নাগরিক চটকদারিতা মাঝে মাঝে মিশে যায় বটে এসব উচ্চারণে, তবে আদতে তিনি পাঠকদের জানিয়ে দেন –

শোনো, আমি বলতে চাইছি
আকাশের নিম্নতা বিষয়ে

চারিদিকে বহমান যে-লোকজীবন তা তো কেবলই আকাশ স্পর্শ করতে চায়। তাই যেখানে চক-আবাডাঙ্গা গ্রামের কোনও মানুষ

বাড়ি ফিরবে, সন্তানের মাথা নেড়ে
ঝেড়ে দিতে চাইবে নক্ষত্রের ধুলো

সেখানে আকাশকেও নিচে নেমে আসতেই হয়। যেখানে একদিকে,

সরু পথ – পাশাপাশি দুটি মগ্ন মৃত্যু
তর্ক করে, হাঁটে আর তর্ক করে যায়

অন্যদিকে

সমস্ত ধ্বনি – কান্না, তর্ক, হাসি
সব ঊর্ধ্বগামী – শুধু আকাশের দিকে
আকাশের আকাশের আকাশের দিকে ছিটকে যায়

অবশ্য লোকজীবন আর আকাশের আন্তঃসম্পর্কও যেমন সরলরৈখিক নয়, একরামের কবিতাতেও তেমনই ছায়া ফেলে খাদ্য ও খাদকের নানা আত্মভেদী সঙ্কট। ব্যাখ্যাকারদের তিনি মনে করিয়ে দেন –
একই কথার ঘূর্ণিতে বহু মতবাদের
জন্ম ও মৃত্যুর ছায়া লেগে থাকে


মূলত গত শতকের ২৫ বছর জুড়ে একরামের রচনার কালপরিধি। একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে এই সুদীর্ঘ দিন ধরে নিজের ব্যক্তিমুখটিকে লুকিয়ে রেখে লিখে যাওয়া এক বিরাট কবিব্যক্তিত্বেরই পরিচায়ক। বাস্তবিক, একরামের কবিতার একটি বিশিষ্ট লক্ষণই হ’ল ‘আমি’-র অনুপস্থিতি। সেই লুকিয়ে থাকা ‘আমি’-র সামান্য পরিচয় পাওয়া যায় এই সিকি শতাব্দী ধরে লেখা কিছু অগ্রন্থিত কবিতায়, যা অন্যান্য কবিতার সাথে সংকলিত হয়েছে একরাম আলির কবিতা-য় (প্র.২০০১)। তবে সে-ও কোনও উচ্চকিত ‘আমি’ নয়, অত্যন্ত বিনীত স্বীকারোক্তির মতো সে বলে –
‘কিছুই বুঝি না’ বলে মনে হয়, এই তো বুঝেছি
‘বুঝেছি’ বলার সাথে না-বোঝার ভারে মাথা নত হয়ে আসে


বাংলা কবিতার পাঠকদের দুর্ভাগ্য যে, গত শতাব্দী ফুরিয়ে যাবার পর একরাম আলির লেখা কিছু কমে আসতে থাকে। কিন্তু সৌভাগ্য এই যে, বর্তমান বছরের শুরুতে, বহু অগ্রন্থিত লেখা সমেত তাঁর একটি নির্বাচিত কবিতার সংকলন প্রকাশ পেয়েছে। পশ্চিম-বাংলার প্রকাশন জগতের যা হাল-হকিকত, তাতে এটি নিশ্চয় একটি ব্যতক্রমী ঘটনা। বর্তমান প্রজন্মের পাঠকরা একরামের অধুনা-দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থগুলির সাথে কিছুটা পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেলেন। পুরনো পাঠকদের পাওনা, স্মৃতিচারণ এবং অগ্রন্থিত কবিতা, যাদের মধ্যে অপেক্ষা করে ‘খুনি’ নামধেয় এই কবিতাটি –
কখনও সামনে আসে না
কক্খনও না

তার সার্থকতা – আড়ালে থাকা

মূলত সে অদৃশ্য প্রাণী
যেমন, কোনও কিছু উড়ে গেলে
সেই উড়ে-যাওয়াটাই ঝড়ের আকার
যেমন, কবিতা


কলকাতাকেন্দ্রিক কাব্যরাজনীতির সর্ববিধ ডামাডোলের আড়ালে থেকে সার্থকতা অর্জনের এক মহৎ দৃষ্টান্ত, একরাম আলি। আরও কিছু সত্যের অধিক কবিতা যে তিনি আমাদের উপহার দেবেন, এই প্রত্যাশা তাই থেকেই যায়।
আশ্বিন ১৪১৫

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন